রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হতো গুম: কমিশনের অনুসন্ধান
Published: 19th, June 2025 GMT
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই গুম করা হতো। আর এ কাজে জঙ্গিবাদবিরোধী প্রচারণাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে গুম কমিশনের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। আর গুমের জন্য দায়ীদের প্রাথমিকভাবে শনাক্তও করতে পেরেছে কমিশন।
বৃহস্পতিবার সকালে গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এই কথা জানান।
বিস্তারিত আসছে.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
তিন ফসলি জমি রক্ষা গোবিন্দগঞ্জে ইপিজেড স্থাপন পরিকল্পনা স্থগিতের দাবি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে তিন ফসলি কৃষিজমি রক্ষায় ইপিজেড স্থাপন পরিকল্পনা স্থগিত করার দাবি জানিয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর অধিকার ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ১৪টি সংগঠন। সেইসঙ্গে সাঁওতাল নৃগোষ্ঠী ও কিছু বাঙালি কৃষিজীবী পরিবারের পূর্বপুরুষদের জমি ফিরিয়ে দেওয়াসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে তারা।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘গাইবান্ধায় সাঁওতালদের পূর্বপুরুষের জমিতে বৈধ অধিকারের স্বীকৃতি এবং তিন ফসলি কৃষি জমি সুরক্ষার দাবিতে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে এএলআরডি, নিজেরা করি, টিআই-বি, ব্লাস্ট, বেলা, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন, বারসিক, নাগরিক উদ্যোগ, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, এইচডিআরসি, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, কাপেং ফাউন্ডেশন এবং হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদসহ ১৪টি সংগঠন।
সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির বলেন, ‘দেশে আইন-নীতিমালা যখন প্রয়োগ হয় না তখন দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ জনগণকে। আমরা পূর্ববর্তী সরকারের আমলে গোবিন্দগঞ্জের বাগদা ফার্মে ইপিজেড নির্মাণের বিপরীতে স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। হুকুম-দখলে সরকারি নীতিতে আছে অধিগ্রহণকৃত জমি যদি নির্ধারিত কাজে ব্যবহৃত না হয়, তা হলে যাদের জমি তাদের ফেরত দেওয়া হবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বাস্তবতা ভিন্ন। চিনি কল ২০০৪ সালে বন্ধ হয়ে গেলেও সেই জমি সাঁওতালদের ফেরত দেওয়া হয়নি। বরং ২০১৬ সালে তাদের ওপর নিপীড়ন চালানো হয় এবং ৩ জন আদিবাসী তৎকালীন পুলিশ বাহিনী ও প্রশাসনের দমন-পীড়নে নিহত হন। আমরা এই পরিস্থিতিতে নতুন করে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে প্রস্তাবিত ইপিজেড নির্মাণের সরকারি সিদ্ধান্ত ও প্রক্রিয়াকে প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানাই।’
ঢাবির অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘এটা স্পষ্ট, জমি ফেরত না দিয়ে সেখানে ইপিজেড স্থাপন শিল্পায়নের ভুল ব্যাখ্যা। কৃষিজমি ধ্বংস করে ইপিজেড করার যুক্তি নেই। বিশ্বে এখন বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ হচ্ছে। বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থেই তিন ফসলি জমি ধ্বংস কোনো ভালো সিদ্ধান্ত নয়।’
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এত জায়গা থাকতে সাঁওতালপল্লীতে কেন ইপিজেড করতে হবে?’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী সাইদুর রহমান প্রমুখ।