অন্তর্বর্তী সরকা‌রের প্রস্তাবিত বাজেটকে নিয়ম রক্ষার বা‌জেট ব‌লে মন্তব‌্য ক‌রে‌ছে আমার বাংলা‌দেশ পা‌র্টি (এবি পার্টি)।

সোমবার (২ জুন) দল‌টি তাৎক্ষ‌ণিক বা‌জেট প্রতি‌ক্রিয়া এ কথা জানায়।

বা‌জেট প্রতি‌ক্রিয়ায় এবি পা‌র্টির চেয়ারম‌্যান ম‌জিবুর রহমান মঞ্জু ব‌লেন, “প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ম রক্ষার মধ‍্যে যতটুকু সম্ভব চলনসই। ফ্যাসিবাদের পতন পরবর্তী সময়ে নতুন বন্দোবস্তের যে আকাঙ্খা তৈরি হয়েছে, বাজেটে তার উল্লেখযোগ্য প্রতিফলন নেই।”
 

আরো পড়ুন:

‘প্রস্তাবিত বাজেট পুঁজিবাজারবান্ধব’

৫৯ দেশে বাংলাদেশ মিশনে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দল

এছাড়াও পড়ুন:

এই বাজেট ব্যবসা সম্প্রসারণে আস্থা বাড়াবে না: ফরেন চেম্বার

আগামী অর্থবছরের জন্য ঘোষিত প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যবসা সম্প্রসারণে আস্থা বৃদ্ধি করবে না বলে মন্তব্য করেছেন ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) সভাপতি জাভেদ আখতার। তিনি বলেন, বাজেটে করজাল বৃদ্ধির নির্দেশনা নেই। সরকারে পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটা প্রবৃদ্ধির বাজেট না। এই পরিবেশে কে বিনিয়োগ করতে আসবে বলে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

আজ বুধবার ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) গুলশানের কার্যালয়ে বাজেট পর্যালোচনায় এসব কথা বলেন জাভেদ আখতার। এ সময় সংগঠনের সাবেক সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় ও রূপালী হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

জাভেদ আখতার বলেন, ‘গত তিন বাজেটে আমাদের ওপর করের চাপ বাড়ছে। এবারও কর ব্যয় বাড়বে। বেশি কর দিতে হবে। এবার বেভারেজ, সিগারেট ও শিশুখাদ্যের দাম বাড়বে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির সঙ্গে ব্যবধান বাড়াতে কর বাড়ানো হয়েছে আড়াই শতাংশ।

বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে জাভেদ আখতার বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে আমাদের চেয়ে পাকিস্তানের বিদেশি বিনিয়োগ বেশি। দীর্ঘদিন ধরেই এখানে বিদেশি বিনিয়োগ কম। যদিও বিষয়টি বাজেটের ওপর নির্ভর করে না, নির্ভর করে বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ, নীতির ধারাবাহিকতা ও ব্যবসার সহজীকরণের ওপর। এ ছাড়া কাগজপত্র অনুমোদনের সহজীকরণের বিষয় আছে।

ছোট ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমে শিল্পকে ঝাঁকুনি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রূপালী হক চৌধুরী। অথচ যেসব প্রতিষ্ঠান কর না দিয়ে চলছে, তাদের করজালে আনা এনবিআরের প্রধান কাজ হওয়া উচিত ছিল।

নাসের এজাজ বিজয় বলেন, রাজস্ব প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ শতাংশ। এটা করতে গেলে প্রায় ৩৯ শতাংশ রাজস্ব আহরণ বাড়াতে হবে। কিন্তু সেটা কীভাবে হবে, তা বলা হয়নি। করহার বাড়ালে বেশি কর আদায় হয় না, বরং করহার কমলে রাজস্ব আদায় বাড়ে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ