ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপি। প্রায় এক যুগ আগে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন।

পরবর্তীতে রুপালি জগত ছেড়ে ইসলামি জীবনযাপন শুরু করেন নাজনীন আক্তার হ্যাপি। বিয়ে করেন মুফতি মোহাম্মদ তালহা নামে একজন মাদরাসা শিক্ষককে। অনেক দিন ধরে দাম্পত্য জীবন ভালো যাচ্ছে না তাদের। এবার স্বামীর বিরুদ্ধে মারধর, ৯টি বিয়েসহ নানা অভিযোগ তুললেন এই প্রাক্তন অভিনেত্রী।

শুক্রবার (১৬ মে) ভোররাতে নাজনীন আক্তার হ্যাপি তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন। লেখার শুরুতে তিনি বলেন, “আমি যতগুলো পোস্ট করেছি সবগুলো প্রমাণসহ কথা বলেছি, ভিডিও দিয়েছি। আর ভণ্ড তালহা প্রমাণ ছাড়া আমার পরিবার সম্পর্কে এবং আমার সম্পর্কে যে সমস্ত কথাবার্তাগুলো বলেছে তার জন্য মানহানি মামলার জন্য প্রস্তুত থাকুন ইনশাআল্লাহ। লাইভটি সেভ করে রাখা হয়েছে যত্ন সহকারে।”

আরো পড়ুন:

আবার একসঙ্গে আমির-হিরানি

মধ্যপ্রাচ্যের চার দেশে মুক্তি পেল শাকিবের ‘বরবাদ’

মানহানির মামলা করার কথা উল্লেখ করে হ্যাপি বলেন, “সমস্যা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এখানে থার্ড পারসনের কোনো জায়গা নেই। অথচ নিজের দোষ ঢাকার জন্য তারপর মিথ্যা একটা ভিডিও স্টেটমেন্ট দেয়া হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ এটা আমার জন্য খুব ভালো হয়েছে। কারণ প্রমাণ ছাড়া কারো বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ করা দণ্ডনীয় অপরাধ। এর জন্য আপনি মানহানি মামলার জন্য প্রস্তুত থাকেন। দেখি কত টাকার গরম আপনার!” 

ফেসবুক লাইভে নিজের দোষ ঢাকার চেষ্টা করেছেন তালহা। তা জানিয়ে নাজনীন আক্তার হ্যাপি বলেন, “আমার এবং আমার পরিবার সম্পর্কে যে সমস্ত মিথ্যা বলা হয়েছে, এগুলোর প্রমাণ সে দেখাক। যদি সে সত্যিকার হয় মুখের কথা গ্রহণযোগ্য না, প্রমাণ হচ্ছে আসল। এসব কথা লাইভে বলে নিজের দোষ ঢাকার চেষ্টা তালহার মতো অসভ্যের জন্য জন্য ঠিক আছে। আল্লাহপাক ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না। নিজের অপকর্ম ঢাকার জন্য মূল অভিযোগ থেকে সরে গিয়ে নানা মিথ্যা কাহিনি বেশি দিন রপ্ত করে রাখা যায় না। আল্লাহ পাক যখন ধরবেন তখন কোনো কূল কিনারা পাওয়া যাবে না। অনেক করেছেন এবার অপেক্ষা করুন আল্লাহ পাকের আজাবের জন্য।” 

প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে নাজনীন আক্তার হ্যাপি বলেন, “মানুষকে বলে বেড়ান যে বাচ্চার জন্য আমার মতো খারাপ মহিলাকে আপনি সংসারে রেখে দিয়েছেন। খুলনায় হাফসার ঘরে যে আপনার কন্যা সন্তান সেটাও তো আপনার সন্তান তাহলে তাকে কেন তালাক দিয়েছেন বা তালাক দেওয়ার পরেও তাকে কেন ফিরিয়ে আনেন নি? সন্তানটাই আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ? নিজের বিষয়টা খোলাসা করুন সাহস থাকলে।” 

তার স্বামী ৯টি বিয়ে করেছে, এ তথ্য উল্লেখ করে নাজনীন আক্তার হ্যাপি বলেন, “কত বড় মিথ্যাবাদী হলে আপনি নয়টা বিয়ের কথা অস্বীকার করেন। আর যারা আপনার মতো মিথ্যাবাদীকে বিশ্বাস করে আমার চরিত্রের উপরে তহমত দিচ্ছে এটার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার। এর জন্য আমি আপনাকে মাফ করব না আপনি হিসাব দিবেন ইনশাআল্লাহ।” 

জটিলতা না বাড়িয়ে বৈধ উপায়ে তালাক চেয়েছেন নাজনীন আক্তার হ্যাপি। কিন্তু তা দেননি তার স্বামী। এ তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমি অসংখ্যবার পোস্টে করে আপনাকে উল্লেখ করে বলছি, আপনি আমাকে সুন্দর করে তালাক দিয়ে দিন আমি সংসার করতে চাই না। আপনি পেঁচিয়ে তালগাছটা আমার করে রেখে দেন মানুষের সামনে বলেন তালাক দিব। এরপর এক একটা কাহিনি করে তাল একটা ঝুলিয়ে রাখেন, তালাক দেন না। আপনি আমাকে সরাসরি তালাক দিয়ে দিন। জোর করে কি মানুষকে আটকে রাখা যায়?”

দীর্ঘ দিন ধরে স্বামীর সঙ্গে জটিলতা চলছে নাজনীন আক্তার হ্যাপির। তা জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনার কথা অনুযায়ী যদি আমি বিয়ে ব্যবসায়ী হতাম তাহলে আট বছর আপনার সাথে কেন কাটালাম। আপনাকে সব ভরণপোষণ দিয়ে ৮ বছরে কমপক্ষে আটটা বিয়ে করতে পারতাম। আপনার নির্যাতন সহ্য করে, সবর করে দেখলাম আপনি ভালো হন কিনা। বাচ্চার কথা ভেবে আমার জীবনের এতগুলো বছর নষ্ট করা ভুল হয়েছে।”

গত ১২ মে স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন হ্যাপি। ১৪ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান হ্যাপির আইনজীবী অ্যাডভোকেট জান্নাতুল ফেরদৌস।   

২০১৩ সালে মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘কিছু আশা কিছু ভালোবাসা’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় হ্যাপির। এরপর বদরুল আমিনের ‘রিয়েলম্যান’, মুশফিকুর রহমান গুলজারের ‘লাল সবুজের সুর’, মেজবাহ শিকদারের ‘অন্যরকম’, জামশেদুর রহমানের ‘ছন্দপতন’ চলচ্চিত্রে কাজ করেন। এ ছাড়া কয়েকটি বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন তিনি।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আল ল হ কর ছ ন র জন য আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা

রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।

আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।

লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।

গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
  • শাহরুখকে ‘কুৎসিত’ বলেছিলেন হেমা মালিনী, এরপর...
  • প্রথম দেখায় প্রেম নাকি ঝগড়া? আসছে ইয়াশ–তটিনীর ‘তোমার জন্য মন’
  • জেমিনিতে যুক্ত হলো গুগল স্লাইডস তৈরির সুবিধা, করবেন যেভাবে
  • নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
  • রোহিতের পর কোহলির রেকর্ডও কাড়লেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়
  • নাজমুলই থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক
  • বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
  • সিলেটে বাসদ কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান, আটক ২২
  • যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা