বিপিএলের ঢাকা পর্বে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি রাকিম কর্নওয়াল। সিলেট পর্বে তিন ম্যাচ খেলেও ব্যাটে-বলে ভালো করতে পারেননি। কিন্তু চট্টগ্রাম পর্বে দলের সঙ্গে যাওয়া হলো না তার। চোট নিয়ে ‘বাংলাদেশকে বিদায়’ বলে বিপিএল ছেড়েছেন তিনি। 

সিলেট স্ট্রাইকার্স তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়েছে এই সংবাদ, ‘সমর্থকদের জন্য দুঃসংবাদ। চোটের কারণে রাকিম কর্নওয়াল বিপিএল ছাড়ছেন।’ ভিডিওতে কর্নওয়াল বলেন, ‘বিদায় বাংলাদেশ। আপনাদের সঙ্গে আবার সিলেটে দেখা হবে।’

সিলেটের হয়ে এবারের বিপিএলে কর্নওয়াল ৩ ম্যাচ খেলেছেন। ব্যাট হাতে যথাক্রমে ১৮, ০ ও ৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। বল হাতে নিয়েছেন ৪টি। বিদেশিদের মধ্যে সিলেটের দলে আছেন পল স্টার্লিং, জর্জ মানসে, রিস টপলি ও অ্যারন জোন্স। 

এবারের বিপিএলে সিলেট টানা তিন ম্যাচে হারের মুখ দেখে। ঢাকা পর্বে পরপর দুই ম্যাচে হারের পর সিলেটে গিয়েও প্রথম ম্যাচে হারে সিলেট স্ট্রাইকার্স। এরপর জাকির হাসানের ব্যাটে চতুর্থ ও পঞ্চম ম্যাচে জিতে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা দেয় সিলেট। কিন্তু সিলেটে নিজেদের শেষ ম্যাচে হেরেছে আরিফুল হকের নেতৃত্বাধীন দলটি। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

চীনের রণতরি উদ্বোধন, চাপে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র

চীনের সর্বাধুনিক বিমানবাহী রণতরি ‘ফুজিয়ান’ আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের উপস্থিতিতে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রণতরিটি নৌবাহিনীতে যুক্ত করা হয়।

ফুজিয়ান হলো চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরি, যা আধুনিক ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট সিস্টেমে সজ্জিত। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিমানগুলো আরও বেশি গতিতে উড্ডয়ন করতে পারবে।

এটি চীনের নৌ সক্ষমতায় এক বড় অগ্রগতি। কারণ, বর্তমানে জাহাজের সংখ্যার দিক থেকে চীনের নৌবাহিনীই বিশ্বের সবচেয়ে বড়। সি চিন পিংয়ের নেতৃত্বে চীন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অবিশ্বাস্য গতিতে নৌবাহিনী সম্প্রসারণ করছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, ফুজিয়ানের সমতল ডেকে থাকা ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট সিস্টেমের সাহায্যে তিন ধরনের যুদ্ধবিমান উৎক্ষেপণ করা সম্ভব। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত এই রণতরি ভারী অস্ত্র ও জ্বালানি বহনকারী যুদ্ধবিমান মোতায়েন করতে পারবে, যা আরও দূরের শত্রু ঘাঁটিতে আঘাত হানতে সক্ষম। ফলে এটি চীনের প্রথম দুটি রণতরি—রুশ নির্মিত ‘লিয়াওনিং’ ও ‘শানডং’-এর তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ফুজিয়ানকে চীনের নৌবাহিনীর বিকাশে একটি বড় মাইলফলক হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

বিশ্বে বর্তমানে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেরই এমন একটি বিমানবাহী রণতরি রয়েছে, যাতে ফুজিয়ানের মতো ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ