নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় বৃষ্টির কারণে নতুন নির্মিত কাঁচা রাস্তার পাশে ধস নেমে মাটি চাপা পড়ে মোস্তাকিন (১০) নামের এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার বাগডোব গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মোস্তাকিন বড়াইগ্রামের খাকসা গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে এবং স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, বাগডোব গ্রামে নতুন একটি সরকারি কাঁচা রাস্তা নির্মাণ করা হয়। ওই রাস্তার পাশে সৃষ্টি হওয়া গর্তে মোস্তাকিনসহ কয়েকজন শিশু খেলছিল। এ সময় হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে রাস্তার পাশের মাটি ধসে পড়ে এবং মোস্তাকিন মাটির নিচে চাপা পড়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোমিন আলী ও বড়াইগ্রাম থানার ওসি গোলাম সারোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ওসি জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় তাদের আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয়রা রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম ও গর্তের সুরক্ষাহীন অবস্থাকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করছেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আপত্তিকর ভিডিও ছড়ানোর হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে এক নারীর আপত্তিকর ভিডিও ও ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তার হাসান খন্দকার (৩৮) উপজেলার নিহালপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য প্রচারের হুমকি দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।

শিবালয় থানা পুলিশ ও মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, প্রায় এক মাস ধরে হাসান ভুক্তভোগীর ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে জানাচ্ছেন, তাঁর কাছে নারীর আপত্তিকর কিছু ভিডিও ও ছবি আছে। ১০ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে এসব ভিডিও ও ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেবেন বলে হুমকি দেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী নারীর বাড়িতে গিয়ে হাসান আবার হুমকি দেন। ওই নারী এত টাকা দিতে অস্বীকার করলে হাসান তাঁর বাড়ির দরজা ও জানালা ভাঙচুর করেন। চাহিদামতো টাকা না দিলে ফেসবুকে আপত্তিকর ভিডিও এবং ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার  হুমকি দিয়ে চলে যান। এর পর থেকে ম্যাসেঞ্জারে নিয়মিত একই হুমকি দিচ্ছিলেন হাসান।

এ ঘটনায় গত রোববার রাতে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে হাসানকে আসামি করে শিবালয় থানায় মামলা করেন। গতকাল সোমবার ভোরে পুলিশ উপজেলার ডাক্তারখানা এলাকা থেকে হাসানকে গ্রেপ্তার করে।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শিবালয় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন চক্রবর্তী বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ওই যুবকের বিরুদ্ধে এক নারীর আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। সোমবার বিকেলে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ