ভারতীয় লেখক বানু মুশতাক জিতলেন আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার
Published: 21st, May 2025 GMT
আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার জিতেছেন ভারতীয় লেখক, আইনজীবী ও অধিকারকর্মী বানু মুশতাক। মঙ্গলবার ছোটগল্পের সংকলন ‘হার্ট ল্যাম্প’ এর জন্য তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
লন্ডনের টেট মডার্ন গ্যালারিতে পুরস্কার গ্রহণ অনুষ্ঠানে বানু মুশতাক বলেন, ‘মহান এই সম্মান আমি কোনো ব্যক্তি হিসেবে গ্রহণ করছি না, বরং এমন এক কণ্ঠস্বর হিসেবে গ্রহণ করছি, যা আরও বহু কণ্ঠের সঙ্গে সমবেতভাবে উচ্চারিত হয়েছে।’
বানু মুশতাক কান্নাড়া ভাষায় লেখালেখি করেন। এই ভাষার লেখকদের মধ্যে তিনিই প্রথম বুকার পুরস্কার পেলেন। ৭৭ বছর বয়সী এই লেখকের ছোটগল্পের সংকলন কান্নাড়া ভাষা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন দীপা ভাস্তি। গল্প বাছাইয়ে তিনি বানু মুশতাককে সাহায্য করেছেন। পুরস্কারের অর্থমূল্য ৫০ হাজার পাউন্ড (৬৭ হাজার ডলার), যা অনুবাদক দীপা ভাস্তির সঙ্গে তিনি সমানভাবে ভাগ করে নেবেন।
বিচারকমণ্ডলীর সভাপতি ম্যাক্স পোর্টার ‘হার্ট ল্যাম্প’-কে ‘ইংরেজি পাঠকদের জন্য সত্যিকারের নতুন কিছু’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটি একটি বিপ্লবাত্মক (র্যাডিক্যাল) অনুবাদ, যা ভাষার গতিপথ বদলে দেয়, ভিন্ন ভিন্ন ইংরেজির মধ্যে নতুন রূপ ও ছোঁয়া তৈরি করে। এটি আমাদের অনুবাদের ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে এবং বিস্তৃত করে।’
‘হার্ট ল্যাম্প’-এ ১২টি গল্প সংকলিত হয়েছে, যেগুলো ১৯৯০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। গল্পগুলোতে দক্ষিণ ভারতের মুসলিম সমাজের দৈনন্দিন জীবন ফুটে উঠেছে। গল্পগুলোতে বিশেষ করে নারী ও কিশোরীদের অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বানু মুশতাক নারী অধিকার রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা এবং বৈষম্যবিরোধী আইনগত লড়াইয়ের জন্যও সুপরিচিত।
অনুষ্ঠানে বানু মুশতাক বলেন, ‘আমার গল্পগুলো নারীদের ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে। ধর্ম, সমাজ এবং রাজনীতি কীভাবে তাঁদের থেকে নিঃশর্ত আনুগত্য দাবি করে, এর মাধ্যমে তাঁদের ওপর কীভাবে অমানবিক নিষ্ঠুরতা চালানো হয়— এ সব গল্পে আমি তা বর্ণনা করতে চেষ্টা করেছি। নারীদের কেবল অধীনস্থ রূপেই কীভাবে গড়ে তোলা হয়, আমি গল্পগুলোতে তা দেখাতে চেয়েছি।’ সূত্র-এএফপি
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ক র প রস ক র প রস ক র ত হয় ছ ম শত ক অন ব দ
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ইসি ভবনের ফটকে অবস্থান এনসিপির নেতা-কর্মীদের
নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা।
আজ বুধবার বেলা সোয়া একটার দিকে এনসিপির নেতারা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের মূল ফটকে অবস্থান নেন। এরপর তাঁরা সেখানে বসে পড়েন।
এনসিপি নেতারা বলছেন, তাঁদের এই কর্মসূচি চলবে।
এ সময় ‘ইসি তুই দলকানা, ইসি তুই চলে যা’; ‘ফ্যাসিবাদের কমিশন, মানি না মানব না’, ‘খুনি হাসিনার কমিশন, মানি না মানব না’ স্লোগান দিতে থাকেন এনসিপি নেতা-কর্মীরা।
নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচির আয়োজন করেছে দলটির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা।
বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে বেলা ১১টার পর থেকে ইসি ভবনের সামনের সড়কে জড়ো হতে থাকেন এনসিপির নেতা-কর্মীরা। পরে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ কর্মসূচি শুরু হয়।
কর্মসূচি প্রসঙ্গে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজ সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা দুই দাবি নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন না হওয়ায় সারা দেশে নাগরিক সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে সরকারি প্রশাসনিক কার্যালয়গুলো একটি দলের দখলে চলে যাচ্ছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অচলাবস্থার উদাহরণ টেনে সারোয়ার তুষার বলেন, এ অবস্থার জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ী। তাদের এ-সংক্রান্ত রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা ছিল। কিন্তু তারা কোনো রহস্যজনক কারণে মামলার বিবাদি হওয়ার পরও আপিল না করে গেজেট প্রকাশ করেছে।
সারোয়ার তুষার বলেন, ‘এ নির্বাচন কমিশনকে আর সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বলা যাচ্ছে না। এটি একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।’
আরও পড়ুননির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ চলছে৪৩ মিনিট আগে