সরকারি তিতুমীর কলেজে কর্মরত চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের ঈদের আনন্দে শরিক হতে ঈদ উপহার ও ফুড প্যাক বিতরণ করেছে শাখা ছাত্রশিবির।

বুধবার (২৬ মার্চ) রাতে কলেজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন শিবিরে নেতাকর্মীরা।

তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুনতাসীর আনসারি বলেন, “ইসলামী ছাত্রশিবির সবসময় মানবিক ও কল্যাণমূলক কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। আমাদের এ উপহার প্রদান কর্মসূচি তারই একটি অংশ।”

আরো পড়ুন:

ঈদযাত্রা: গাজীপুরে যাত্রীর ঢল, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়

নড়াইলে ঈদের বেচাকেনা জমে উঠেছে

তিনি বলেন, “ঈদের এই আনন্দঘন মুহূর্তে আমরা তাদের পাশে থাকতে পেরে আনন্দিত। আশা করি, আমাদের এই ছোট্ট প্রয়াস তাদের মুখে হাসি ফোটাবে এবং ঈদের আনন্দকে আরো বাড়িয়ে দেবে।”

শাখা সভাপতি আলফেসানি বলেন, “ইসলামী ছাত্রশিবিরের মানবিক ও কল্যাণমূলক কাজের অংশ হিসেবেই আমরা বছর জুড়ে নানা উপলক্ষে এমন উপহার সামগ্রী প্রদানের কর্মসূচি পালন করে থাকি। অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে ক্যাম্পাসের কর্মচারী ভাই ও বোনেরা শিক্ষার্থীদের সেবা দিয়ে থাকেন। এজন্য আমরা তাদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার চেষ্ট করছি।”

উপহার পেয়ে কলেজের কর্মচারীরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ছাত্রশিবিরের এ ধরনের মানবিক উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

ঢাকা/হাফছা/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদ আনন দ উপহ র

এছাড়াও পড়ুন:

নাটোরে পায়ের রগ কাটা ও চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা, কেউ গ্রেপ্তার হয়নি

নাটোরে নিখোঁজ তরুণের পায়ের রগ কাটা ও চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তাঁর বন্ধুসহ পাঁচজনের নামে হত্যা মামলা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির মামা বাদী হয়ে আজ রোববার সকালে বড়াইগ্রাম থানায় মামলাটি দায়ের করেন। আজ বেলা ৩টা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

শনিবার সন্ধ্যায় বড়াইগ্রামের আগ্রাণ এলাকার একটি গাছের শিকড়ের ভেতর থেকে সোহাগ হোসেন (২৫) নামের এক তরুণের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি থানা মোড় এলাকার নাজমুল ইসলামের ছেলে। এর আগে বৃহস্পতিবর রাত থেকে সোহাগকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ওই ঘটনায় তাঁর মামা আবু হানিফ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।

বড়াইগ্রাম থানা সূত্রে জানা যায়, আবু হানিফ মামলায় নিহতের বন্ধু ও প্রতিবেশী আকাশ হোসেন (২৭) তাঁর মা কহিনুর বেগম (৬২) ভাই ডাবলু (৪৫) লাভলু (৩৮) ও বোন নিপা খাতুনকে (৩৫) আসামি করেছেন। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৪–৫ জন এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ১২টার দিকে আকাশ হোসেন ট্রাকের বালু নামানোর কথা বলে সোহাগ হোসেনকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর আর তিনি ফিরে আসেননি। পরের দিন নিহত সোহাগের মা পারভিন বেগম আসামিদের বাড়িতে গিয়ে তাঁর ছেলের সন্ধান চাইলে তাঁরা খারাপ আচরণ করেন। পরে শুক্রবার আবু হানিফ এ ব্যাপারে থানায় জিডি করেন। গতকাল সকালে আগ্রাণ এলাকার একটি গাছের নিচ থেকে পায়ের রগ কাটা ও চোখ উপড়ানো অবস্থায় সোহাগের লাশ উদ্ধার করা হয়। বাদীর ধারণা, আসামিরা তাঁর ভাগনেকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছেন।

আরও পড়ুননিখোঁজ যুবকের পায়ের রগ কাটা ও চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধার২০ ঘণ্টা আগে

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম বলেন, মামলা হওয়ার আগে থেকেই পুলিশ সন্দেহভাজন আসামিদের ধরতে মাঠে নেমেছে। আজ বেলা ৩টা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে শিগগিরই আসামিরা ধরা পড়বে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার উদ্দেশ্য জানা যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ