ফতুল্লায় কুপির আগুনে ছাপড়া ঘর পুড়ে প্রতিবন্ধি যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় ফতুল্লার নন্দলালপুর এলাকায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেললাইনের পাশে বস্তিতে এঘটনা ঘটে। নিহত সুরুজ( ২০) ওই বস্তির মৃত. ফিরোজ মিয়া ও সাহিদা বেগমের ছেলে।

ফতুল্লা মডেল থানার এসআই শহিদুল ইসলাম জানান, সুরুজ শারিরীক প্রতিবন্ধি হাটতে পারেনা। তার বাবা নেই মা ভিক্ষা করে সংসার চালায়। রাতে ঘরের মধ্যে কেরোসিন তেলের কুপি জ্বালিয়ে সুরুজকে রেখে তার মা শাহিদা বেগম বাহিরে যায়। এরমধ্যে কুপি থেকে বস্তির ছাপড়া ঘরে আগুন ধরে যায়।

তখন মুহুর্তের মধ্যে পাশের আরো দুটি ঘরেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এসময় আশপাশের লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই ঘরসহ পুড়ে ছাই হয়ে যায় সুরুজ। 

এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী লাশ ময়না তদন্ত ছাড়া দাফনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। বিষয়টি উধ্বর্তন অফিসারদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশি নেতাদের সঙ্গে বিরোধীদের সাক্ষাৎ করতে দিচ্ছে না সরকার: রাহুল গান্ধীর অভিযোগ

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বিরোধী নেতাদের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না জানিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তুলে দিলেন লোকসভার বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর সরকার এতটাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে যে বিদেশি নেতাদের সঙ্গে বিরোধীদের সাক্ষাৎ পর্যন্ত করতে দিচ্ছে না।

গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদ ভবন চত্বরে এই অভিযোগ এনে রাহুল বলেন, অথচ বিরোধী নেতাদের সঙ্গে দেখা করা এ দেশের প্রচলিত গণতান্ত্রিক পরম্পরা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ী ও মনমোহন সিংয়ের সময়েও এই পরম্পরা জারি ছিল।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন দিল্লি পৌঁছেন। প্রটোকল ভেঙে বিমানবন্দরে গিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজেই। লাল কার্পেটে দাঁড়িয়ে পুতিনকে বুকে জড়িয়ে ধরেন। তারপর একই গাড়িতে তাঁরা দুজনে বিমানবন্দর থেকে রওনা হন লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে।

পুতিন নয়াদিল্লি পৌঁছার কয়েক ঘণ্টা আগেই রাহুল গান্ধী সরকারি মনোভাবের সমালোচনা করে ওই মন্তব্য করেন।

পুতিনের সফর নিয়ে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে রাহুল বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রনায়কেরা দেশে এলে বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করে থাকেন। এটা একটা গণতান্ত্রিক প্রথা বা রীতি। কারণ, শুধু সরকারপ্রধানই নন, বিরোধীরাও দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। বাজপেয়ী বা মনমোহন সিংয়ের সময়েও এমনই হয়ে এসেছে। কিন্তু এখন আর তা দেখা যায় না।

রাহুল বলেন, ‘এখন বিদেশি নেতারা এলে কিংবা আমি বিদেশে গেলে সরকার আগে থেকে জানিয়ে দেয়, আমাদের সঙ্গে তাঁরা যেন দেখা না করেন। সেই নির্দেশের কথা আমরা জেনেও যাই। বলা হয়, সরকার চায় না ওরা আমাদের কারও সঙ্গে দেখা করুন।’

পুতিন ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ভারতে এসেও তৎকালীন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ইউপিএ চেয়ারপারসন হিসেবে রাশিয়ায় গিয়ে ২০০৭ সালেও সোনিয়া দেখা করেছিলেন পুতিনের সঙ্গে।

অথচ এবার লোকসভা ও রাজ্যসভার বিরোধী নেতা হিসেবে সোনিয়া অথবা মল্লিকার্জুন খাড়গেকে দেখা করতে দেওয়া হলো না। রাহুলের অভিযোগ, মোদি সরকারের নিরাপত্তাহীনতাই এর কারণ।

বিজেপি ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্য বিরোধী নেতার এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন। দুপক্ষই বলেছে, সরকারি বৈঠকের বাইরে কারও সঙ্গে কথা বলার থাকলে বিদেশি রাষ্ট্রনেতারাই সেই আগ্রহ দেখান। সরকার তা বাস্তবায়িত করার ব্যবস্থা করে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে বলা হয়, ২০২৪ সালে রাহুল গান্ধী লোকসভার বিরোধী নেতা হওয়ার পর বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী (জুলাই আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত) শেখ হাসিনা এ দেশে এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে রাহুলের সাক্ষাৎ হয়েছিল। ভিয়েতনাম, মরিশাস, মালয়েশিয়া ও নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্রনেতারাও এ দেশে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন।

পররষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, পুরোটাই নির্ভর করে বিদেশি অতিথিদের ইচ্ছার ওপর।

কংগ্রেস সূত্র থেকে বলা হয়, কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতার জন্য হাসিনা ও পুতিন সব সময়ই কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। পুতিন এবারও সেই আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। কিন্তু সরকার তা হতে দেয়নি সফরের মেয়াদ কম হওয়ার অজুহাতে। পুতিন এবার ভারতে থাকছেন চব্বিশ ঘণ্টার মতো।  

পুতিনের সম্মানে রাষ্ট্রপতির দেওয়া নৈশভোজে অবশ্য লোকসভা ও রাজ্যসভার দুই বিরোধী নেতা যথাক্রমে রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়গে আমন্ত্রণ পেয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ