অ্যাথলেট ফুট কিন্তু শুধু পায়ের অসুখ নয়
Published: 14th, May 2025 GMT
অ্যাথলেট ফুট একধরনের ছত্রাকজনিত বা ফাঙ্গাল ইনফেকশন, যা মূলত পায়ের তলার চামড়া, দুই আঙুলের মাঝখানে, কোমরের ভাঁজে, মাথার তালুতে হয়। অত্যন্ত ছোঁয়াচে রোগটি আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে খুব দ্রুত অন্যের মধ্যে ছড়ায়। আক্রান্ত স্থানে অনেক সময় লাল রিংয়ের মতো র্যাশ হয় বলে একে রিংওয়ার্মও বলে। আর চিকিত্সাবিজ্ঞানে বলে টেনিয়া পেডিস।
কাদের হয়
অ্যাথলেট বা ক্রীড়াবিদেরা এই সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন বলেই এর নাম হয়েছে অ্যাথলেট ফুট। খেলোয়াড় ছাড়াও যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, স্থূলতায় ভুগছেন, তাঁদের মধ্যে অ্যাথলেট ফুট বেশি দেখা যায়।
কীভাবে হয়
আর্দ্রতা ও গরম পরিবেশে ছত্রাক দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
ঘামযুক্ত পা, ভেজা মোজা বা জুতা দীর্ঘক্ষণ পরলে ঝুঁকি বেশি।
পাবলিক শাওয়ার, সুইমিংপুল, জিমে খালি পায়ে হাঁটলে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
পরিবারের অন্য কেউ আক্রান্ত থাকলে সহজে সংক্রমণ হতে পারে।
আরও পড়ুনগোড়ালি ব্যথা কমাতে যা করতে পারেন৩১ আগস্ট ২০২৩লক্ষণ কী
পায়ের আঙুলের ফাঁকে লাল বা সাদা হয়ে ফেটে যায় ও ভেজা ভেজা থাকে। সব সময় জ্বালাপোড়া হয়। আক্রান্ত স্থানে ভীষণ চুলকানি থাকে। পায়ে হয় ভীষণ দুর্গন্ধ। কোমরে বা মাথায় এই সমস্যা হলে লাল র্যাশ হয়, অনেক সময় ফোসকা পড়ে যায়।
চিকিত্সা কী
চিকিত্সকের পরামর্শে অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম, লোশন, শ্যাম্পু বা পাউডার ব্যবহার করতে হবে। অনেক সময় ওষুধ খেতে হতে পারে। চিকিত্সা নিতে হয় এক থেকে তিন মাস পর্যন্ত।
প্রতিরোধের উপায়
পা সব সময় শুকনা ও পরিষ্কার রাখতে হবে।
ব্যক্তিগত জিনিসপত্র, যেমন জামা, তোয়ালে, চিরুনি, ব্রাশ অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করা যাবে না।
না ধোয়া কাপড়, অন্যের ব্যবহৃত জার্সি, জিম ম্যাট, স্পোর্টস সরঞ্জাম ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলার পর অবশ্যই গোসল করতে হবে এবং শুকনা তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলতে হবে।
সুইমিংপুল, জিম, লকার রুমের মতো জায়গায় খালি পায়ে হাঁটা যাবে না। এসব জায়গায় সব সময় স্লিপার বা স্যান্ডেল পরতে হবে।
প্রতিদিন মোজা ও অন্তর্বাস পরিবর্তন করতে হবে।
পরিবারের অন্য সদস্যদের ফাঙ্গাল ইনফেকশন আছে কি না, দেখতে হবে ও চিকিত্সা করতে হবে।
ডা.
আফলাতুন আকতার জাহান, জুনিয়র কনসালটেন্ট, ইন্টার্নাল মেডিসিন বিভাগ, স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড, ঢাকা
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক রমণ
এছাড়াও পড়ুন:
নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই।
ব্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।
আরো পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ উদ্যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল।
বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।
ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’।
বিস্তারিত আসছে …
ঢাকা/ইয়াসিন