বিপিএলের ঢাকা পর্বে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি রাকিম কর্নওয়াল। সিলেট পর্বে তিন ম্যাচ খেলেও ব্যাটে-বলে ভালো করতে পারেননি। কিন্তু চট্টগ্রাম পর্বে দলের সঙ্গে যাওয়া হলো না তার। চোট নিয়ে ‘বাংলাদেশকে বিদায়’ বলে বিপিএল ছেড়েছেন তিনি। 

সিলেট স্ট্রাইকার্স তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়েছে এই সংবাদ, ‘সমর্থকদের জন্য দুঃসংবাদ। চোটের কারণে রাকিম কর্নওয়াল বিপিএল ছাড়ছেন।’ ভিডিওতে কর্নওয়াল বলেন, ‘বিদায় বাংলাদেশ। আপনাদের সঙ্গে আবার সিলেটে দেখা হবে।’

সিলেটের হয়ে এবারের বিপিএলে কর্নওয়াল ৩ ম্যাচ খেলেছেন। ব্যাট হাতে যথাক্রমে ১৮, ০ ও ৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। বল হাতে নিয়েছেন ৪টি। বিদেশিদের মধ্যে সিলেটের দলে আছেন পল স্টার্লিং, জর্জ মানসে, রিস টপলি ও অ্যারন জোন্স। 

এবারের বিপিএলে সিলেট টানা তিন ম্যাচে হারের মুখ দেখে। ঢাকা পর্বে পরপর দুই ম্যাচে হারের পর সিলেটে গিয়েও প্রথম ম্যাচে হারে সিলেট স্ট্রাইকার্স। এরপর জাকির হাসানের ব্যাটে চতুর্থ ও পঞ্চম ম্যাচে জিতে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা দেয় সিলেট। কিন্তু সিলেটে নিজেদের শেষ ম্যাচে হেরেছে আরিফুল হকের নেতৃত্বাধীন দলটি। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের অকৃত্রিম দুই বন্ধু

১৯৭১ সালের ১লা আগস্ট নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ। বিখ্যাত ব্যান্ড দ্য বিটলস-এর প্রধান গিটারিস্ট জর্জ হ্যারিসন এবং পণ্ডিত রবিশঙ্করের নাম এই কনসার্টের সঙ্গে জড়িত। তারা বাংলাদেশের একজন অকৃত্রিম বন্ধু। 

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পন্ডিত রবিশঙ্কর ছিলেন ক্যালিফোর্নিয়ায়। তিনি তখন ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অফ আর্টসে ডিপার্টমেন্ট অব ইন্ডিয়ান মিউজিকের ফ্যাকাল্টি হিসেবে দায়িত্বরত। নিজ উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কীত বিভিন্ন খবর ও দারিদ্র্যসংক্রান্ত প্রকাশিত প্রতিবেদনের অংশবিশেষ জর্জ হ্যারিসনকে দিয়েছিলেন রবিশঙ্কর। তিনিও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত অবস্থা অনুধাবন করা শুরু করলেন এবং সিদ্ধান্ত নিলেন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবেন। 

আরো পড়ুন:

কুসুম গরম পানিতে গোসলের উপকারিতা

আমার আর শাকিবের পছন্দ এক: বুবলী

জর্জ হ্যারিসন তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘‘ শুরু থেকেই বিটলদের দৃষ্টিভঙ্গিটা এমন ছিল যে যদি কিছু করতে হয় তবে তা বড় করেই করা উচিত এবং সেটা মিলিয়ন ডলারেরই হবে না কেন।’’

এই ভাবনা থেকে ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ অনেক বড় পরিসরে অনুষ্ঠিত হয়। জর্জ হ্যারিসন এই কনসার্টে তার বিখ্যাত গান ‘বাংলাদেশ’ পরিবেশন করেছিলেন। যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছিল।

বিটলস ষাটের দশকে আমেরিকাসহ বিশ্বের নতুন প্রজন্মকে এই দল অনেক কিছুকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার এবং নানা বিষয়ে নতুনভাবে ভাবার পথ দেখিয়েছিল।  বিশেষত তরুণ প্রজন্মের চিন্তার জগতে প্রচণ্ড ঝড় তুলেছিলেন এই দলের সদস্যরা। ফলে কনসার্ট-এ শ্রোতাদের উল্লেখযোগ্য সাড়া মিলেছিলো। 

জর্জ হ্যারিসন ‘দ্য কোয়ায়েট ওয়ান’ নামেও পরিচিত ছিলেন এবং ব্যান্ডের সঙ্গীত শৈলীতে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রভাব যুক্ত করার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। 

বিটলসের হয়ে তার লেখা বিখ্যাত গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘সামথিং’, ‘হিয়ার কামস দ্য সান’ এবং ‘হোয়াইল মাই গিটার জেন্টলি উইপস’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই সঙ্গীতশিল্পী  বিটলস ভেঙে যাওয়ার পর তিনি সফল একক কর্মজীবন শুরু করেন। তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘অল থিংস মাস্ট পাস’ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় এবং এতে ‘মাই সুইট লর্ড’ এর মতো হিট গান ছিল।

হ্যারিসন ২০০১ সালের ২৯শে নভেম্বর ৬ষ্ট ক্যালিফোর্নিয়ায় মারা যান। 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ