ই-ক্যাব নির্বাচন স্থগিত, বিরক্ত সংগঠনের সদস্য ও প্রার্থীরা
Published: 14th, May 2025 GMT
দেশের ই-কমার্স খাতের সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) ২০২৫-২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন ৩১ মে হওয়ার কথা থাকলেও আজ বুধবার এক চিঠিতে নির্বাচন স্থগিত করেছে ই-ক্যাবের নির্বাচন বোর্ড। বিষয়টি স্বীকার করে ই-ক্যাবের প্রশাসক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল সেলের উপসচিব মুহাম্মদ সাঈদ আলী আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল; কিন্তু আজ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে ই-ক্যাবের কয়েকজন সদস্য ভোটার হতে না পারায় ও নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা কম থাকার অজুহাতে নির্বাচন পেছানোর আবেদন করেছিলেন। আমরা সে আবেদন আমলে নিইনি, কারণ তাঁদের সংখ্যা ছিল খুবই কম। কিন্তু তাঁরা পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নির্বাচন স্থগিতের আবেদন করেন। আমরা নতুন তারিখ ঘোষণা করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন আয়োজন করব।’
নির্বাচন স্থগিত করার বিষয়ে ই-ক্যাবের নির্বাচন বোর্ডের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) ২০২৫-২৭ মেয়াদি দ্বিবার্ষিক-বার্ষিক নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন বোর্ড কর্তৃক গত ৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে ঘোষিত নির্বাচন তফসিলের সার্বিক কার্যক্রম অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হলো।’ নির্বাচন স্থগিত সম্পর্কে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশে নির্বাচন বোর্ডের সদস্য শাহাদাৎ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে ‘টিম ইউনাইটেড’ ও ‘টিম টাইগার’ নামের দুটি প্যানেল ঘোষণা করেছেন আগ্রহী প্রার্থীরা। নিজেদের প্যানেলের পক্ষে সদস্যদের কাছে প্রচারণাও চালাচ্ছিলেন তাঁরা। আর তাই হঠাৎ করে নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় বেশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ সদস্য ও প্রার্থীরা। এ বিষয়ে টিম টাইগার প্যানেলের প্রার্থী মোহাম্মদ নূরুজ্জামান বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। মাত্র এক–দুজন সদস্য নির্বাচন পেছানোর দাবি করেছেন। এর আগেও নির্বাচন পেছানো হয়েছে। নির্বাচন স্থগিতের পর নতুন করে ভোটার হওয়ার সুযোগ দেওয়া কতটুকু ভালো হবে, তা আমার জানা নেই। আমরা ই-ক্যাব কর্তৃপক্ষের কাছে নির্বাচন পেছানোর কারণ জানতে চেয়েছিলাম। তাঁরা জানিয়েছেন, ই-ক্যাব কার্যালয় থেকে কোনো কিছু করা হয়নি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
আরও পড়ুনই-ক্যাব নির্বাচনে ‘টিম টাইগার’ প্যানেলের আত্মপ্রকাশ১২ মে ২০২৫টিম ইউনাইটেড প্যানেলের প্রার্থী মোছা জান্নাতুল হক বলেন, ‘নির্বাচন স্থগিত হওয়াটা সদস্য, ভোটার ও প্রার্থী সবার জন্য খুবই হতাশাজনক। দীর্ঘদিন প্রশাসক থাকার কারণে সংগঠনের নীতিনির্ধারণী বিভিন্ন কাজ ঠিকমতো করা যাচ্ছে না। এর ফলে উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি সংগঠনও পিছিয়ে পড়ছে। এর আগেও একবার নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এভাবে চলতে থাকলে ই-ক্যাবের সদস্যদের গণতান্ত্রিক চর্চা ব্যাহত হবে এবং সংগঠন হিসেবে ই-ক্যাব মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ই-কমার্স খাতের উন্নয়নে এই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে যথা সময়ে নির্বাচন আয়োজন চাই আমরা।’
উল্লেখ্য, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ৩৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ভোটার রয়েছেন ৫০২ জন।
আরও পড়ুনই-ক্যাব নির্বাচনের জন্য প্যানেল ঘোষণা করল ‘টিম ইউনাইটেড’০৯ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইংরেজি ও জাপানি ভাষা জানলে বাড়তি সুবিধা
উন্নত গবেষণা সুবিধা, প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিকমানের বিশ্ববিদ্যালয় এবং নিরাপদ ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ পরিবেশ– এসবের সমন্বয়ে জাপান এখন বিশ্বের উচ্চশিক্ষার্থীদের কাছে একটি কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। প্রতিবছর বিশ্বের হাজার হাজার শিক্ষার্থীর মতো বাংলাদেশ থেকেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষার্থী জাপানে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণে পা বাড়াচ্ছেন। জাপান স্টাডি সাপোর্ট স্কলারশিপ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য জাপানে উচ্চশিক্ষা অর্জনের একটি চমৎকার সুযোগ।
এটি মূলত স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য। জাপানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা, যাতে তারা টিউশন ফি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করতে পারে। এই স্কলারশিপ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জাপানি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সহায়তা করে। এই স্কলারশিপে সাধারণত আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হয়। যদিও বিভিন্ন সেশনে এর পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে
২০২৫ সালের জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া চলছে। বিশ্বের যে কোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তি পেতে চাইলে আবেদন করতে হবে। এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপান, যেখানে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনভিত্তিক বহু আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্র রয়েছে, যা পড়াশোনার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে।
বৃত্তির সুযোগ–সুবিধা
l নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা জীবনযাত্রার খরচ পাবেন।
l শিক্ষার ব্যয় নির্বাহের জন্য মিলবে আর্থিক সহায়তা।
l জাপানের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ।
l আর্থিক সুবিধা হিসেবে থাকছে পাঁচ লাখ জাপানি ইয়েন।
আবেদনের যোগ্যতা
প্রার্থীদের সেপ্টেম্বর–নভেম্বর সেশনে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে। প্রার্থীদের অবশ্যই জাপান স্টাডি সাপোর্টের একটি নিবন্ধিত ‘মাই পেজ’ থাকতে হবে। ইংরেজি ও জাপানিজ দুই ভাষার দক্ষতা থাকতে হবে।
বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপানে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনভিত্তিক বহু আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্র রয়েছে, যা পড়াশোনার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করে।
আবেদনের শেষ তারিখ
৩১ অক্টোবর ২০২৫।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। বিস্তারিত জানা যাবে : https://www.jpss.jp/en/