বিধি বহির্ভূতভাবে নিয়োগ পাওয়ায় হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ মডেল কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. শাহাব উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

রবিবার (৪ মে) হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও শায়েস্তাগঞ্জ মডেল কামিল মাদরাসার এডহক কমিটির সভাপতি নাঈমা খন্দকার স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে, অপর অফিস আদেশে শায়েস্তাগঞ্জ মডেল কামিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আব্দুল মুনয়িম আল হুসাইনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন:

টাঙ্গাইলে স্কুলে ঢুকে প্রধান শিক্ষককে ‌‘জুতাপেটা’

৪০ ঘণ্টা অনশনে, অসুস্থ কুয়েটের পাঁচ শিক্ষার্থী

অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) প্রিয়াংকা পাল অধ্যক্ষ মো.

শাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে আনা বিধি বহির্ভূতভাবে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগটি তদন্ত করেন। তদন্তে তিনি অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পান। প্রিয়াংকা পাল অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরই প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ মো. শাহাব উদ্দিনকে সামিয়ক বহিষ্কার করা হয়।

অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, সাময়িক বরখাস্ত থাকাকালীন সময়ে বিধি অনুযায়ী মূল বেতনের ৫০ শতাংশ জীবন ধারণ ভাতা পাবেন মো. শাহাব উদ্দিন। 

শায়েস্তাগঞ্জ মডেল কামিল মাদরাসায় জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুসরণ না করেই অধ্যক্ষ হিসেবে ২০২০ সালের ২৫ জুলাই মো. শাহাব উদ্দিনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ঘটনায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন এক অভিভাবক। অভিযোগে বলা হয়, মো. শাহাব উদ্দিনকে নিয়োগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে মাদরাসা কামিল হওয়া সত্ত্বেও ফাজিল স্তর দেখিয়ে কর্তৃপক্ষ অনিয়ম করে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়।

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বরখ স ত

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ