তুরস্কে গ্রেপ্তার ১ হাজার ৯০০ বিক্ষোভকারী
Published: 27th, March 2025 GMT
ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুর গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিক্ষোভে অংশ নেওয়া প্রায় এক হাজার ৯০০ জনকে আটক করেছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট তাইয়্যেব এরদোয়ানের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হয ইমামোগলুকে। তিনি কিছু জরিপে এরদোয়ানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। রবিবার দুর্নীতির অভিযোগে বিচারাধীন অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার গ্রেপ্তারের ফলে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয় এবং দেশজুড়ে ব্যাপক গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটে।
ইমামোগলুর দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি), অন্যান্য বিরোধী দল, অধিকার গোষ্ঠী এবং পশ্চিমা শক্তিগুলো দাবি করেছে, মেয়রের বিরুদ্ধে মামলার কারণে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এরদোয়ানের জন্য সম্ভাব্য নির্বাচনী হুমকি দূর করার জন্য এটি রাজনৈতিক প্রচেষ্টা ছিল।
তবে তুর্কি সরকার বিচার বিভাগের উপর কোনো প্রভাব বিস্তার চেষ্টার অভিযৈাগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, আদালত স্বাধীন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়েরলিকায়া জানিয়েছেন, বুধবার বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে এক হাজার ৮৭৯ জনকে আটক করা হয়েছে। আদালত তাদের মধ্যে ২৬০ জনকে বিচারাধীন অবস্থায় কারাদণ্ড দিয়েছে। এছাড়া ৪৮৯ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আমাদের কেউ ম্যান্ডেট দেয়নি, কত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে: সাখাওয়াত হোসেন
দেশে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে কি না, তা নির্বাচন কমিশনই বলতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়ার সময় অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন দেওয়ার কোনো শর্ত ছিল না বলেও জানান তিনি।
আজ সোমবার সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক বছরের অর্জন ও সাফল্য নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শ্রম উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। শ্রমসচিব মো. সানোয়ার জাহান ভুঁইয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যখন ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট আসি, তখন তো আমাদের কেউ ম্যান্ডেট দেয়নি যে এক, দেড় বা দুই বছরের মাথায় নির্বাচন দিতে হবে। কেউ বলেনি যে নির্বাচন করতে হবে এত তারিখের মধ্যে। আমরাই বললাম যে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে যদি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে যায়, তাতে তো সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারে না।’
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমরা যেখানে গেছি, সেখানেই বলেছি যে নির্বাচন সময়মতো হবে। কারণ, আমরা মনে করি যে দেশে একটা নির্বাচন হওয়া উচিত এবং নির্বাচিত সরকার আসা উচিত। বৈশ্বিক গণতান্ত্রিক চর্চাটা এস্টাবলিশড হওয়া উচিত। গত ১৭ থেকে ১৮ বছর যা হতে দেখিনি। আমরা যদি সেটা করতে পারি, সেটাই হবে আমাদের বড় ক্রেডিট।’
দীর্ঘদিন নির্বাচন কমিশনে কাজ করার (নির্বাচন কমিশনার ছিলেন তিনি) অভিজ্ঞতা থাকার কারণে সাংবাদিকেরা আবার জানতে চান দেশে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে কি না। জবাবে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমি ভুলে গেছি। নির্বাচন নিয়ে আমার কাছে বলার মতো কিছু নেই। আমি নির্বাচন নিয়ে অজ্ঞ। কোনো আইডিয়া নেই। এটা নির্বাচন কমিশন বলতে পারবে।’
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শ্রম উপদেষ্টার সন্তুষ্টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে রাজনৈতিক দলগুলো জানে না যে তারা কী করবে? তাদের ভবিষ্যৎ কী? রাজনৈতিক ক্যাওয়াজ তখন বলব, যখন সরকার একদিকে আর রাজনৈতিক দলগুলো অন্যদিকে থাকবে।’