শায়েস্তাগঞ্জে শহীদ জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল
Published: 22nd, January 2025 GMT
হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মণডুরা ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা হয়েছে। এতে কদমতলী একাদশকে ১ শূন্য গোলে হারিয়ে বিশাউড়া একাদশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা শেষে অতিথিরা চ্যাম্পিয়ন দলকে মোটরসাইকেল ও রানার্সআপ দলকে ফ্রিজ উপহার দেন।
ফাইনাল খেলায় উপস্থিত ছিলেন- শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আ স ম আফজল আলী, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক জালাল আহমেদ, শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি দিলীপ কান্ত নাথ, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবু তাহের, সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আজিজ ফরহাদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিজান উদ্দিন আহমেদ মোহন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সুমন, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুল জলিল।
আরো পড়ুন:
কিশোরগঞ্জে ছুরিকাঘাতে বিএনপি নেতার মৃত্যু
দেশের ৯০ ভাগ সংস্কার বিএনপি করেছে: আমীর খসরু
ঢাকা/মামুন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ফ টবল উপজ ল ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হত্যাকাণ্ডে বর্ষাসহ তিনজনের স্বীকারোক্তি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসেন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বার্জিস শাবনাম বর্ষাসহ তিন আসামি। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তাঁরা আজ মঙ্গলবার এই জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দি দেওয়া অপর দুই আসামি হলেন মাহির রহমান ও ফারদীন আহম্মেদ আয়লান।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, জোবায়েদ হোসেন হত্যা মামলায় বর্ষাসহ তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করে পুলিশ। পরে আদালত তাঁদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
পিপি ওমর ফারুক ফারুকী প্রথম আলোকে বলেন, সাক্ষী হিসেবে প্রিতম চন্দ্র দাস আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
এর আগে আজ দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এক মাস আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেনকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, পড়াতে গিয়ে জোবায়েদের সঙ্গে বর্ষার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে বর্ষার সঙ্গে আগে থেকেই মাহিরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এটা মূলত ত্রিভুজ প্রেমের গল্প।
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, মাহিরকে বর্ষা বলেন যে, জোবায়েদকে না সরালে তিনি মাহিরের হতে পারবেন না। এরপর জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। গ্রেপ্তার দুই আসামি মাহির ও বর্ষাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ এসব তথ্য জেনেছে বলে তিনি জানান।
পুলিশ কর্মকর্তা মল্লিক আহসান উদ্দিন ব্রিফিংয়ে বলেন, বাসার নিচে ছুরি দিয়ে আঘাতের পর জোবায়েদ বাঁচার জন্য সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠে আসেন। বেশ কয়েকটি বাসার দরজায় তিনি নক করেন। কেউ খোলেননি। তৃতীয় তলায় এসে তিনি বর্ষার কাছে বাঁচার আকুতি জানান। তবে বর্ষা তাঁকে সাহায্য করেননি।
জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি বর্ষাকে টিউশন পড়াতেন।
আরও পড়ুনএক মাস আগে জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়: পুলিশ৫ ঘণ্টা আগে