সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা উপজেলায় পুকুর খননকারীর কাছ থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগে যুবদল ও কৃষক দলের তিন নেতাকর্মীকে গণপিটুনি দিয়ে থানায় সোপর্দ করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এ সময় তাদের তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। ওই গণপিটুনির ১ মিনিট ২০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

শনিবার (১৭ মে) দুপুরে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, ওই তিন জনকে শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে রায়গঞ্জের ধুবিল ইউনিয়নের নইপাড়া এলাকায় পিটুনি দেয় এলাকাবাসী। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। 

গণপিটুনির শিকার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—সলঙ্গা থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মোমিন, সদস্য রোকনুজ্জামান খোকন ও সলঙ্গা থানা কৃষক দলের সদস্য সচিব আব্দুস সোবহান।

স্থানীয় বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম ও আরব আলী জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেলে শহিদুল ইসলামের পুকুর খনন চলাকালে সাত-আটটি মোটরসাইকেলে করে আট-দশ জন এসে চাঁদা দাবি করেন। এ সময় এলাকার বিক্ষুব্ধ নারী-পুরুষরা তাদের তিন জনকে আটকে রেখে গণপিটুনি দেন। বাকিরা পালিয়ে যায়। উত্তেজিত জনতা তাদের তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। 

ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, বিক্ষুব্ধ জনতা যুবদল ও কৃষক দলের ওই নেতাকর্মীদের আটকে রেখে মারধর করছে।   

সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির বলেছেন, সংবাদ পেয়ে আটক রাখা তিন জনকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। মামলা হলে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।

জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সলঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মতিয়ার রহমান সরকার বলেছেন, চাঁদা দাবি ও মারপিটের বিষয়টি আমার জানা নেই। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।

ঢাকা/অদিত্য/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণপ ট ন ত কর ম য বদল সলঙ গ

এছাড়াও পড়ুন:

সাঁকো দিয়ে ক্লিনিকে যাতায়াত ঝুঁকিতে সেবাগ্রহীতা

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার স্নানঘাটে খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক। সেতু নির্মাণ না হওয়ায় কাঠের সাঁকোতে ঝুঁকি নিয়ে ক্লিনিকে যাতায়াত করছেন সেবাগ্রহীতারা। পুরোনো ও নড়বড়ে কাঠের সাঁকোতে যাতায়াতে যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।    
স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০২০ সালে স্নানঘাট বাজারসংলগ্ন খালের অপর পাশে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়। গত ৫ বছরেও সেখানে যাতায়াতের রাস্তা বা সেতু নির্মাণ করা হয়নি। কাঠের সাঁকোতে যাতায়াত করতে 
গিয়ে ভোগান্তির পাশাপাশি প্রায়ই দুর্ঘটনা শিকার হচ্ছেন সেবাগ্রহীতারা। 
সরেজমিন দেখা যায়, পুরোনো হওয়ায় নড়বড়ে হয়ে পড়েছে সাঁকোটি। ঝুঁকি নিয়েই সাঁকো পার হয়ে ক্লিনিকে যাতায়াত করছেন রোগীরা। অনেক সেবাপ্রত্যাশীর সঙ্গে শিশুরা সেখানে যাতায়াত করছে। বিশেষ করে বৃদ্ধ, নারী ও শিশুরা ভয় নিয়েই সাঁকো পার হচ্ছে। 
স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা সাফিয়া বেগম বলেন, ‘ডাক্তার দেখাতে ও ওষুধ নিতে প্রায়ই ক্লিনিকে আসি। কিন্তু  ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে, যা খুবই ভয় লাগে।’
খন্দকার পারভেজ নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানালেন, ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে রোগীদের অনেক কষ্ট হয়। এমনকি খালে পড়ে অনেকেই আহত হয়েছেন।
রাবিয়া বেগম নামে এক সেবাপ্রত্যাশী বলেন, ‘ক্লিনিকে বাচ্চাদের নিয়ে আসতে ভয় হয়, কখন জানি এটা ভেঙে পড়ে।’
ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) বিজন সূত্রধর বলেন, এই ক্লিনিকে রোগীর সংখ্যা বেশি। ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পার হয়ে রোগীকে ক্লিনিকে আসতে হচ্ছে। বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের যাতায়াত করতে কষ্ট হয়। 
বিজন সূত্রধর জানান, দুইবার এ ক্লিনিকের সেতু নির্মাণের জন্য টেন্ডার হয়েছে। প্রথমবার কেন টেন্ডার বাতিল হয়েছে সেটা জানা নেই। দ্বিতীয়বার ক্লিনিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পিআইওর সঙ্গে সেতুর বিষয়ে আলাপ করলে তিনি জানান, ড্রয়িং ভুল হয়েছে। এ কারণে সেতুটি হচ্ছে না। 
জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হক রাহিন বলেন, সেখানে যাতায়াতের জন্য একটি সেতুর অনুমোদন আছে। তবে ড্রয়িংয়ে বড় ধরনের ভুল ধরা পড়েছে।  ড্রয়িং অনুযায়ী সেতুটি নির্মাণ করা হলে ক্লিনিকের বেশকিছু অংশ ভাঙতে হবে। আবার ড্রয়িংয়ের ভুল সংশোধন করতে গেলে বরাদ্দ বাতিলও হতে পারে। এ কারণে কাজটা আটকে পড়েছে। শিগগিরই সেখানে সেতু না হলে ইউনিয়নের বরাদ্দ থেকে সেখানে একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ