ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম দীর্ঘ ও তুমুল আলোচিত দ্বৈরথ—লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। দু’জনের ক্যারিয়ারজুড়ে চলা এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে নানা সময়ে আলোচনা হয়েছে বিশ্বজুড়ে। এবার সেই প্রসঙ্গে নিজেই মুখ খুললেন আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী অধিনায়ক লিওনেল মেসি।

সম্প্রতি ব্যালন ডি’অর আয়োজকদের দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি জানিয়েছেন, রোনালদোর সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের প্রতিযোগিতা ছিল ‘স্বাস্থ্যকর এবং ইতিবাচক’, যা দু’জনকেই পারফরম্যান্সে সেরা হতে সহায়তা করেছে।

“এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা আমাদের দুজনের মধ্যেই ছিল না, এটি ফুটবল বিশ্বকে এক অন্যরকম আনন্দ দিয়েছে। সে সবসময় জিততে চাইত, আমিও। একে অপরের উপস্থিতি আমাদের নিজের সেরাটা বের করে আনতে বাধ্য করেছে,” — বলছিলেন মেসি।

আরো পড়ুন:

গোল বন্যার ম্যাচে নিষ্প্রভ মেসি, জয়বঞ্চিত মায়ামি

মায়ামিতে সবচেয়ে বড় হারের স্বাদ পেলেন মেসি

২০০৮ সালে রোনালদোর প্রথম ব্যালন ডি’অর জয়ের মাধ্যমে প্রতিযোগিতার শুরু। ২০০৯ সালে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে রোনালদোর চুক্তি সেই উত্তাপকে আরও বাড়িয়ে দেয়। কারণ, তখনই এল ক্লাসিকোতে শুরু হয় আধুনিক যুগের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দ্বৈরথ—বার্সেলোনার মেসি বনাম রিয়ালের রোনালদো।

পরিসংখ্যান বলছে, দু’জনের হাতে রয়েছে সম্মিলিতভাবে ১৩টি ব্যালন ডি’অর; মেসির ৮টি ও রোনালদোর ৫টি। ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জিতেছেন মেসি ৬ বার। আর বার্সেলোনার হয়ে করেছেন ৬৭২ গোল। অন্যদিকে রোনালদো চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা (১৪০ গোল) এবং তিনবার হয়েছেন ইউরোপের বর্ষসেরা ফুটবলার।

মেসি বলেন, “অনেকেই বলেন শীর্ষে ওঠা সহজ, কিন্তু সেখানে দীর্ঘসময় টিকে থাকা কঠিন। আমরা সেটাই করেছি—বছরের পর বছর নিজের সেরাটা দিয়ে গেছি। এটা আমাদের পরিশ্রম আর প্রতিশ্রুতির ফল।”

বর্তমানে যদিও তারা খেলছেন দুই ভিন্ন মহাদেশে—রোনালদো সৌদি আরবের আল নাসরে এবং মেসি যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মায়ামিতে—তবু তাদের নাম একসঙ্গে উচ্চারিত হলেই ক্রীড়াপ্রেমীদের মনে ফিরে আসে সেই সোনালি যুগের স্মৃতি।

এটা নিছক এক প্রতিযোগিতা ছিল না; এটা ছিল সময়ের সাক্ষী হয়ে ওঠা ফুটবল ইতিহাসের এক অনন্য অধ্যায়। মেসি-রোনালদো যুগ, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছেও থাকবে কিংবদন্তির মতো।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

১৪ দলীয় জোটের অপর দলগুলোর কার্যক্রম বন্ধে পদক্ষেপ নিতে নোটিশ

আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের পর এবার ১৪-দলীয় জোটের অপর দলগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, আইনসচিব এবং প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব বরাবর আজ রোরবার ওই নোটিশ পাঠানো হয়।

লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা হোসাইন মো. আনোয়ারের পক্ষে আইনজীবী মো. সালাহ উদ্দিন রিগ্যান নোটিশটি পাঠান। হোসাইন মো. আনোয়ার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মী বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

নোটিশের ভাষ্য, ৭৫ বছর বয়সী আওয়ামী লীগ ৩৬ দিনের আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ শাসনামলের সহযোগী হিসেবে ১৪ দল একই অপরাধ করেছে অভিযোগ করে নোটিশে বলা হয়, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলে অপর দলগুলো কেন নয়?

আওয়ামী লীগসহ ১৪–দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর তালিকা নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। দলগুলো হচ্ছে জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), ওয়ার্কার্স পার্টি (রাশেদ খান মেনন), গণতন্ত্রী পার্টি (নুরুর রহমান সেলিম), গণ আজাদী লীগ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল—বাসদ (রেজাউর), বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (দিলীপ বড়ুয়া), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি—ন্যাপ (মোজাফফর), গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদ (ইনু), শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল, তরিকত ফেডারেশন ও কমিউনিস্ট কেন্দ্র।

পরে আইনজীবী মো. সালাহ উদ্দিন রিগ্যান প্রথম আলোকে বলেন, ১৪–দলীয় জোটের শরিক অপর দলগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়ে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে আজ আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশের জবাব না পেলে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন নোটিশদাতা।

এর আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে ১২ মে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ