কতটা মিথ্যাবাদী হলে ৯টা বিয়ের কথা অস্বীকার করেন: হ্যাপি
Published: 16th, May 2025 GMT
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপি। প্রায় এক যুগ আগে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন।
পরবর্তীতে রুপালি জগত ছেড়ে ইসলামি জীবনযাপন শুরু করেন নাজনীন আক্তার হ্যাপি। বিয়ে করেন মুফতি মোহাম্মদ তালহা নামে একজন মাদরাসা শিক্ষককে। অনেক দিন ধরে দাম্পত্য জীবন ভালো যাচ্ছে না তাদের। এবার স্বামীর বিরুদ্ধে মারধর, ৯টি বিয়েসহ নানা অভিযোগ তুললেন এই প্রাক্তন অভিনেত্রী।
শুক্রবার (১৬ মে) ভোররাতে নাজনীন আক্তার হ্যাপি তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন। লেখার শুরুতে তিনি বলেন, “আমি যতগুলো পোস্ট করেছি সবগুলো প্রমাণসহ কথা বলেছি, ভিডিও দিয়েছি। আর ভণ্ড তালহা প্রমাণ ছাড়া আমার পরিবার সম্পর্কে এবং আমার সম্পর্কে যে সমস্ত কথাবার্তাগুলো বলেছে তার জন্য মানহানি মামলার জন্য প্রস্তুত থাকুন ইনশাআল্লাহ। লাইভটি সেভ করে রাখা হয়েছে যত্ন সহকারে।”
আরো পড়ুন:
আবার একসঙ্গে আমির-হিরানি
মধ্যপ্রাচ্যের চার দেশে মুক্তি পেল শাকিবের ‘বরবাদ’
মানহানির মামলা করার কথা উল্লেখ করে হ্যাপি বলেন, “সমস্যা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এখানে থার্ড পারসনের কোনো জায়গা নেই। অথচ নিজের দোষ ঢাকার জন্য তারপর মিথ্যা একটা ভিডিও স্টেটমেন্ট দেয়া হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ এটা আমার জন্য খুব ভালো হয়েছে। কারণ প্রমাণ ছাড়া কারো বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ করা দণ্ডনীয় অপরাধ। এর জন্য আপনি মানহানি মামলার জন্য প্রস্তুত থাকেন। দেখি কত টাকার গরম আপনার!”
ফেসবুক লাইভে নিজের দোষ ঢাকার চেষ্টা করেছেন তালহা। তা জানিয়ে নাজনীন আক্তার হ্যাপি বলেন, “আমার এবং আমার পরিবার সম্পর্কে যে সমস্ত মিথ্যা বলা হয়েছে, এগুলোর প্রমাণ সে দেখাক। যদি সে সত্যিকার হয় মুখের কথা গ্রহণযোগ্য না, প্রমাণ হচ্ছে আসল। এসব কথা লাইভে বলে নিজের দোষ ঢাকার চেষ্টা তালহার মতো অসভ্যের জন্য জন্য ঠিক আছে। আল্লাহপাক ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না। নিজের অপকর্ম ঢাকার জন্য মূল অভিযোগ থেকে সরে গিয়ে নানা মিথ্যা কাহিনি বেশি দিন রপ্ত করে রাখা যায় না। আল্লাহ পাক যখন ধরবেন তখন কোনো কূল কিনারা পাওয়া যাবে না। অনেক করেছেন এবার অপেক্ষা করুন আল্লাহ পাকের আজাবের জন্য।”
প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে নাজনীন আক্তার হ্যাপি বলেন, “মানুষকে বলে বেড়ান যে বাচ্চার জন্য আমার মতো খারাপ মহিলাকে আপনি সংসারে রেখে দিয়েছেন। খুলনায় হাফসার ঘরে যে আপনার কন্যা সন্তান সেটাও তো আপনার সন্তান তাহলে তাকে কেন তালাক দিয়েছেন বা তালাক দেওয়ার পরেও তাকে কেন ফিরিয়ে আনেন নি? সন্তানটাই আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ? নিজের বিষয়টা খোলাসা করুন সাহস থাকলে।”
তার স্বামী ৯টি বিয়ে করেছে, এ তথ্য উল্লেখ করে নাজনীন আক্তার হ্যাপি বলেন, “কত বড় মিথ্যাবাদী হলে আপনি নয়টা বিয়ের কথা অস্বীকার করেন। আর যারা আপনার মতো মিথ্যাবাদীকে বিশ্বাস করে আমার চরিত্রের উপরে তহমত দিচ্ছে এটার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার। এর জন্য আমি আপনাকে মাফ করব না আপনি হিসাব দিবেন ইনশাআল্লাহ।”
জটিলতা না বাড়িয়ে বৈধ উপায়ে তালাক চেয়েছেন নাজনীন আক্তার হ্যাপি। কিন্তু তা দেননি তার স্বামী। এ তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমি অসংখ্যবার পোস্টে করে আপনাকে উল্লেখ করে বলছি, আপনি আমাকে সুন্দর করে তালাক দিয়ে দিন আমি সংসার করতে চাই না। আপনি পেঁচিয়ে তালগাছটা আমার করে রেখে দেন মানুষের সামনে বলেন তালাক দিব। এরপর এক একটা কাহিনি করে তাল একটা ঝুলিয়ে রাখেন, তালাক দেন না। আপনি আমাকে সরাসরি তালাক দিয়ে দিন। জোর করে কি মানুষকে আটকে রাখা যায়?”
দীর্ঘ দিন ধরে স্বামীর সঙ্গে জটিলতা চলছে নাজনীন আক্তার হ্যাপির। তা জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনার কথা অনুযায়ী যদি আমি বিয়ে ব্যবসায়ী হতাম তাহলে আট বছর আপনার সাথে কেন কাটালাম। আপনাকে সব ভরণপোষণ দিয়ে ৮ বছরে কমপক্ষে আটটা বিয়ে করতে পারতাম। আপনার নির্যাতন সহ্য করে, সবর করে দেখলাম আপনি ভালো হন কিনা। বাচ্চার কথা ভেবে আমার জীবনের এতগুলো বছর নষ্ট করা ভুল হয়েছে।”
গত ১২ মে স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন হ্যাপি। ১৪ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান হ্যাপির আইনজীবী অ্যাডভোকেট জান্নাতুল ফেরদৌস।
২০১৩ সালে মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘কিছু আশা কিছু ভালোবাসা’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় হ্যাপির। এরপর বদরুল আমিনের ‘রিয়েলম্যান’, মুশফিকুর রহমান গুলজারের ‘লাল সবুজের সুর’, মেজবাহ শিকদারের ‘অন্যরকম’, জামশেদুর রহমানের ‘ছন্দপতন’ চলচ্চিত্রে কাজ করেন। এ ছাড়া কয়েকটি বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন তিনি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আল ল হ কর ছ ন র জন য আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
হারিয়ে যাওয়া ভাষা রক্ষায় এআই
দ্বাদশ শতাব্দীর শুরু থেকে জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় দ্বীপের বাসিন্দারা আইনু ভাষায় কথা বলতেন। একসময় হাজারো মানুষ এই ভাষায় কথা বললেও এখন আইনুভাষীর সংখ্যা মাত্র কয়েকজন। আর তাই ইউনেসকো ভাষাটিকে বিপন্ন ভাষা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া এই আইনু ভাষা সংরক্ষণের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পুরোনো ধারণ করা অডিও শোনানো হচ্ছে। এরপর এআই কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে আইনু ভাষা চর্চা করছেন বিজ্ঞানীরা।
১৮৭০ সাল নাগাদ জাপানের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ আইনু ভাষায় কথা বলত। পরবর্তী সময় দেশটির বিদ্যালয়ে আইনু ভাষার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর সরকারি বিভিন্ন নীতিমালার কারণে ধীরে ধীরে এই ভাষা ও সংস্কৃতি প্রায় হারিয়ে যায়। সম্প্রতি আইনু ভাষা ও সংস্কৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করার কাজ শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। আর এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি।
আইনু ভাষা ও সংস্কৃতি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গেলেও ভাষাটির বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ করা রয়েছে। আর তাই বর্তমানে এআই স্পিচ রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তথ্যগুলো সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের নেতৃত্ব দেওয়া কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞানের অধ্যাপক তাতসুয়া কাওয়াহারা জানিয়েছেন, শব্দের মান খুব ভালো নয়। অনেক ভিডিও বাড়িতে অ্যানালগ যন্ত্রে ধারণ করায় বাড়তি শব্দ রয়েছে। কাজটি সত্যিই চ্যালেঞ্জিং।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, নতুন এ পদ্ধতিতে এআইয়ের জন্য বিশাল তথ্যভান্ডার তৈরি করা হচ্ছে। এআই নিজে ভাষার নিয়ম বুঝতে চেষ্টা করে প্রতিলিপি করতে পারলেও আইনুর মতো বিপন্ন ভাষার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। আর তাই এআই প্রযুক্তিকে আইনু ভাষার বিভিন্ন বক্তব্যকে পাঠ্যে রূপান্তরের পদ্ধতি শেখানো হচ্ছে। এরপর পাঠ্য থেকে বক্তৃতা তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে এআই।
সূত্র: বিবিসি