নোয়াখালীতে সেপটিক ট্যাংক থেকে স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
Published: 27th, March 2025 GMT
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় নিখোঁজের দুই দিন পর শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংক থেকে স্কুলছাত্র আব্দুল হামিদ রায়হানের (১৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পুলিশ ও নিহতের স্বজনেরা হত্যাকাণ্ডের কারণ জানাতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ হুগলি গ্রামের নাপিত বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। গত মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাত ৮টার দিকে বাড়ি থেকে মসজিদে যাওয়ার পথে রায়হান নিখোঁজ হয়।
নিহত রায়হান একই গ্রামের হাজী বাড়ির মো.
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে ঘর থেকে মসজিদে যাওয়ার পথে রায়হান নিখোঁজ হয়। এরপরের দিন একই বাড়ির তার দূর সম্পর্কের চাচা মারুফকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে নিহতের স্বজনেরা। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি রায়হানকে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান। পরে তার ভাষ্যমতে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। রায়হানকে হত্যার পরে মুঠোফোনে নিহতের পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন মারুফ।
নিহতের বড় ভাই হারুনুর রশিদ বলেন, ‘‘মারুফের সঙ্গে আমাদের বিরোধ নেই। তিনি কেন আমার ভাইকে হত্যা করেছেন বিষয়টি আমরা জানি না।’’
সুধারাম মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শেখ কামাল জানান, রায়হান বাড়ি থেকে নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে মারুফ ডাব পাড়ার কথা বলে তাকে নাপিত বাড়ির বাগানে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে সেখানে আরো ৩-৪ জন যুবক রায়হানকে ছুরিকাঘাত ও মারধর করে হত্যা করে এবং লাশ ওই বাড়ির সেফটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়।
তিনি আরো জানান, পুলিশ অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযানে রয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে তারা গা ঢাকা দেয়। রায়হানের মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা/সুজন/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দৌলতদিয়ায় ৭ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ, যানবাহন পারাপারে ভোগান্তি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে দৌলতদিয়ায় ৭ নম্বর ফেরিঘাটের সামনে নাব্যতা সংকট দূর করতে খনন শুরু করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এতে গতকাল শনিবার সকাল থেকে ঘাটটি বন্ধ। বর্তমানে সেখানে চালু আছে মাত্র দুটি ঘাট। ফলে যানবাহন পারাপার ব্যাহত ও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএর আরিচা কার্যালয় সূত্র জানায়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে পদ্মা নদীতে পানি কমতে থাকায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিআইডব্লিউটিএ গত ২১ সেপ্টেম্বর দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করে। দীর্ঘদিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও এক সপ্তাহ ধরে ৭ নম্বর ঘাটের কাছে ফেরি ভেড়াতে সমস্যা দেখা দেয়।
হঠাৎ ৭ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রী ও যানবাহনের চালকেরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। প্রায় এক কিলোমিটার ঘুরে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে নদী পারাপার হতে হচ্ছে। এতে সময় ও জ্বালানি খরচ বেড়েছে।
ঢাকাগামী দূরপাল্লার পরিবহনের ঘাট তত্ত্বাবধায়ক বারেক শেখ বলেন, নদী পাড়ি দিতে অধিকাংশ চালক ৭ নম্বর ফেরিঘাটে আসেন। শনিবার সকাল থেকে ঘাটটি বন্ধ করে দেওয়ায় অনেকে এসে ফিরে যান। উপায় না পেয়ে প্রায় এক কিলোমিটার পথ ঘুরে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে পারাপার হচ্ছেন।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন বলেন, নদীতে নাব্যতা স্বল্পতা নেই। তবে ৭ নম্বর ঘাটের আপ পকেটের সামনে নাব্যতা কম থাকায় ফেরি ভিড়তে সমস্যা হচ্ছিল। ওই ঘাটের সামনে বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজার মেশিন বসানোর ফলে ঘাটে কোনো ফেরি ভিড়তে পারছে না। ঘাটটি আগামী দু-তিন দিন বন্ধ থাকতে পারে।
বিআইডব্লিউটিএ আরিচা কার্যালয়ের ড্রেজিং বিভাগের নির্বাহী পরিচালক হাছান আহমেদ বলেন, দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ঘাটের আপ পকেটের সামনে প্রায় ৫০০ ফুট এলাকায় চূড়ান্ত ড্রেজিং চলছে। প্রায় দুই হাজার ফুট ভাসমান পাইপ থাকায় ফেরি ভিড়তে সমস্যা হচ্ছে। সে কারণে ঘাটটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। দু–তিন দিনের মধ্যে ঘাটটি চালু হবে।