ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুর গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দেশব্যাপী  বিক্ষোভে অংশ নেওয়া প্রায় এক হাজার ৯০০ জনকে আটক করেছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট তাইয়্যেব এরদোয়ানের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হয ইমামোগলুকে। তিনি কিছু জরিপে এরদোয়ানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। রবিবার দুর্নীতির অভিযোগে বিচারাধীন অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার গ্রেপ্তারের ফলে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয় এবং দেশজুড়ে ব্যাপক গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটে।

ইমামোগলুর দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি), অন্যান্য বিরোধী দল, অধিকার গোষ্ঠী এবং পশ্চিমা শক্তিগুলো দাবি করেছে, মেয়রের বিরুদ্ধে মামলার কারণে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এরদোয়ানের জন্য সম্ভাব্য নির্বাচনী হুমকি দূর করার জন্য এটি রাজনৈতিক প্রচেষ্টা ছিল।

তবে তুর্কি সরকার বিচার বিভাগের উপর কোনো প্রভাব বিস্তার চেষ্টার অভিযৈাগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, আদালত স্বাধীন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়েরলিকায়া জানিয়েছেন, বুধবার বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে এক হাজার ৮৭৯ জনকে আটক করা হয়েছে। আদালত তাদের মধ্যে ২৬০ জনকে বিচারাধীন অবস্থায় কারাদণ্ড দিয়েছে। এছাড়া ৪৮৯ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমাদের নতুন সংসার, সব স্বপ্ন ভেঙে গেল’

‘আমাদের নতুন সংসার। অনেক স্বপ্ন ছিল। সব স্বপ্ন ভেঙে গেল। এখন স্বামীকেই হারালাম। আমি টাকা চাই না, আপনারা আমার স্বামীকে এনে দেন।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীর লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়ার স্ত্রী নূপুর আক্তার (২২)।

সবুজ মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায়। তিনি উপজেলার মহদিপুর ইউনিয়নের ছোট ভগবানপুর গ্রামের প্রয়াত হাবিদুল ইসলামের ছেলে। দেড় বছর আগে তিনি বিয়ে করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে ছোট ভগবানপুর গ্রামে মাতম চলছে।

রোববার বিকেলে গাইবান্ধা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ছোট ভগবানপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ মিয়ার বাড়িতে আহাজারি চলছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন আত্মীয়স্বজনেরা। তাঁদের সান্ত্বনা দিতে আশপাশের লোকজন বাড়িতে ভিড় করছেন। সবুজের স্ত্রী নূপুর বারবার লুটিয়ে পড়ছেন।

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় শাহাদাতবরণকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় শান্তিরক্ষী

সম্পর্কিত নিবন্ধ