সিরাজগঞ্জে যুবদল-কৃষক দলের ৩ নেতাকর্মীকে গণপিটুনি
Published: 17th, May 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা উপজেলায় পুকুর খননকারীর কাছ থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগে যুবদল ও কৃষক দলের তিন নেতাকর্মীকে গণপিটুনি দিয়ে থানায় সোপর্দ করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এ সময় তাদের তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। ওই গণপিটুনির ১ মিনিট ২০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
শনিবার (১৭ মে) দুপুরে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, ওই তিন জনকে শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে রায়গঞ্জের ধুবিল ইউনিয়নের নইপাড়া এলাকায় পিটুনি দেয় এলাকাবাসী। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
গণপিটুনির শিকার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—সলঙ্গা থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মোমিন, সদস্য রোকনুজ্জামান খোকন ও সলঙ্গা থানা কৃষক দলের সদস্য সচিব আব্দুস সোবহান।
স্থানীয় বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম ও আরব আলী জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেলে শহিদুল ইসলামের পুকুর খনন চলাকালে সাত-আটটি মোটরসাইকেলে করে আট-দশ জন এসে চাঁদা দাবি করেন। এ সময় এলাকার বিক্ষুব্ধ নারী-পুরুষরা তাদের তিন জনকে আটকে রেখে গণপিটুনি দেন। বাকিরা পালিয়ে যায়। উত্তেজিত জনতা তাদের তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, বিক্ষুব্ধ জনতা যুবদল ও কৃষক দলের ওই নেতাকর্মীদের আটকে রেখে মারধর করছে।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির বলেছেন, সংবাদ পেয়ে আটক রাখা তিন জনকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। মামলা হলে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সলঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মতিয়ার রহমান সরকার বলেছেন, চাঁদা দাবি ও মারপিটের বিষয়টি আমার জানা নেই। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।
ঢাকা/অদিত্য/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণপ ট ন ত কর ম য বদল সলঙ গ
এছাড়াও পড়ুন:
রায়কে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বললেন শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়কে পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নিন্দা জানিয়েছেন।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) রায়ের পর প্রকাশিত পাঁচ পৃষ্ঠার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নিস্ক্রিয় করে দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের একটি পন্থা হচ্ছে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া।”
আরো পড়ুন:
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ‘অতীতের প্রতিশোধ নয়’: প্রধান কৌঁসুলি
এই রায়ে কষ্ট পেয়েছি: শেখ হাসিনার আইনজীবী
ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনা এর আগে এ বিচার প্রক্রিয়াকে ‘প্রহসন’ বলে অভিহিত করেছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।
তিনি বলেন, “এমন একটি ট্রাইব্যুনাল যেখানে ন্যায্যভাবে অভিযোগ যাচাই ও পরীক্ষা করা হয়, সেখানে অভিযোগকারীদের মুখোমুখি হতে আমি ভয় পাই না।”
তিনি আরো যোগ করেন, তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে চ্যালেঞ্জ করেছেন, এই অভিযোগগুলো হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে নিয়ে যেতে।
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, তিনি তার মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংক্রান্ত রেকর্ড নিয়ে অত্যন্ত গর্বিত।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। দুটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রায় ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়। ৪৫৩ পৃষ্ঠার এই রায়ে ছয়টি অংশ রয়েছে।
রায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির অপরাধ প্রমাণিত। দুটি অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একটি অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী) হওয়ায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি অনলাইন
ঢাকা/রফিক