ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নামক আকাশের চাঁদ হাতে পেতে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। তারা অপেক্ষায় আছেন তাদের নির্বাচিত কান্ডারির জন্য। তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া প্রায় শেষের পথে।

গত ১৫ এপ্রিল ঢাবি প্রশাসন ঘোষণা করেছে ডাকসু নির্বাচনের সময়সীমা। নির্বাচন নিয়ে একটি ছয় সদস্যের কমিটি কাজ করছে, যার নেতৃত্বে আছেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড.

সায়মা হক বিদিশা। তাদের পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী জুনের মধ্যেই নির্বাচন চান।

তবে এবার শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা গেছে ব্যতিক্রমী আমেজ। ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতি তারা আস্থা হারিয়েছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। দল দেখে নয়, বরং তারা সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যক্তিগত যোগ্যতা, অতীতে শিক্ষার্থীবান্ধব কর্মসূচি, লেজুড়বৃত্তির সম্ভাবনা মুক্ত এবং রাজনৈতিক দূরদর্শী ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের ভোট দিতে আগ্রহী। বর্তমানে শিক্ষার্থীবান্ধব কর্মসূচিতে থাকা নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীরাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে।

আরো পড়ুন:

জবিতে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে সেমিনার

অচলাবস্থার মধ্যেই ক্যাম্পাস ত্যাগ করলেন কুয়েট উপাচার্য

নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে শিগগিরই প্রধান রিটার্নিং অফিসার, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নিয়োগ, ভোটার তালিকা প্রস্তুত এবং তফসিল ঘোষণা করা হবে। এ মাসের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা থাকলেও সাম্য হত্যাকাণ্ড এবং ছাত্রদল ও বাম সংগঠনগুলোর উপাচার্য-প্রক্টরের পদত্যাগের দাবির কারণে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। 

এরই মধ্যে ডাকসুর গঠনতন্ত্র, আচরণবিধি ও পরামর্শ প্রদানবিষয়ক কমিটির সুপারিশ সিন্ডিকেটের অনুমোদন পেয়েছে। এসব বিধিনিষেধ ভঙ্গ করলে হতে পারে প্রার্থীতা বাতিল, অর্থদণ্ড কিংবা বহিষ্কারের মতো শাস্তি। প্রচারণায়ও থাকছে কঠোর নিয়ম-কানুন ও প্রযুক্তি ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা। আচরণবিষয়ক কমিটির দেওয়া সুপারিশের ভিত্তিতে এ বিধিমালা অনুমোদিত হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে ৩৭ বার। এর মধ্যে ২৯ বার অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে। আর স্বাধীনতার ৫৩ বছরে শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে পেরেছেন মাত্র ৮ বার। 

১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুযায়ী, প্রতি বছর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। ডাকসু মনোনীত পাঁচজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিনেটের সদস্য হয়ে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ ও সমস্যা তুলে ধরেন।

সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ১১ মার্চ। ব্যাপক কারচুপির মধ্য দিয়ে সে নির্বাচন এনে দিয়েছে ডাকসুর ইতিহাসে অন্যতম কলঙ্ক। এ নির্বাচনের ফলে শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতন ও অমানবিকীকরণ কিছুটা কমে এলেও ডাকসুর প্রভাব পুরোপুরি কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। এরপরে কেটে গেছে ৫ বছর, হয়নি কোন নির্বাচন। এবারও হবে কিনা সেটা নিয়েও আছে নানা নেতিবাচক গুঞ্জন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ সেশনের সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থী সাইয়েদুজ্জামান নূর আলভী বলেন, “আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইতোপূর্বে দলীয় ও লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির ভয়াবহতা দেখেছি। যারা পূর্বে শিক্ষার্থীদের স্বার্থের চেয়ে দলের লেজুড়বৃত্তিকে প্রাধান্য দিতেন। তারাই শিক্ষার্থীদের ওপর গেস্টরুম টর্চার এবং ক্যাম্পাসে হল দখল ও আধিপত্য বিস্তার করতেন।” 

তিনি বলেন, “জুলাই পরবর্তীতে এবারের ডাকসু নির্বাচনের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাই এবার দলীয় ও লেজুড়বৃত্তিক স্বার্থের বাইরে যারা শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় ও কল্যাণে কাজের মাধ্যমে আমাদের আস্থা অর্জন করবে, তারাই আমাদের পছন্দের শীর্ষে থাকবে।”

একই সেশনের জিয়া হলে শিক্ষার্থী এসএম শাহেদ ইমন বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে ডাকসু বড় ভূমিকা রাখে। ডাকসু যেদিকে যায়, বাংলাদেশ সেদিকে যায়। ফলে তার দিকেই তাকিয়ে থাকে সবাই। কিন্তু ইতোপূর্বে সব ডাকসুতে দেখেছি দলীয় প্যানেলে নির্বাচন করে বিজয়ী হলে দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন হয়। এজন্য আমরা মনে করছি দলীয় প্যানেলের চেয়ে ব্যক্তির যোগ্যতা। যাদের কাজ হবে শিক্ষার্থীবান্ধব এবং দলের উর্ধ্বে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করবেন, তাদেরই ভোট দেবেন শিক্ষার্থীরা।”

এবারের নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনায় আছেন কবি জসীমউদ্দীন হল ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক তানভীর বারী হামিম, ঢাবির ছাত্রদল যুগ্ম-সম্পাদক আবিদুল ইসলাম খান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের, কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার, কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব জাহিদ আহসান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক উমামা ফাতেমা, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক আবু সাদিক কায়েম, ঢাবির বর্তমান সভাপতি এসএম ফরহাদ, সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন খান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ, সাবেক সহ-সমন্বয়ক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মাদ, এবি জুবায়ের, আবিদ হাসান রাফি, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সম্পাদক খায়রুল আহসান মারজান, ঢাবি সভাপতি সাইফ মুহাম্মদ আলাউদ্দিন প্রমুখ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে এসব জনপ্রিয় ছাত্রনেতাদের নাম জানা গেছে। ডাকসুর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ডাকসু নির্বাচনের পদ সংখ্যা মোট ২৫টি। এর মধ্যে ভিপি (সহসভাপতি) ও জিএস (সাধারণ সম্পাদক) ছাড়াও ১০টি সম্পাদক ও ১৩টি সদস্যপদ রয়েছে।

আবু বাকের মজুমদার ভূতত্ত্ব বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের এই কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক এক সময় ছাত্রশক্তির রাজনীতি করতেন। ফ্যাসিবাদী আমলে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ছিলেন সর্বদা সোচ্চার। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া অন্যতম সমন্বয়কদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। নাহিদ-হাসনাতদের সঙ্গে তাকেও গুম করা হয়েছিল। তবে সম্প্রতি তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিবিরবিরোধী মন্তব্য করে আলোচনায় এসেছেন। 

আব্দুল কাদের ঢাবির সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক। জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালে ঐতিহাসিক নয় দফার ঘোষণা দেন তিনি। বর্তমানে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীবান্ধব বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছেন; প্রশংসা কুড়াচ্ছেন শিক্ষার্থীদের। 

উমামা ফাতেমা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচনে কবি সুফিয়া কামাল হলের পাঠকক্ষ সম্পাদক হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

ছাত্রলীগের গড়ে তোলা গণরুম-গেস্টরুমের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে প্রতিষ্ঠা করেন ‘বৈধ সিট আমার অধিকার’ প্লাটফর্ম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও মুখপাত্রের দায়িত্বও পালন করেছেন। জুলাই অভ্যুত্থানে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে পালন করেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ম্যাডেলিন অলব্রাইট অ্যাওয়ার্ড প্রত্যাখ্যান করে আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত তিনি। বর্তমানে ক্যাম্পাসে নারীবিষয়ক বিভিন্ন সমস্যার প্রতিবাদে ও সমাধানে তাকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে। 

শেখ তানভীর বারী হামিম উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী। ছাত্রদলের কবি জসীমউদ্দীন হলের প্রচার সম্পাদক। তিনি ফ্রি টেলিমেডিসিন সেবা, বিনা ডেলিভারি চার্জে হলে ওষুধ পৌঁছে দেওয়া, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ঔষুধ বিতরণ, নারী শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে স্যানিটারি ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন ও ৩৩ শতাংশ কম খরচে প্যাড সরবরাহ, ঈদের দিন হলে থাকা শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার বিতরণের মতো কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। সম্প্রতি ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যাকাণ্ডের পর নিরাপদ ও বহিরাগত মুক্ত ক্যাম্পাস বিনির্মাণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কর্মতৎপরতা বাড়িয়েছেন তিনি।

ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক এবং শিবিরের ঢাবি শাখার সাবেক সভাপতি আবু সাদিক মোহাম্মদ কায়েম রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। বিভাগে অনার্স ও মাস্টার্সে দারুণ ফলাফল করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তাকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড ভাবেন অনেকে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে গণ-অভ্যুত্থানে রূপ দিতে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেন।

প্রথম সারির সমন্বয়কদের আটক করে সরকার আন্দোলন দমাতে চাইলে তিনি দ্বিতীয় সারির সমন্বয়কদের ‘সেফ হোমে’ রাখার ব্যবস্থা করেন। এমনকি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এ ছাত্রনেতা। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এ শিবির নেতা।

ঢাবি শিবির সভাপতি সাইয়েদ মোহাম্মদ ফরহাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি কবি জসীমউদ্দীন হল ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। জুলাই অভ্যুত্থানে সমন্বয়কদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা, আব্দুল কাদেরের সঙ্গে মিলে নয় দফা প্রণয়ন এবং গণমাধ্যমে তা প্রচারের ব্যবস্থা করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন।

বর্তমানে শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যায় এগিয়ে এসে তিনি বেশ সুনাম কুড়াচ্ছেন। বর্তমানে তার নেতৃত্বেই ক্যাম্পাসের সবকটি হল মিলে সর্বমোট ৫০টিরও বেশি উন্নতমানের পানির ফিল্টার স্থাপন করছে ঢাবি শিবির।

মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বাংলা বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীবান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচিতে সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে তারা অংশগ্রহণ এবং নেতৃত্ব ইতোমধ্যেই টনক নড়িয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের। ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিলসহ বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। অন্যায় দেখলেই যে কোন ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধেই বিক্ষোভে নেমে পড়েন তিনি।

গেস্টরুম-গণরুম বিরোধিতায় ছাত্রলীগের সাইবার হামলার শিকার হন। তিনিও ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনসহ শিক্ষার্থীদের সব যৌক্তিক আন্দোলনে সক্রিয় থাকায় বেশ জনপ্রিয়।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সম্পাদক খায়রুল আহসান মারজান এবং ঢাবি সভাপতি সাইফ মুহাম্মদ আলাউদ্দিন ক্যাম্পাসে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে সোচ্চার রয়েছেন। ক্যাম্পাসে হিজাবফোবিয়া, ইসলামবিদ্বেষ প্রভৃতি রুখতে সদা তৎপর।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদ জনপ র য় ছ ত রদল দ ন হল র জন ত ইসল ম স গঠন র সমন সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসু নির্বাচনে ব্যক্তিতেই আস্থা শিক্ষার্থীদের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নামক আকাশের চাঁদ হাতে পেতে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। তারা অপেক্ষায় আছেন তাদের নির্বাচিত কান্ডারির জন্য। তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া প্রায় শেষের পথে।

গত ১৫ এপ্রিল ঢাবি প্রশাসন ঘোষণা করেছে ডাকসু নির্বাচনের সময়সীমা। নির্বাচন নিয়ে একটি ছয় সদস্যের কমিটি কাজ করছে, যার নেতৃত্বে আছেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা। তাদের পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী জুনের মধ্যেই নির্বাচন চান।

তবে এবার শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা গেছে ব্যতিক্রমী আমেজ। ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতি তারা আস্থা হারিয়েছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। দল দেখে নয়, বরং তারা সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যক্তিগত যোগ্যতা, অতীতে শিক্ষার্থীবান্ধব কর্মসূচি, লেজুড়বৃত্তির সম্ভাবনা মুক্ত এবং রাজনৈতিক দূরদর্শী ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের ভোট দিতে আগ্রহী। বর্তমানে শিক্ষার্থীবান্ধব কর্মসূচিতে থাকা নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীরাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে।

আরো পড়ুন:

জবিতে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে সেমিনার

অচলাবস্থার মধ্যেই ক্যাম্পাস ত্যাগ করলেন কুয়েট উপাচার্য

নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে শিগগিরই প্রধান রিটার্নিং অফিসার, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নিয়োগ, ভোটার তালিকা প্রস্তুত এবং তফসিল ঘোষণা করা হবে। এ মাসের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা থাকলেও সাম্য হত্যাকাণ্ড এবং ছাত্রদল ও বাম সংগঠনগুলোর উপাচার্য-প্রক্টরের পদত্যাগের দাবির কারণে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। 

এরই মধ্যে ডাকসুর গঠনতন্ত্র, আচরণবিধি ও পরামর্শ প্রদানবিষয়ক কমিটির সুপারিশ সিন্ডিকেটের অনুমোদন পেয়েছে। এসব বিধিনিষেধ ভঙ্গ করলে হতে পারে প্রার্থীতা বাতিল, অর্থদণ্ড কিংবা বহিষ্কারের মতো শাস্তি। প্রচারণায়ও থাকছে কঠোর নিয়ম-কানুন ও প্রযুক্তি ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা। আচরণবিষয়ক কমিটির দেওয়া সুপারিশের ভিত্তিতে এ বিধিমালা অনুমোদিত হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে ৩৭ বার। এর মধ্যে ২৯ বার অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে। আর স্বাধীনতার ৫৩ বছরে শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে পেরেছেন মাত্র ৮ বার। 

১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুযায়ী, প্রতি বছর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। ডাকসু মনোনীত পাঁচজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিনেটের সদস্য হয়ে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ ও সমস্যা তুলে ধরেন।

সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ১১ মার্চ। ব্যাপক কারচুপির মধ্য দিয়ে সে নির্বাচন এনে দিয়েছে ডাকসুর ইতিহাসে অন্যতম কলঙ্ক। এ নির্বাচনের ফলে শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতন ও অমানবিকীকরণ কিছুটা কমে এলেও ডাকসুর প্রভাব পুরোপুরি কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। এরপরে কেটে গেছে ৫ বছর, হয়নি কোন নির্বাচন। এবারও হবে কিনা সেটা নিয়েও আছে নানা নেতিবাচক গুঞ্জন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ সেশনের সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থী সাইয়েদুজ্জামান নূর আলভী বলেন, “আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইতোপূর্বে দলীয় ও লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির ভয়াবহতা দেখেছি। যারা পূর্বে শিক্ষার্থীদের স্বার্থের চেয়ে দলের লেজুড়বৃত্তিকে প্রাধান্য দিতেন। তারাই শিক্ষার্থীদের ওপর গেস্টরুম টর্চার এবং ক্যাম্পাসে হল দখল ও আধিপত্য বিস্তার করতেন।” 

তিনি বলেন, “জুলাই পরবর্তীতে এবারের ডাকসু নির্বাচনের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাই এবার দলীয় ও লেজুড়বৃত্তিক স্বার্থের বাইরে যারা শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় ও কল্যাণে কাজের মাধ্যমে আমাদের আস্থা অর্জন করবে, তারাই আমাদের পছন্দের শীর্ষে থাকবে।”

একই সেশনের জিয়া হলে শিক্ষার্থী এসএম শাহেদ ইমন বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে ডাকসু বড় ভূমিকা রাখে। ডাকসু যেদিকে যায়, বাংলাদেশ সেদিকে যায়। ফলে তার দিকেই তাকিয়ে থাকে সবাই। কিন্তু ইতোপূর্বে সব ডাকসুতে দেখেছি দলীয় প্যানেলে নির্বাচন করে বিজয়ী হলে দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন হয়। এজন্য আমরা মনে করছি দলীয় প্যানেলের চেয়ে ব্যক্তির যোগ্যতা। যাদের কাজ হবে শিক্ষার্থীবান্ধব এবং দলের উর্ধ্বে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করবেন, তাদেরই ভোট দেবেন শিক্ষার্থীরা।”

এবারের নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনায় আছেন কবি জসীমউদ্দীন হল ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক তানভীর বারী হামিম, ঢাবির ছাত্রদল যুগ্ম-সম্পাদক আবিদুল ইসলাম খান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের, কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার, কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব জাহিদ আহসান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক উমামা ফাতেমা, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক আবু সাদিক কায়েম, ঢাবির বর্তমান সভাপতি এসএম ফরহাদ, সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন খান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ, সাবেক সহ-সমন্বয়ক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মাদ, এবি জুবায়ের, আবিদ হাসান রাফি, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সম্পাদক খায়রুল আহসান মারজান, ঢাবি সভাপতি সাইফ মুহাম্মদ আলাউদ্দিন প্রমুখ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে এসব জনপ্রিয় ছাত্রনেতাদের নাম জানা গেছে। ডাকসুর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ডাকসু নির্বাচনের পদ সংখ্যা মোট ২৫টি। এর মধ্যে ভিপি (সহসভাপতি) ও জিএস (সাধারণ সম্পাদক) ছাড়াও ১০টি সম্পাদক ও ১৩টি সদস্যপদ রয়েছে।

আবু বাকের মজুমদার ভূতত্ত্ব বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের এই কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক এক সময় ছাত্রশক্তির রাজনীতি করতেন। ফ্যাসিবাদী আমলে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ছিলেন সর্বদা সোচ্চার। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া অন্যতম সমন্বয়কদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। নাহিদ-হাসনাতদের সঙ্গে তাকেও গুম করা হয়েছিল। তবে সম্প্রতি তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিবিরবিরোধী মন্তব্য করে আলোচনায় এসেছেন। 

আব্দুল কাদের ঢাবির সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক। জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালে ঐতিহাসিক নয় দফার ঘোষণা দেন তিনি। বর্তমানে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীবান্ধব বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছেন; প্রশংসা কুড়াচ্ছেন শিক্ষার্থীদের। 

উমামা ফাতেমা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচনে কবি সুফিয়া কামাল হলের পাঠকক্ষ সম্পাদক হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

ছাত্রলীগের গড়ে তোলা গণরুম-গেস্টরুমের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে প্রতিষ্ঠা করেন ‘বৈধ সিট আমার অধিকার’ প্লাটফর্ম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও মুখপাত্রের দায়িত্বও পালন করেছেন। জুলাই অভ্যুত্থানে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে পালন করেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ম্যাডেলিন অলব্রাইট অ্যাওয়ার্ড প্রত্যাখ্যান করে আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত তিনি। বর্তমানে ক্যাম্পাসে নারীবিষয়ক বিভিন্ন সমস্যার প্রতিবাদে ও সমাধানে তাকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে। 

শেখ তানভীর বারী হামিম উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী। ছাত্রদলের কবি জসীমউদ্দীন হলের প্রচার সম্পাদক। তিনি ফ্রি টেলিমেডিসিন সেবা, বিনা ডেলিভারি চার্জে হলে ওষুধ পৌঁছে দেওয়া, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ঔষুধ বিতরণ, নারী শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে স্যানিটারি ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন ও ৩৩ শতাংশ কম খরচে প্যাড সরবরাহ, ঈদের দিন হলে থাকা শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার বিতরণের মতো কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। সম্প্রতি ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যাকাণ্ডের পর নিরাপদ ও বহিরাগত মুক্ত ক্যাম্পাস বিনির্মাণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কর্মতৎপরতা বাড়িয়েছেন তিনি।

ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক এবং শিবিরের ঢাবি শাখার সাবেক সভাপতি আবু সাদিক মোহাম্মদ কায়েম রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। বিভাগে অনার্স ও মাস্টার্সে দারুণ ফলাফল করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তাকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড ভাবেন অনেকে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে গণ-অভ্যুত্থানে রূপ দিতে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেন।

প্রথম সারির সমন্বয়কদের আটক করে সরকার আন্দোলন দমাতে চাইলে তিনি দ্বিতীয় সারির সমন্বয়কদের ‘সেফ হোমে’ রাখার ব্যবস্থা করেন। এমনকি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এ ছাত্রনেতা। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এ শিবির নেতা।

ঢাবি শিবির সভাপতি সাইয়েদ মোহাম্মদ ফরহাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি কবি জসীমউদ্দীন হল ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। জুলাই অভ্যুত্থানে সমন্বয়কদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা, আব্দুল কাদেরের সঙ্গে মিলে নয় দফা প্রণয়ন এবং গণমাধ্যমে তা প্রচারের ব্যবস্থা করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন।

বর্তমানে শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যায় এগিয়ে এসে তিনি বেশ সুনাম কুড়াচ্ছেন। বর্তমানে তার নেতৃত্বেই ক্যাম্পাসের সবকটি হল মিলে সর্বমোট ৫০টিরও বেশি উন্নতমানের পানির ফিল্টার স্থাপন করছে ঢাবি শিবির।

মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বাংলা বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীবান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচিতে সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে তারা অংশগ্রহণ এবং নেতৃত্ব ইতোমধ্যেই টনক নড়িয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের। ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিলসহ বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। অন্যায় দেখলেই যে কোন ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধেই বিক্ষোভে নেমে পড়েন তিনি।

গেস্টরুম-গণরুম বিরোধিতায় ছাত্রলীগের সাইবার হামলার শিকার হন। তিনিও ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনসহ শিক্ষার্থীদের সব যৌক্তিক আন্দোলনে সক্রিয় থাকায় বেশ জনপ্রিয়।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সম্পাদক খায়রুল আহসান মারজান এবং ঢাবি সভাপতি সাইফ মুহাম্মদ আলাউদ্দিন ক্যাম্পাসে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে সোচ্চার রয়েছেন। ক্যাম্পাসে হিজাবফোবিয়া, ইসলামবিদ্বেষ প্রভৃতি রুখতে সদা তৎপর।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ