ক্রিকেট
ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি
আরো পড়ুন:
টিভিতে আজকের খেলা
টিভিতে আজকের খেলা
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা
সনি স্পোর্টস ১ ও সনি লিভ
ফুটবল
উয়েফা ন্যাশন্স লিগ
তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ
জার্মানি-ফ্রান্স
সন্ধ্যা ৭টা
ফাইনাল
পর্তুগাল-স্পেন
রাত ১টা
সনি স্পোর্টস ১, ২, ৩ ও সনি লিভ
টেনিস
ফ্রেঞ্চ ওপেন
পুরুষ একক ফাইনাল
বিকাল ৪টা
সনি স্পোর্টস ১ ও ২
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ত আজক র খ ল
এছাড়াও পড়ুন:
আমিই জিতব- কাগজে লিখে এনেছিলেন কোকো গফ
তিন বছর আগে ফাইনাল হেরে ঠিক যেখানে বসে তোয়ালেতে মুখ ঢেকে কেঁদেছিলেন, সেখানে প্যারিসের সেই রোঁলা গারোতে শনিবারও কাঁদলেন কোকো গফ। তবে এবার সেটা ছিল তার আনন্দাশ্রু। আড়াই ঘণ্টা লড়াই চালিয়ে টেনিসের শীর্ষ বাছাই আরিনা সাবালেঙ্কাকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়ের গর্বিত মুহুর্ত। দশ বছর কোন মার্কিন কন্যার প্যারিসে রানী হওয়ার কৃতিত্ব। প্রথম সেট হারার পরেও ঘুরে দাড়ানোর মানসিক শক্তির নির্দশন।
সাবালেঙ্কাকে হারানোর পরেই তাই কার্টর বাইরে থাকা তার ব্যাগ থেকে একটি চিরকুট বের করেন কোকো গফ। ‘আমিই ২০২৫ ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতব’–ফাইনালের আগের রাতে নিজের হাতে লিখে বারবার আয়নার সামনে নিয়ে দেখেছিলেন কোকো। অলিম্পিক জয়ী মার্কিন স্প্রিন্টার গ্যাবি থমাসও এভাবে নিজেকে নিজে অনুপ্রাণিত করতেন। সেই থমাসের সঙ্গেও ফাইনালের আগে কথা হয়েছিল কোকোর। মনের জোরটা সেখান থেকেও পেয়েছেন তিনি।
‘কাগজে এই লেখাটা নিয়ে আমি আয়নার সামনে দাড়িয়েছিলাম। চেষ্টা করছিলাম তা মাথায় নিতে। যাতে করে আমার নিজের মধ্যেই বিশ্বাসটা গেঁথে যায়। জানি না, তা কাজে লেগেছে কিনা, তবে এটা হয়েছে। আমি চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি।’ ম্যাচের পর কোকো গফের উপলব্ধি।
আসলে এদিন ফাইনালে শীর্ষ ও দ্বিতীয় বাছাইয়ের লড়াইটি দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল। বেলারুশ কন্যা সাবালেঙ্কা ‘পাওয়ার’ টেনিসে বিশ্বাসী। আবার সেই পাওয়ার টেনিসই তার দুর্বলতা। একবার ভুল করতে শুরু করলে আরও জোরে শট খেলার চেষ্টা থাকে তার। আর ভুলটা করে বসেন সেখানেই। রেগে গিয়ে মনযোগ হারিয়ে ফেলেন। কোকো গফ ঠিক এই কৌশলটাই কাজে লাগিয়েছেন। পুরো ম্যাচে ৭০ টা আনফোর্সড এরর করেছেন সাবালেঙ্কা। কোকোর থেকে ৪০ টা বেশি। সাবালেঙ্কার সার্ভিস নয় বার ভেঙ্গেছেন কোকো। আর সাবালেঙ্কা সেখানে ছয়বার ভাঙ্গতে পেরেছেন কোকোর সার্ভিস। বছর একুশের কোকোর এই মানসিক দৃঢ়তার কাছেই শেষ পর্যন্ত তিন সেটের লড়াই ৭(৭)–৬(৫), ৬–২, ৬–৪ এ জিতে নেন বছর একুশের কোকো গফ।
তিনি জানতেন এক ঘণ্টা সতেরো মিনিটের প্রথম সেটেই সাবালেঙ্কা সমস্ত শক্তি ক্ষয় করে ফেলেছেন। তাই অপেক্ষায় ছিলেন শুধু তার ভুলের জন্য। ম্যাচের পর কোকো গফের এই বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করেন সাবালেঙ্কা নিজেও।
‘তুমি আমার থেকে ভালো খেলোয়াড়। তুমি লড়াই ছাড়োনি। আমাকে ভুল করতে বাধ্য করেছ। দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যামের জন্য তোমাকে শুভেচ্ছা।’ কোকো তার প্রথম গ্রান্ড স্ল্যাম জিতেছিলেন ইউএস ওপেনে ২০২৩ সালে।