ঈদযাত্রায় ৩ জুনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি আজ
Published: 24th, May 2025 GMT
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে। আজ দেওয়া হচ্ছে আগামী ৩ জুনের টিকিট। তবে স্টেশনের কাউন্টারে কোনো টিকিট বিক্রি হচ্ছে না। যাত্রীদের সুবিধার্থে শতভাগ আসনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনগুলোর আসনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। দুপুর ২টায় বিক্রি শুরু হবে পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনগুলোর আসনের টিকিট।
এবার ঈদে পাঁচ রুটে ১০টি স্পেশাল ট্রেন চলবে। এসব ট্রেনের মধ্যে কিছু ট্রেন আগামী ৪ থেকে ৬ জুন এবং ঈদের পরে ৯ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত চলাচল করবে। এ ছাড়া ঈদের দিনও কিছু ট্রেন চলবে। স্পেশাল ট্রেনের টিকিট স্টেশনের কাউন্টার থেকে পাওয়া যাবে, অনলাইনে বিক্রি হবে না।
এছাড়া এবার ঈদে ৪৩টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে সারাদেশে। এসব ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার ৩১৫। এর বাইরে প্রতিটি ট্রেনের ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করা হবে স্টেশনের কাউন্টার থেকে।
ঈদ উপলক্ষ্যে রেলওয়ের নেওয়া কর্মপরিকল্পনা থেকে জানা যায়, ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৩১ মের আসন বিক্রি হয়েছে গত ২১ মে; ২ জুনের আসন বিক্রি হয়েছে ২৩ মে; ৩ জুনের আসন বিক্রি হবে ২৪ মে; ৪ জুনের আসন বিক্রি হবে ২৫ মে; ৫ জুনের আসন বিক্রি হবে ২৬ মে এবং ৬ জুনের আসন বিক্রি হবে ২৭ মে।
রেলওয়ে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঈদের আগে ৭ দিনের ট্রেনের আসনের টিকিট বিশেষ ব্যবস্থায় অগ্রিম হিসেবে বিক্রি করবে। এসময় কেনা টিকিটগুলো যাত্রীরা রেলওয়েকে ফেরত দিতে পারবেন না। প্রতিজন টিকিটপ্রত্যাশী ৪টি আসনের টিকিট একবার একসঙ্গে সংগ্রহ করতে পারবেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ল দ শ র লওয় জ ন র আসন ব ক র আসন র ট ক ট র লওয়
এছাড়াও পড়ুন:
গুরুদক্ষিণা উৎসব উদযাপন
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নানা আয়োজনে উদযাপন করা হয়েছে রাখাইনদের গুরুদক্ষিণা উৎসব। শুক্রবার (২৩ মে) সকাল ১০টায় উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের তুলতলী গ্রামের বৌদ্ধ বিহারে এ উৎসব শুরু হয়।
উৎসব উপলক্ষে সকাল থেকেই বিভিন্ন উপজেলার রাখাইন উপাসক-উপাসিকারা বৌদ্ধ বিহারে এসে পঞ্চশীল গ্রহণ করেন। পরে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ সঙ্গরাজ ভান্তে উকুইনন্দা মহাথেরো মহোদয়কে গুরুদক্ষিণা প্রদান শেষে আর্শিবাদ নেন। এসময় পেছনের ভুলভ্রান্তি ক্ষমার জন্য প্রার্থনা করেন।
এছাড়াও দিনভর আহার প্রদান ও ধর্মীয় আলোচনাসহ নানা অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে উৎসবটি উদযাপন করেন রাখাইন সম্প্রদায়। প্রতিবছর বর্ষাবাসের আগে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ উৎসবটি উদযাপন করে আসছে তারা।
কলাপাড়া চৌরাস্তা এলকার রাখাইন পাড়ার বাসিন্দা মংখেলা বলেন, “সঙ্গরাজ ভান্তে উকুইনন্দা মহাথেরো মহোদয়ের ২৭তম আচারিযা উপলক্ষে পরিবারের সবাইকে নিয়ে এখানে এসেছি। পরে গুরুদক্ষিণা প্রদান শেষে তার আর্শীবাদ নিয়েছি। ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনে আমরা দিনটি উদযাপন করছি।”
তুলাতলী গ্রামের মং চো ডেন বলেন, “বিভিন্ন রাখাইন পাড়ার লোকজন গুরুদক্ষিণা দিতে আমাদের এখানে আসেন। আমরা সবাই পেছনের ভুলত্রুটি ক্ষমার জন্য প্রার্থনা করেছি।”
কুয়াকাটা শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের উপাধ্যক্ষ ইন্দ্রর বংশ ভিক্ষু বলেন, “রাখাইন উপাসক-উপাসিকাদের আয়োজনে গুরুদক্ষিণা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মূলত বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের মধ্যে যারা বৌদ্ধ ভিক্ষু রয়েছেন এদের মধ্যে যারা সিনিয়র তাদের কাছে জুনিয়ররা পেছনের ভুল ত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। আবার সিনিয়াররও জুনিয়র ভিক্ষুদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।”
তিনি আরো বলেন, “সকালে এখানে পঞ্চশীল গ্রহণের পর উপাসক-উপাসিকারা আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ ৮৬ বছর বয়সী সঙ্গরাজ ভান্তে উকুইনন্দা মহাথেরো মহোদয়কে গুরুদক্ষিণা প্রদান করেছেন। প্রতিবছরই আমরা এ অনুষ্ঠানটি উদযাপন করি।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ