নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস ঢুকে পড়ল দোকানে, আহত ২০
Published: 27th, March 2025 GMT
যশোরের মণিরামপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাস সড়কের পাশের একটি দোকানের ভেতরে ঢুকে পড়েছে। এতে বাসযাত্রীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার চিনেটোলা বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী রফিক নামের এক যুবক বলেন, ‘‘ভোরে ফজরের নামাজ শেষে চিনাটোলা বাজারে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ যশোর থেকে ছেড়ে আসা সাতক্ষীরাগামী দ্রুতগতির একটি বাস সড়কের পাশের একটি দোকানের ভেতরে ঢুকে পড়ে। এসময় বাসের ভেতরে থাকা যাত্রীরা ডাক-চিৎকার শুরু করেন। দ্রুত ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। তারা আসার আগেই আমরা ৭-৮ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই।’’
মনিরামপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাফায়াত হোসেন বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ১০ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এখন দোকানের ভেতর থেকে বাসটি বের করার চেষ্টা চলছে।’’
মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, ‘‘ধারণা করা হচ্ছে, বাসচালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’
ঢাকা/প্রিয়ব্রত/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সড়ক দুঘর্টনায় ৩ ভাইয়ের মৃত্যু, পরিবারে মাতম
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসচাপায় নিহত মোটরসাইকেলে আরোহী তিন ভাইয়ের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সদকি ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর এলাকার একটি কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়। এর আগে, দুপুরে তাদের মরদেহ গ্রামে এসে পৌঁছালে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। তাদের সান্তনা দিতে গিয়ে চোখে পানি ধরে রাখতে পারছিলেন না প্রতিবেশী ও স্বজনরা।
আরো পড়ুন:
সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
টাঙ্গাইলে বেইলি ব্রিজে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, নিহত ১
গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর কবরস্থানের সামনে দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
নিহতেরা হলেন- কুমারখালীর সাদিক ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর এলাকার করিম মন্ডলের ছেলে সুমন (২৫) ও রিমন (১৪) এবং তাদের চাচাতো ভাই শাহিন মোল্লার ছেলে মো. আশিক মোল্লা (২২)। সুমন ও রিমন পেশায় ফার্নিচার মিস্ত্রি ছিলেন। আশিক ঢাকায় চাকরির পাশাপাশি উবার চালাতেন।
দুই ছেলেকে হারিয়ে শোক স্তব্দ করিম মন্ডল বলেন, “আমার মেয়ের শাশুড়ি গত শনিবার মারা গেছেন। তার জানাজায় অংশ নিতে দুই ছেলে বাড়িতে আসছিল। তারা মোটরসাইকেল নিয়ে আসছিল। বড় ছেলেকে সুমনের খোঁজ নেওয়ার জন্য বলি। সে সুমনকে ফোন দিলে পুলিশ ফোন ধরে জানায় এক্সিডেন্টের কথা। বড় ছেলে যেয়ে দেখে, আমার দুই ছেলের লাশ হাসপাতালে পড়ে আছে। এখন এ শোক আমি সইবো কি করে।”
নিহত আশিক মোল্লার মা শিউলী খাতুন কান্নারত অবস্থায় বলেন, “১৫ দিন আগেই বাড়িতে এসে ছেলে ঘুরে গেছে। ছেলে যে আজকে বাড়িতে আসছিল জানতাম না। রাতে পুলিশ ফোন করে জানায়, আশিকের এক্সিডেন্ট হয়েছে। পরে খবর পাই, হাসপাতালে নেওয়ার পর আমার ছেলে মারা গেছে। এখন আমি কি নিয়ে বাঁচব? আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আমার ছেলেকে হারিয়ে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি।”
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, “শনিবার মধ্যরাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় কুষ্টিয়ার কুমারখালীর সদকী ইউনিয়নের একই এলাকার আপন দুই ভাইসহ তিনজন নিহত হয়েছে। তাদের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। খুব কষ্টদায়ক একটি বিষয়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।”
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ