আ.লীগ সরকার উন্নয়নের নামে লুটপাট করেছে: সারজিস আলম
Published: 27th, May 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ১৭ বছর আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের নামে লুটপাট করেছে। উন্নয়ন না করে প্রচার চালিয়েছে। দেশের দ্বিতীয় স্থলবন্দর এই হিলি। এখানকার রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী। নেই কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া। আমরা দেখতে চাই, হিলি স্থলবন্দর এলাকা উন্নয়নের জন্য যেসব সরকারি বরাদ্দ হয়েছিল, তা কীভাবে লুটপাট হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে দিনাজপুরের হাকিমপুরে হিলি চারমাথা মোড়ের পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস বলেন, বাংলাদেশ পরিচালনার দায়িত্ব ভালো একজন নেতার হাতে তুলে দিতে হবে, সে যে দলের হোক না কেন। প্রতীক বড় বিষয় নয়। ভালো নেতা দেখে ভোট দেবেন। খারাপ লোকের ভয় বেশি, আপনারা খারাপ লোকের অপকর্ম রুখে দেবেন। দেখবেন তারা পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। যেভাবে শেখ হাসিনা পালিয়েছেন।
এ সময় বক্তব্য দেন সাদিয়া ফারজানা দিনা, ডা.
এর আগে সকালে তিনি ঘোড়াঘাটের আজাদ মোড়ে পথসভা করেন। পরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
২৪-এর আকাঙ্ক্ষা এখনো পূরণ হয়নি: সারজিস
‘‘২৪-এর অভ্যুত্থানে যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমরা রাজপথে নেমেছিলাম, সেই আকাঙ্ক্ষা এখনো পূরণ হয়নি। তাই রাজপথ ছাড়ার সময় এখনো আসেনি’’— এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ফয়লা বাজারে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির ১২তম দিনে আয়োজিত পথসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
সারজিস আলম বলেন, “চাঁদাবাজদের উৎপাত এখনো কমে নাই, খুন-খারাপি শুরু হয়েছে। পাথর দিয়ে থেতলে মারার মতো ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত’ ফিরে এসেছে। সন্ত্রাসী কার্যক্রম বেড়েছে। আমরা আপনাদের স্পষ্ট করে বলছি, আমাদের লড়াই এখনো চলমান এবং এই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।”
আরো পড়ুন:
বিবৃতি দিয়ে আমাদের আটকাতে পারবেন না, ভয় পাই না: হাসনাত আব্দুল্লাহ
রাজনৈতিক দলগুলো চুপ্পুকে সরাতে ভয় পেয়েছে: নাহিদ ইসলাম
পথসভায় এনসিপির সদস্য সচিব শেখ আখতার হোসেন বলেন, “বাংলাদেশ থেকে হাসিনা পালিয়ে গেছেন, কিন্তু তার গড়ে তোলা সিস্টেম এখনো টিকে আছে। ঢাকায় একজনকে চাঁদার জন্য পাথর দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রামপালেও চলছে ঘের দখলের রাজনীতি। কোথাকার কোন পালিয়ে থাকা নেতারা এসে এখানকার সম্পদ কুক্ষিগত করতে চায়।”
তিনি আরো বলেন, “যারা ঘের দখল, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও কমিশনভিত্তিক রাজনীতি করতে চায়, তাদেরও জনগণ বিদায় জানাবে। যেমনটি হাসিনাকে বিদায় জানিয়েছে। রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে সাধারণ মানুষকে জলবায়ু সংকটে ফেলে দেয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে মোংলা বন্দরকেও জড়িয়ে ফেলা হয়েছে।”
সংষ্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “একটি দল মনে করে, শুধু নির্বাচন হলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। হাসিনাও তাই মনে করতেন। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে যদি সংস্কার না হয়, পুলিশ যদি নিরপেক্ষ না হয়, তাহলে শুধু নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র আসবে না। আগে সংস্কার, তারপর নির্বাচন।”
এ দিন রামপালের কর্মসূচি শেষে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা বাগেরহাটে হযরত খানজাহান আলী (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করবেন এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এরপর বাগেরহাট শহরের রেলরোড এলাকায় অনুষ্ঠিত জনসভায় অংশগ্রহণ করার আগে দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
ঢাকা/শহিদুল/বকুল