ছাত্র আন্দোলনে বিরোধিতায় নুসরাতের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে: রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী
Published: 19th, May 2025 GMT
ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের বিরোধিতা এবং মদদ দেওয়াসহ বিভিন্ন ঘটনায় নুসরাত ফারিয়ার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক।
সোমবার নুসরাত ফারিয়াকে আদালতে হাজিরের পর শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, নুসরাত ফ্যাসিস্ট হাসিনার পক্ষে ছিলেন। তিনি একজন ফ্যাসিস্টের সমর্থক। অনেকের মতো তিনিও নাটক সিনেমার মাধ্যমে, অভিনয়ের মাধ্যমে ফ্যাসিস্টের পক্ষ নিয়েছেন। ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের বিরোধিতা এবং মদদ দেন অন্যদের মতো। বিভিন্ন ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকেন্দ্রিক ভাটারা থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। সকাল সাড়ে দশটার দিকে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক।
এদিন সকালে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। বেলা দশটার পর তাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। এসময় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে নুসরাত ফারিয়ার জামিন চেয়ে আবেদন করে তার আইনজীবীরা।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আগামী ২২ মে ফের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
১৪ দলীয় জোটের দলগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ চেয়ে আইনি নোটিশ
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলেও ১৪ দলীয় জোটের শরীক বাকি দলগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় নির্বাচন কমিশনসহ সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে ওই দলগুলোকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করতে বলা হয়।
লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মী পরিচয় দেওয়া হোসাইন মো. আনোয়ারের পক্ষে রোববার আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগান এ নোটিশ পাঠান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, আইন সচিব ও প্রধান উপদেষ্টার মুখ্যসচিব বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়।
আইনজীবী সালাহ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, নোটিশের ভিত্তিতে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হলে হাইকোর্টে রিট করা হবে।
অন্যদিকে নোটিশদাতা হোসাইন মো. আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ দমন-নিপীড়ন একা একা চালায়নি। ১৪ দলীয় জোটের সিদ্ধান্তেই তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলেও বাকিদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই সেই সব দলগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ চেয়ে এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ছাড়া ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা হলো- জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), ওয়ার্কার্স পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি, গণ আজাদী লীগ, বাসদ (রেজাউর), সাম্যবাদী দল (দিলীপ বড়ুয়া), ন্যাপ (মোজাফফর), গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, জাসদ (ইনু), শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল, তরিকত ফেডারেশন ও কমিউনিস্ট কেন্দ্র।