চসিক সভা থেকে কর্মকর্তাকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ, বিএনপি নেতার অস্বীকার
Published: 14th, May 2025 GMT
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সভা থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাকে বিএনপির এক নেতা বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের কাছে অভিযোগটি করেন এক্সটেনসিভ মিডিয়া নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চিফ এক্সিকিউটিভ সরোজ বড়ুয়া।
জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি চসিকের সৌন্দর্যবর্ধন কাজের দরপত্রে অংশ নিয়েছে। আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সিটি মেয়র ধারাবাহিক সভা করছেন। গত সোমবার চসিকের টাইগারপাস কার্যালয়ে সভা বসে। এ সময় সভায় উপস্থিত থাকা ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মিনহাজুল আলমকে নগর বিএনপির সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম স্বপন বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বপন।
সরোজ বড়ুয়ার অভিযোগ, গত সোমবার সৌন্দর্যবর্ধনের লক্ষ্যে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ডাকেন মেয়র। দুপুর ২টার দিকে তাঁর প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মিনহাজুল সভাকক্ষে উপস্থিত হন। এ সময় বিএনপি নেতা স্বপন তাঁকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। বের না হলে পিটিয়ে বের করবেন বলেও হুমকি দেন। পরে মিনহাজুল সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে যান।
মিনহাজুল বলেন, ‘মেয়রের সঙ্গে সকাল ১০টা থেকে পূর্বনির্ধারিত সভা ছিল। দুপুর একটা পর্যন্ত আমার প্রতিষ্ঠানকে পরিকল্পনা তুলে ধরতে ডাকা হয়নি। বিরতির সময় মেয়রকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি ২টার পর সভাস্থলে আসতে বলেন। পৌনে দুইটার দিকে উপস্থিত হলে বিএনপি নেতা স্বপন আমাকে বের করে দেন।’
বিএনপি নেতা স্বপনের দাবি, ‘অভিযোগটি মিথ্যা ও বানোয়াট। সোমবার আমি সিটি করপোরেশনেই যাইনি। সিসি ক্যামেরা দেখুন, এ ধরণের কোনো ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত না।’
চসিকের নগর পরিকল্পনাবিদ আবদুল্লাহ আল ওমর সমকালকে বলেন, ‘সোমবার সোয়া ২টা থেকে সভা শুরু হয়ে ৪টা পর্যন্ত চলে। শান্তিপূর্ণভাবে সভা শেষ হয়েছে। এ ধরণের কোনো ঘটনা আমার সামনে ঘটেনি। কেউ অভিযোগও করেনি।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর মকর ত স মব র ব র কর ব এনপ স বপন
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
বিচার না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র অবগত আছে জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার (১৩ মে) প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-মুখপাত্র টমি পিগট।
তিনি বলেন, “আমরা জানি যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগকে সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেছে, যতক্ষণ না দল এবং এর নেতাদের বিচার কার্যক্রম শেষ না হয়। আমরা বাংলাদেশের কোনো একক রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। আমরা একটি মুক্ত, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য ন্যায়সংগত এবং আইনি আচরণে বিশ্বাস করি।”
আরো পড়ুন:
সৌদি আরব পৌঁছেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
৯০ দিনের জন্য পারস্পরিক শুল্ক প্রত্যাহারে সম্মত যুক্তরাষ্ট্র-চীন
টমি পিগট আরো বলেন, “আমরা বাংলাদেশসহ সব দেশের প্রতি আহ্বান জানাই তারা যেন মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং সব সংগঠনের স্বাধীনতাকে সম্মান করে।”
তিনি বলেন, “আমরা ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্বকে মূল্যবান বলে মনে করি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করে আমাদের অংশীদারিত্ব আরও গভীর করার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
এদিকে, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাংবাদিক সম্মেলনে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “কোনো উপযুক্ত পদ্ধতি অনুসরণ না করেই আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ একটি উদ্বেগজনক ঘটনা।”
তিনি আরো জানান, (বাংলাদেশে) গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা যেভাবে খর্ব করা হচ্ছে এবং রাজনৈতিক পরিসর (পলিটিক্যাল স্পেস) সংকুচিত হয়ে আসছে তাতে একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারত স্বভাবতই উদ্বিগ্ন বোধ করছে।
একই সঙ্গে বাংলাদেশে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন আয়োজন করার দাবিও পুনর্ব্যক্ত করেছে ভারত।
ঢাকা/ফিরোজ