লস অ্যাঞ্জেলেসের বিক্ষোভ নিয়ে এ পর্যন্ত যা কিছু জানা গেছে
Published: 11th, June 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসনবিরোধী অভিযানকে কেন্দ্র করে সহিংস বিক্ষোভের পর বেশকিছু মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে দুই হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন করেছেন। ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ জন্ম নিলেও গত সোমবার ট্রাম্প আরও ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য ও ৭০০ মেরিন সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন।
লস অ্যাঞ্জেলেসের লাতিন জনগোষ্ঠী–অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় ফেডারেল ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা বড় সংখ্যায় অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তার শুরু করলে লোকজন এর প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামেন।
শুরুতে এসব বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণভাবে হলেও পরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীরা একটি প্রধান মহাসড়ক অবরোধ করেন এবং চালকবিহীন কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তবে সোমবার সন্ধ্যার দিকে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হতে শুরু করে।
লস অ্যাঞ্জেলেসে কেন বিক্ষোভ হচ্ছে
গত শুক্রবার ফেডারেল ইমিগ্রেশন সংস্থা (আইসিই) লস অ্যাঞ্জলেসের লাতিন জনগোষ্ঠী–অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় অভিযান শুরু করেছে—এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর এ বিক্ষোভ শুরু হয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এরপরই লস অ্যাঞ্জেলেসে ধরপাকড় বেড়ে যায়।
গত সোমবার দায়ের করা এ মামলায় ক্যালিফোর্নিয়া সরকার অভিযোগ করেছে, গভর্নরের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। সংবিধানের দশম সংশোধনী অনুযায়ী, ফেডারেল সরকারকে যেসব ক্ষমতা স্পষ্টভাবে দেওয়া হয়নি, সেসব রাজ্য সরকারগুলোর জন্য সংরক্ষিত থাকে।বিবিসির সহযোগী মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলেসের ওয়েস্টলেক ও প্যারামাউন্ট এলাকায় অভিযান চালানো হয়। প্যারামাউন্ট শহরের ৮২ শতাংশের বেশি বাসিন্দা হিসপ্যানিক।
প্যারামাউন্টের একটি হোম ডিপো শপে আইসিই অভিযান চালিয়েছে বলেও খবর পাওয়া যায়। তবে কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানান, এ তথ্য সঠিক নয়।
আরও পড়ুনলস অ্যাঞ্জেলেসে ট্রাম্পের ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনকে কেন বিপজ্জনক মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা০৯ জুন ২০২৫পরে আইসিই সিবিএসকে জানায়, গত শুক্রবার অভিবাসীদের একটি কর্মস্থলে অভিযান চালিয়ে ৪৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই দিন লস অ্যাঞ্জেলেসের বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও ৭৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
লস অ্যাঞ্জেলেসের কোথায় বিক্ষোভ হচ্ছে এবং সেখানে কী ঘটছে
বিক্ষোভ মূলত লস অ্যাঞ্জেলেসের কেন্দ্রে সীমাবদ্ধ ছিল। কয়েক দিনের সংঘর্ষের পর পুলিশ সেখানে সমাবেশ বেআইনি ঘোষণা করে।
লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভে রাস্তা অবরোধের পর পুলিশ প্রতিবাদকারীদের সরিয়ে দেয়, ৮ জুন ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: লস অ য ঞ জ ল স র
এছাড়াও পড়ুন:
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন ‘এক নেতা এক পদ’ নীতির বাস্তবায়ন দাবি এক নেতার
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ২০ সেপ্টেম্বর। এ উপলক্ষে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সভাপতি পদে লড়ছেন দুজন, সাধারণ সম্পাদক পদে চারজন। ইতিমধ্যে প্রতীক নিয়ে ভোটের প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থীরা।
সম্মেলনে সভাপতি পদপ্রার্থী ও বর্তমান জেলা বিএনপির সহসভাপতি রুহুল হোসাইন আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের খরমপট্টি এলাকার সমবায় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ‘এক নেতা এক পদ’ নীতি বাস্তবায়নের দাবি তোলেন। তিনি বলেন, দলীয় গঠনতন্ত্রের ১৫ ধারা বাস্তবায়ন না হওয়ায় নেতৃত্বের বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তা কার্যকর করার সুযোগ এসেছে।
রুহুল হোসাইন বলেন, বিভিন্ন ইউনিটের কাউন্সিলরদের কাছ থেকে ইতিমধ্যে দলের ভেতরে নানা অনিয়ম, অগঠনতান্ত্রিক বিষয়গুলো আলোচনায় আসায় তা থেকে বের হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল আলমের উদ্দেশে তিনি বলেন, সাত জেলার দায়িত্বে থাকা একজন কেন্দ্রীয় পদধারী নেতার একই সঙ্গে জেলা সভাপতির দায়িত্ব পালন করা অনিয়ম ও বিভক্তি তৈরি করছে। বলয়কেন্দ্রিক রাজনীতিতে অনেক বর্ষীয়ান ও সম্ভাবনাময় নেতারা অবজ্ঞার শিকার হয়েছেন।
জেলা বিএনপির সহসভাপতি আরও বলেন, সভাপতি পরিবর্তন হলে কিশোরগঞ্জে অনিয়ম কমবে। সদর থেকে সভাপতি নির্বাচিত হলে জেলার বিভিন্ন দাপ্তরিক কার্যক্রমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পৃক্ততা থাকবে। জেলা–উপজেলার নেতা-কর্মীরা নজরে থাকবেন। এতে অনিয়ম কম হবে, যা দলের ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল আলম বলেন, দলীয় গঠনতন্ত্র মেনেই তিনি প্রার্থী হয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আস্থা থাকার কারণেই একাধিক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। শুধু তিনি নন, আরও অনেক নেতা কেন্দ্রীয় পদে থেকেও জেলায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
জেলা বিএনপি জানিয়েছে, প্রায় ৯ বছর পর এবার জেলা বিএনপির সম্মেলন হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে পুরাতন স্টেডিয়ামে মঞ্চ, প্যান্ডেলসহ শহরে শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উদ্বোধন করবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সম্মেলনে সভাপতি পদে লড়ছেন রুহুল হোসাইন (ছাতা) ও মো. শরীফুল আলম (আনারস)। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল (ফুটবল), মাজহারুল ইসলাম (রিকশা), শফিকুল আলম রাজন (মাছ) ও সাজ্জাদুল হক (গোলাপ ফুল)।