ফতুল্লায় কুপির আগুনে ছাপড়া ঘর পুড়ে প্রতিবন্ধি যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় ফতুল্লার নন্দলালপুর এলাকায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেললাইনের পাশে বস্তিতে এঘটনা ঘটে। নিহত সুরুজ( ২০) ওই বস্তির মৃত. ফিরোজ মিয়া ও সাহিদা বেগমের ছেলে।

ফতুল্লা মডেল থানার এসআই শহিদুল ইসলাম জানান, সুরুজ শারিরীক প্রতিবন্ধি হাটতে পারেনা। তার বাবা নেই মা ভিক্ষা করে সংসার চালায়। রাতে ঘরের মধ্যে কেরোসিন তেলের কুপি জ্বালিয়ে সুরুজকে রেখে তার মা শাহিদা বেগম বাহিরে যায়। এরমধ্যে কুপি থেকে বস্তির ছাপড়া ঘরে আগুন ধরে যায়।

তখন মুহুর্তের মধ্যে পাশের আরো দুটি ঘরেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এসময় আশপাশের লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই ঘরসহ পুড়ে ছাই হয়ে যায় সুরুজ। 

এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী লাশ ময়না তদন্ত ছাড়া দাফনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। বিষয়টি উধ্বর্তন অফিসারদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারের রাখাইনে হাসপাতালে জান্তার বিমান হামলা, নিহত ৩১

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের একটি হাসপাতালে জান্তার বিমান হামলায় অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ম্রাউক-উতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ত্রাণকর্মী ওয়ে হুন অং এ তথ্য জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জান্তার মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ওয়ে হুন অং আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তিনি বলেন, ‘সেখানকার পরিস্থিতি খুব ভয়াবহ। আমরা ৩১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করতে পেরেছি। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছি। হামলায় ৬৮ জন আহত হয়েছেন, যা বাড়তে পারে।’

বুধবার রাতে কমপক্ষে ২০টি মরদেহ হাসপাতালের বাইরে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ভোরে দেখা যায় বিস্ফোরণে হাসপাতালের একটি অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। হামলায় স্থানীয় কাঠমিস্ত্রি মাউং বু চে-এর স্ত্রী, পুত্রবধূ ও তাঁর বাবা নিহত হয়েছেন।

মাউং বু চে বলেন, ‘আমার গ্রাম থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছিলাম। রাতে আমি কল্পনাও করতে পারিনি বোমাগুলো কোথায় আঘাত হেনেছে। এরপর একজন আমাকে জানাল, তারা ধ্বংস হয়ে যাওয়া ভবনে আছে। তখন বুঝতে পারলাম তারা বেঁচে নেই। আমার কিছু বলার নেই। আমি ভীষণ ক্ষুব্ধ।’

২০২১ সালে নোবেলজয়ী অং সান সু চির সরকারকে উৎখাত করে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই দেশটি সংঘাত-সংঘর্ষে বিপর্যস্ত।

ম্রাউক-উ এলাকাটি রাখাইনের উত্তরে অবস্থিত। গত বছর থেকে এটি আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ