যশোরের মণিরামপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাস সড়কের পাশের একটি দোকানের ভেতরে ঢুকে পড়েছে। এতে বাসযাত্রীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার চিনেটোলা বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী রফিক নামের এক যুবক বলেন, ‘‘ভোরে ফজরের নামাজ শেষে চিনাটোলা বাজারে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ যশোর থেকে ছেড়ে আসা সাতক্ষীরাগামী দ্রুতগতির একটি বাস সড়কের পাশের একটি দোকানের ভেতরে ঢুকে পড়ে। এসময় বাসের ভেতরে থাকা যাত্রীরা ডাক-চিৎকার শুরু করেন। দ্রুত ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। তারা আসার আগেই আমরা ৭-৮ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই।’’

মনিরামপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাফায়াত হোসেন বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ১০ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এখন দোকানের ভেতর থেকে বাসটি বের করার চেষ্টা চলছে।’’

মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, ‘‘ধারণা করা হচ্ছে, বাসচালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/প্রিয়ব্রত/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পাবনায় বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৩ যাত্রীর

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রামে বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে তিনজন যাত্রী নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রাম পূর্বপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা পাবনাগামী ‘পাবনা এক্সপ্রেস’ নামের একটি বাস ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে সাঁথিয়ার বনগ্রাম পূর্বপাড়ায় এসে পৌঁছায়। এ সময় পাবনা থেকে ছেড়ে আসা একটি মালবাহী ট্রাকের সঙ্গে বাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাস ও ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই বাসের তিন যাত্রী নিহত হন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন আবেদ আলী (৩৮), মনসুর আলী (৪০) ও অজ্ঞাতপরিচয় এক পুরুষ। এ ছাড়া বাসের আট যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজে অংশ নেয়। দুর্ঘটনার কারণে কিছু সময়ের জন্য মহাসড়কের ওই অংশে যান চলাচল বন্ধ ছিল।

মাধপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘দুর্ঘটনার কথা শোনা মাত্রই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজে অংশ নিই। আহত ব্যক্তিদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। এ ছাড়া উদ্ধার করা লাশগুলো আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুমড়েমুচড়ে যাওয়া ট্রাকে কাউকে পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনার জন্য বাসের চালককেই বেশি দায়ী মনে হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ