শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দিলো ৩ কোম্পানি
Published: 15th, January 2025 GMT
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিনটি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হয়েছে। ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এ লভ্যাংশ বিতরণ করেছে কোম্পানিটি।
কোম্পানি তিনটি হলো- হা-ওয়েল টেক্সটাইল (বিডি) লিমিটেড, রহিম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড এবং মালেক স্পিনিং মিলস লিমিটেড।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
হা-ওয়েল টেক্সটাইল (বিডি) লিমিটেড, রহিম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড এবং মালেক স্পিনিং মিলস লিমিটেডের ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) সিস্টেমসের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হয়েছে।
হা-ওয়েল টেক্সটাইল ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০ শতাংশ করে লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা করে। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ। সে হিসাবে কোম্পানিটির প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ২ টাকা করে নগদ লভ্যাংশ পেয়েছেন শেয়ারহোল্ডারা।
রহিম টেক্সটাইল মিলস ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ করে লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা করে। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ। সেই হিসাবে কোম্পানিটির প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ১ টাকা করে নগদ লভ্যাংশ পেয়েছেন শেয়ারহোল্ডারা।
মালেক স্পিনিং মিলস ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ করে লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা করে। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ। সেই হিসাবে কোম্পানিটির প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ১ টাকা করে নগদ লভ্যাংশ পেয়েছেন শেয়ারহোল্ডারা।
কোম্পানি তিনটির বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়।
ঢাকা/এনটি/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম লস ল ম ট ড
এছাড়াও পড়ুন:
হিলি কাস্টমসে রাজস্ব আদায় ৭১৯ কোটি টাকা
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বেঁধে দেওয়া রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি দিনাজপুরের হিলি কাস্টমস। ৭৪০ কোটি ৯ লাখ টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৭১৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ঘাটতি ২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। পণ্য আমদানি কমে যাওয়ার লক্ষ্য পূরণ হয়নি বলে জানিয়েছে হিলি কাস্টমস।
হিলি কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৪৫ কোটি ৯ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৪৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আগস্ট মাসে ৬০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৫৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে ৫৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৫৫ কোটি ৭ লাখ টাকা, অক্টোবর মাসে ৬২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এসেছে ৬১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, নভেম্বর মাসে ৬৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জিত হয়েছে ৪৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, ডিসেম্বর মাসে ৬৯ কোটি ২১ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৫৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, জানুয়ারি মাসে ৬৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এসেছে ৪৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা, ফেব্রুয়ারি মাসে ৫১ কোটি ৬১ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জিত হয়েছে ৭০ কোটি ২ লাখ টাকা, মার্চ মাসে ৭৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৯৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, এপ্রিল মাসে ৬৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৪৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, মে মাসে ৪৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ১০১ কোটি ৮২ লাখ টাকা এবং জুন মাসে ৬২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন বলেছেন, রাজস্ব আহরণে লক্ষ্য অর্জিত না হওয়ার কারণ বন্দরে বিগত বছরগুলোর তুলনায় আমদানি অনেক কম। আগে যেখানে দৈনিক ২০০ থেকে ২৫০ ট্রাক পণ্য আমদানি হতো, বর্তমানে সেখানে আমদানি হয় মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ ট্রাক পণ্য। এ কারণে রাজস্ব আয়ে প্রভাব পড়েছে। আমদানি বাড়লে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হবে।
ঢাকা/মোসলেম/রফিক