ভুলে যাবেন না, আমরা আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছি: প্রধান উপদেষ্টাকে হাসনাত আব্দুল্লাহ
Published: 3rd, May 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আপনি ভুলে যাবেন না, আমরা আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছি।
শনিবার (৩ মে) দুপুরে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসমাবেশ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে হাসনাত বলেন, “অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত কিছুদিন আগে বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নাকি আওয়ামী লীগের। আপনি ভুলে যাবেন না, আমরা আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছি। আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে কি না, নির্বাচনে আসবে কি না, এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।”
তিনি বলেন, “আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতার আট মাস পরে যেসব দাবিতে জমায়েত হতে হয়েছে, সেটা আমাদের জন্য গর্বের কিছু নয়, বরং এটি আমাদের জন্য লজ্জার। ৫ আগস্ট সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, হাসিনার পুনর্বাসনের প্রতি সারা বাংলাদেশের মানুষ রেড কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে।”
তিনি বলেন, “৫ আগস্ট আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি, এই ভূখণ্ডে আওয়ামী লীগের আর পুনর্বাসন হবে না। যেই আওয়ামী লীগ আমাদের দাড়ি-টুপিওয়ালা ভাইদেরকে বায়তুল মোকাররমের সামনে থেকে রাস্তায় নামিয়ে এনে হত্যা করেছিল, সেই আওয়ামী লীগের আর পুনর্বাসন হবে না। ”
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, আট মাস পরে এসে আমাদের দেশের অনেক রাজনৈতিক দল, অনেক রাজনীতিবিদ আমাদেরকে বারবার মনে করিয়ে দেয়, আওয়ামী লীগ নাকি রাজনৈতিক দল এবং এই রাজনৈতিক দল নিয়ে সিদ্ধান্তে আসার এখতিয়ার নাকি আমাদের নেই।”
আওয়ামী লীগ মারা গেছে বাংলাদেশে, আর জানাজা হয়েছে দিল্লিতে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “শহীদদের রক্তের ওপর পা দিয়ে এই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে আসবে না। এই সংস্কার আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সংস্কার। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।”
হাসানাত আবদুল্লাহ আরো বলেন, “ভুলে গেলে চলবে না, আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়। একাত্তর পরবর্তী সময়ে আপনারা দেখেছেন, শেখ মুজিব সর্বপ্রথম বাকশাল কায়েম করে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছেন। এই বাকশাল দিয়ে ৩০ হাজার জাসদ-কর্মীকে হত্যা করে সারা বাংলাদেশে কসাইতন্ত্র কায়েম করেছে। তাদের লুটপাটের কারণে ৭৪ সালে দুর্ভিক্ষে ১৫ লাখ মানুষ মারা গেছে।”
আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটি সন্ত্রাসী সংগঠন। এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার মধ্য দিয়ে আমরা সংস্কার করতে চাই। প্রয়োজন হলে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হাসিনার ফাঁসি নিশ্চিত করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাহমুদুর হাসান কাশেমী, নায়েবে আমির আহমেদ কাশেমী, হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক প্রমুখ।
ঢাকা/রায়হান/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র দ আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনে টানা ১৪ বার জয় সিঙ্গাপুরের শাসক দলের
সিঙ্গাপুরের পার্লামেন্ট নির্বাচনে টানা ১৪ বারের মতো জয় পেয়েছে শাসক দল পিপলস অ্যাকশন পার্টি (পিএপি)। এর মধ্য দিয়ে নগররাষ্ট্রটিতে টানা ৬০ বছর ধরে চলা পিএপির শাসন আরও দীর্ঘয়িত হতে যাচ্ছে। ১৯৬৫ সালে সিঙ্গাপুরের স্বাধীনতার আগে থেকেই সেখানে শাসন করছে পিএপি।
শনিবার সিঙ্গাপুরের পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, পার্লামেন্টের ৯৭টি আসনের মধ্যে ৮৭টি পেয়েছে পিএপি। ৩৩টি নির্বাচনী এলাকার অনেকগুলোতেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে দলটি। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে ৬৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে পিএপি। এর আগে ২০২০ সালের নির্বাচনে ৬৪ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছিল তারা।
নির্বাচনে এই বিশাল জয় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওংয়ের প্রতি সিঙ্গাপুরের মানুষের বিপুল সমর্থনকেই তুলে ধরেছে। গত বছর তিনি সিঙ্গাপুরের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে দুই দশক ধরে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী ছিলে লি হসিং লুং। তিনি আধুনিক সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা লি কুয়ান ইয়েওয়ের ছেলে।
শনিবারের ফলাফল অনুযায়ী, নির্বাচনে মূল বিরোধী দল ওয়ার্কার্স পার্টি ১০টি আসনে জয় পেয়েছে। গত নির্বাচনেও তারা ১০টি আসনে পেয়েছিল। সিঙ্গাপুরে কোনো বিরোধী দলের এটি সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়ার ঘটনা।
সিঙ্গাপুর বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল শহর। শনিবারের নির্বাচনে জীবনযাত্রার ব্যয় ও বাসস্থান ছিল প্রধান বিষয়। লরেন্স ওংয়ের সরকারের জন্য তা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবেই রয়ে গেছে। বিশ্বব্যাপী চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে সিঙ্গাপুরে অর্থনীতি মন্দার মুখে পড়তে পারে বলে এরই মধ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে লরেন্সের সরকার।