যশোরের মণিরামপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাস সড়কের পাশের একটি দোকানের ভেতরে ঢুকে পড়েছে। এতে বাসযাত্রীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার চিনেটোলা বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী রফিক নামের এক যুবক বলেন, ‘‘ভোরে ফজরের নামাজ শেষে চিনাটোলা বাজারে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ যশোর থেকে ছেড়ে আসা সাতক্ষীরাগামী দ্রুতগতির একটি বাস সড়কের পাশের একটি দোকানের ভেতরে ঢুকে পড়ে। এসময় বাসের ভেতরে থাকা যাত্রীরা ডাক-চিৎকার শুরু করেন। দ্রুত ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। তারা আসার আগেই আমরা ৭-৮ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই।’’

মনিরামপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাফায়াত হোসেন বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ১০ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এখন দোকানের ভেতর থেকে বাসটি বের করার চেষ্টা চলছে।’’

মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, ‘‘ধারণা করা হচ্ছে, বাসচালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/প্রিয়ব্রত/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সফল হতে কী লাগে—বললেন এ বছর রসায়নে নোবেলজয়ী সুসুমু কিতাগাওয়া

ছাত্রাবস্থায় একটি দারুণ বই পড়েছিলাম—দ‍্য ওয়ার্ল্ড অব জিনিয়াস। লিখেছেন নোবেলজয়ী পদার্থবিদ অধ্যাপক হিদেকি ইউকাওয়া। বইতে চীনা দার্শনিক চুয়াং সুর একটি দর্শন পড়ে খুব মুগ্ধ হয়েছিলাম। বিশেষ করে তাঁর একটি ধারণা আমাকে গভীরভাবে আকৃষ্ট করেছিল—‘অপ্রয়োজনীয়র প্রয়োজনীয়তা’ (দ‍্য ইউজফুলনেস অব ইউজলেস)।

আজকের দিনে অধিকাংশ গবেষক সেই বিষয়েই মনোযোগ দেন, যেগুলো ‘প্রয়োজনীয়’ বলে বিবেচ্য। ওসব বিষয়েই তাঁরা গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন; কিন্তু ‘অপ্রয়োজনীয়র প্রয়োজনীয়তা’ এমন সব বিষয় নিয়ে ভাবতে অনুপ্রাণিত করেছিল, যেগুলো শুরুতে ‘অপ্রয়োজনীয়’ মনে হয়। যেমন পোরাস (ছিদ্রওয়ালা কাঠামো)।

পোরাসকাঠামো নিয়ে কাজ করাকে কেউ গুরুত্ব দিত না। কারণ, সবাই ঘন কাঠামো নিয়েই কাজ করছিলেন। কারণ, ওগুলোকেই কার্যকর কঠিন পদার্থ তৈরির জন্য দরকারি মনে করা হতো; কিন্তু আমরা ভাবলাম, পোরাসের ‘ফাঁকা জায়গাগুলো’ হয়তো আয়ন বা অণুকে ধরে রাখা, চেনা, পরিবহন কিংবা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে। তাই এ নিয়ে আমরা কাজ শুরু করলাম।

আরও পড়ুন৪০০ প্রজাতির পাখির ছবি তুলেছেন রাজশাহীর এই দম্পতি২১ ঘণ্টা আগে

সে সময় সবাই বিশ্বাস করতেন, জৈবপদার্থ দিয়ে কোনো স্থিতিশীল ছিদ্রযুক্ত গঠন তৈরি করা সম্ভব নয়। ফলে অনেকেই ভাবতেন, আমরা ‘অপ্রয়োজনীয়’ গবেষণা করছি। কারণ, তাঁরা বুঝতে পারেননি এই আপাততুচ্ছ ছিদ্রগুলোর ভেতরের ফাঁকা জায়গা কতটা সম্ভাবনাময় হতে পারে।

কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের গবেষণার একটি শক্তিশালী ধারা হলো—সব সময় এমন কিছু বেছে নেওয়া, যেটি নিয়ে কেউ ভাবেননি, কেউ আগ্রহ দেখাননি। তারপর সেটির ভেতর থেকে একেবারে নতুন একটি জ্ঞানের দরজা খুলে দেওয়া।

নোবেল জয়ের পর অনলাইনের মাধ্যমে ভিডিও ইন্টারভিউ দিচ্ছেন সুসুমু

সম্পর্কিত নিবন্ধ