রংপুরে নবনির্মিত ডপলার রাডার স্টেশনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে রংপুর আবহাওয়া, রাডার ও ভূকম্পন পর্যবেক্ষণাগারে স্থাপিত ডপলার রাডার স্টেশনটির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আবহাওয়া বিভাগের পরিচালক মো. মোমেনুল ইসলাম।

মোমেনুল ইসলাম বলেন, নতুন রাডার স্টেশনের মাধ্যমে মেঘের অবস্থান, গতি, দিক, তাপমাত্রা জানা ও বজ্রপাতের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হবে। রেড জোনে অবস্থিত রংপুরে ভূমিকম্প, বড় ধরনের বন্যা ও আগাম বৃষ্টিপাতের তথ্য দেওয়ার মাধ্যমে কৃষকদের ফসলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করা যাবে। রংপুরের আবহাওয়ার অবস্থা ও পরিবর্তনের কারণগুলো গবেষণা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক আবহাওয়া পরামর্শদাতা ইয়োশিহিসা উচিদা ও বাংলাদেশ আবহাওয়া বিভাগের উপপরিচালক আহমেদ আরিফ রশিদ। সভাপতিত্ব করেন রংপুর আবহাওয়া, রাডার ও ভূকম্পন পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান।

রংপুর আবহাওয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রংপুর নগরের কলেজ রোড মাস্টারপাড়া এলাকায় ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের অধীনে আবহাওয়া, রাডার ও ভূকম্পন পর্যবেক্ষণাগার স্থাপন করা হয়। আড়াই একর জমির ওপর নির্মিত এ কেন্দ্রে জাপান সরকারের অর্থায়নে ১৯৯৯ সালে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কনভেনশনাল রাডার স্থাপন করা হয়। রাডারটির আয়ুষ্কাল ছিল ১০ বছর। কিন্তু ২০০৭ সালে রাডারে ত্রুটি ধরা পড়ে। ২০১২ সালে এটি পুরোপুরি বিকল হয়ে যায়।

২০১৬ সালে ডপলার রাডার স্টেশন স্থাপনে কার্যক্রম শুরুর কথা থাকলেও বিভিন্ন কারণে পিছিয়ে যায়। রাডার স্থাপনের কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের মার্চে। জাপান সরকারের অনুদানে প্রায় ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করার কথা থাকলেও পরে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে ১৫০ কোটি টাকায়। যার বেশির ভাগ অংশই দিয়েছে জাপানের দাতা সংস্থা জাইকা। ডপলার রাডার স্থাপনের কাজটি তত্ত্বাবধান করছে জাপানের সিমিজু করপোরেশন। এই রাডার স্টেশনের সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মারুবিনি করপোরেশন।

আন্তর্জাতিক আবহাওয়া পরামর্শদাতা ইয়োশিহিসা উচিদা বলেন, ডপলার রাডার কৃষিনির্ভর উত্তরাঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

প্রথম দেশ হিসেবে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিলো রাশিয়া

আফগানিস্তানের তালেবানশাসিত সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া। প্রথম দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়া এ সরকাকে স্বীকৃতি দিলো। এর আগে চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উজবেকিস্তান ও পাকিস্তান কাবুলে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করলেও তালেবান সরকারের চার বছরের শাসনামলে রাশিয়াই একমাত্র দেশ যারা তাদের সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিলো। রাশিয়ার এ সিদ্ধান্তকে ‌‘সাহসী’ পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। খবর-বিবিসি 

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তান’কে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দ্বিপাক্ষিক কার্যকর সহযোগিতার পথে গতি আনবে। রাশিয়া জানিয়েছে, তারা জ্বালানি, পরিবহন, কৃষি ও অবকাঠামো খাতে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্ভাবনা দেখছে। সন্ত্রাস ও মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে কাবুলকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে রাশিয়া। 

এর আগে কাবুলে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি জিরনোভের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠক করেন মুত্তাকি। সেখানে দিমিত্রি আনুষ্ঠানিকভাবে রুশ সরকারের সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানকে জানিয়ে দেন। এই স্বীকৃতিকে মুত্তাকি ‘ইতিবাচক সম্পর্কের নতুন অধ্যায়, পারস্পরিক সম্মান এবং গঠনমূলক অংশীদারিত্ব’ এর সূচনা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটি অন্য দেশগুলোর জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ