দেশের অন্যতম দুটি স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-উইটন ও গাইডেন্স ইন্টারন্যাশনাল স্কুল প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করল আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং গবেষণাভিত্তিক অক্সফোর্ড-একিউএ প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কারিকুলাম। এ কারিকুলাম দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের জন্য প্রণীত একটি কাঠামোবদ্ধ ও গবেষণাভিত্তিক পাঠ্যক্রম। এটি যুক্তরাজ্যের স্বীকৃত প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সফলভাবে প্রয়োগ হচ্ছে। এই পাঠ্যক্রমে শিশুর শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত উইটন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানে প্লে-গ্রুপ থেকে এ লেভেল পর্যন্ত পাঠদান করা হয় ক্যামব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল কারিকুলাম অনুসারে। ২০২১ সালে রাজধানীর গুলশানে যাত্রা শুরু করে গাইডেন্স ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। এটি উইটনের আদর্শ ও মান অনুসরণ করে গঠিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে প্লে-গ্রুপ থেকে এ লেভেল পর্যন্ত ধর্মীয় ও আন্তর্জাতিক পাঠ্যক্রমের সমন্বয়ে পাঠদান করা হয়।  অক্সফোর্ড-একিউএর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যান্ড্রু কুম্ব বলেন, ‘অক্সফোর্ড AQA প্রোগ্রামের মধ্যে বিশেষ করে ‘Personal, Social and Emotional Development’ (PSED) মডিউলটি বাংলাদেশের শিশুদের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রধান ড.

আবদুল্লাহ জামান বলেন, অক্সফোর্ড AQA-এর প্রি স্কুল প্রোগ্রাম ভবিষ্যতে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। এটি শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক মানের শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত করবে এবং তাদের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সক্ষমতা বাড়াবে।’ সম্প্রতি রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত উইটন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অডিটোরিয়ামে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং গবেষণাভিত্তিক অক্সফোর্ড-একিউএ প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কারিকুলাম উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাজ্য থেকে আগত অক্সফোর্ড-একিউএর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যান্ড্রু কুম্ব। এতে সভাপতিত্ব করেন উইটন ও গাইডেন্স ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রধান ড. আবদুল্লাহ জামান।v

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ