শিল্প ও শ্রম খাতে দ্বন্দ্ব নিরসনে রাজপথ অবরোধ সঠিক নয়: সচিব
Published: 24th, May 2025 GMT
শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, পুঁজির সঙ্গে শ্রমের দ্বন্দ্ব চিরন্তন। পুঁজির ধর্ম হচ্ছে মজুরি কম দিয়ে মুনাফা বৃদ্ধি করা। আর শ্রমের ধর্ম নায্য মজুরি প্রতিষ্ঠা করা। এই বিপরীত স্বার্থের কারণে শিল্প ও শ্রম খাতে দ্বন্দ্ব দেখা যায়। এই দ্বন্দ্ব নিরসনে আইনি পদ্ধতি রয়েছে। এসব বাদ দিয়ে রাজপথ অবরোধ করে শিল্প ও শ্রম খাতের দ্বন্দ্ব নিরসনের চেষ্টা সঠিক নয়। এ ক্ষেত্রে সরকারকে সোচ্চার ভূমিকা রাখতে হবে।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি হলে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কারিগরি ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসাইন।
আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন শ্রম সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য মাহীম সুলতানা, ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল বাছির, বাবুল খান তাপস, গোলাম ফারুক, কবীর হোসেন, শামীম আরা, লাভলী ইয়াসমীন, মো.
বক্তারা বলেন, মে দিবসের চেতনা হচ্ছে সকল প্রকার শোষণ ও বৈষম্য থেকে মুক্তি। এখনও মে দিবসের চেতনার বাস্তবায়ন হয়নি। এখনও শ্রমিকদের বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়। এই লড়াইয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শ্রমিক সংগঠনগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সংহতি গড়ে তুলতে হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ বন দ ব
এছাড়াও পড়ুন:
আতশবাজি নিয়ে কটাক্ষের শিকার প্রিয়াঙ্কা
তারকারা যখন যা করেন তা নিয়ে যে আলোচনা-সামালোচনা হবে, এই কথা সবারই জানা। প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বেলায়ও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সম্প্রতি এই বলিউড ডিভা নেটিজেনদের বাক্যবাণে জর্জরিত হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা নিয়ে।
সংবাদ প্রতিদিনসহ একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, ৪ জুলাই আমেরিকার [যুক্তরাষ্ট্র] স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্বামী নিক জোনাসের সঙ্গে উদযাপনে মেতেছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও। ইনস্টা স্টোরিতে সেলিব্রেশনের একাধিক মুহূর্ত শেয়ারও করেছেন এই বলিউড অভিনেত্রী।
সেখানেই দেখা গেছে, বহু মানুষের ভিড়ে নিক জোনাসের হাত ধরে মার্কিন মুলুকের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে মাতোয়ারা তিনি। একের পর এক আতশবাজি ফাটছে। সেই ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে আকাশ। সেই ভিডিও শেয়ার করে দেশি গার্লখ্যাত অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘৪ জুলাইয়ের শুভেচ্ছা সকলকে।’ প্রিয়াঙ্কার এমন উদযাপনের ঝলক দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন ভারতীয় নেটিজেনদের একাংশ।
তাদের কথায়, ‘দিওয়ালির সময়ে ভারতীয়দের আতশবাজি পোড়াতে নিষেধ করে এবার নিজেই আমেরিকার স্বাধীনতা দিবসে আতশবাজি পোড়াচ্ছেন!’ কেউ কেউ আবার সাবেক এই বিশ্বসুন্দরীকে ‘হিপোক্রিট’ বলেও কটাক্ষ করেছেন। নেটিজেনদের একাংশ আবার আতশবাজি পোড়ানোর ভিডিও দেখে প্রিয়াঙ্কাকে বায়ুদূষণের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন। তাদের প্রশ্ন, ‘আর দিদি এবার বায়ুদূষণ নিয়ে আপনার লেকচার কোথায় গেল?’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এক ভিডিও বার্তায় সকলকে আতশবাজি না পোড়ানোর আর্জি জানিয়েছিলেন। সে সময়ে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘আমার হাঁপানি রয়েছে। দয়া করে আমার শ্বাসরোধ করবেন না। তাই দিওয়ালিতে বাজি পোড়ানো থেকে বিরত থাকুন।’
শুধু তাই নয়, ওই ভিডিওতে প্রিয়াঙ্কা আর্জি জানিয়েছিলেন যে, এবার থেকে দীপাবলি শুধু আলোর উৎসব হোক। এখানেই শেষ নয়, তার পরের বছর ২০১৯ সালে দিওয়ালির পর পর দিল্লিতে শুটিং করতে গিয়ে সেখানকার বায়ুদূষণ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন অভিনেত্রী। বলেছিলেন, ‘ভাগ্যিস আমাদের কাছে এয়ার পিউরিফায়ার আর মাস্ক রয়েছে। এখানে শুটিং করাই এত কঠিন, মানুষজন যে কীভাবে বাস করেন দিল্লিতে কে জানে?’
পেছনের দিনগুলোর এসব কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে এবার প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে ট্রল শুরু করেছেন নেট দুনিয়ার বাসিন্দারা। আমেরিকার স্বাধীনতা দিবসে বাজি পোড়ানোয় বিষয়টি এতটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে তা হয়তো প্রিয়াঙ্কা নিজেও বুঝতে পারেননি। যে কারণে নেটিজেনদের নানা রকম মন্তব্যের পরও এখনও মুখে কুলুপ এঁটে আছেন প্রথম সারির এই বলিউড অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, বিয়ের পর থেকে মার্কিন মুলুকের বাসিন্দা হয়ে গেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। বর্তমানে হলিউডে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন তিনি। চুটিয়ে কাজ করছেন পশ্চিমী সিনে দুনিয়ায়। তবে লস অ্যাঞ্জলেসে থাকলেও এখনও দেশীয় রীতি পালন করে চলেছেন। বলিউড সিনেমায় কাজ করার বিষয়েও আগের মতোই সমান আগ্রহী তিনি।