যশোরের মণিরামপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাস সড়কের পাশের একটি দোকানের ভেতরে ঢুকে পড়েছে। এতে বাসযাত্রীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার চিনেটোলা বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী রফিক নামের এক যুবক বলেন, ‘‘ভোরে ফজরের নামাজ শেষে চিনাটোলা বাজারে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ যশোর থেকে ছেড়ে আসা সাতক্ষীরাগামী দ্রুতগতির একটি বাস সড়কের পাশের একটি দোকানের ভেতরে ঢুকে পড়ে। এসময় বাসের ভেতরে থাকা যাত্রীরা ডাক-চিৎকার শুরু করেন। দ্রুত ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। তারা আসার আগেই আমরা ৭-৮ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই।’’

মনিরামপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাফায়াত হোসেন বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ১০ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এখন দোকানের ভেতর থেকে বাসটি বের করার চেষ্টা চলছে।’’

মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, ‘‘ধারণা করা হচ্ছে, বাসচালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/প্রিয়ব্রত/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার সাজা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে পরীক্ষায় ফেলেছে

ভারতের কাছে কিছু বন্ধুত্ব কৌশলগত দিক থেকে যেমন মূল্যবান, তেমনই এর রাজনৈতিক দায়ভারও অনেক বেশি। বাংলাদেশের সাবেক নেতা শেখ হাসিনার সঙ্গে নয়াদিল্লির দীর্ঘদিনের সখ্যা অনেকটা তেমনই।

ক্ষমতায় থাকার ১৫ বছরে শেখ হাসিনা ভারতকে এমন কিছু দিয়েছেন, যা নয়াদিল্লি তার দিক থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। সেগুলো হলো স্থিতিশীলতা, যোগাযোগ এবং চীনের পরিবর্তে ভারতের সঙ্গে নিজেদের স্বার্থ সমন্বয় করতে ইচ্ছুক এক প্রতিবেশী।

বর্তমানে শেখ হাসিনা সীমান্তের ওপারে ভারতে অবস্থান করছেন। কিন্তু বাংলাদেশে একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল) তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। এই দণ্ড দেওয়া হয়েছে ছাত্র নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভে দমন–পীড়নের কারণে, যে বিক্ষোভে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন।

২০২৪ সালের ওই বিক্ষোভ শেখ হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করে এবং তাতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পথ সুগম হয়। আগামী বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।

এই সব কিছু মিলিয়েই একটি কূটনৈতিক জটিলতা তৈরি হয়েছে। ঢাকা শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চায়, কিন্তু নয়াদিল্লি তাতে সায় দেওয়ার কোনো আগ্রহ দেখায়নি। এতে কার্যত তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

নয়াদিল্লি যে মানবিক আশ্রয় দিতে চেয়েছিল, তা এখন একটি দীর্ঘ ও অস্বস্তিকর পরীক্ষায় পরিণত হচ্ছে। আর সেটা হলো দিল্লি তার এক পুরোনো মিত্রের জন্য কত দূর যেতে ইচ্ছুক এবং এই প্রক্রিয়ায় সে কূটনৈতিক সক্ষমতার কতটুকু ব্যয় করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

অভূতপূর্ব গণজাগরণে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিজয় উদ্‌যাপন। ৫ আগস্ট ২০২৪, সংসদ ভবন এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ