সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক একসময় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন।

আজ রোববার জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এক যৌথ শোকবাণীতে বলেন, ‘তাঁর মৃত্যুতে জাতি একজন খ্যাতিমান আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও অভিভাবককে হারাল। আমরা তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। একই সঙ্গে তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের মৃত্যুতে শোকবার্তা দিয়েছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। তাঁরা বলেছেন, আবদুর রাজ্জাকের মৃত্যুতে বাংলাদেশের আইন অঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ন‍্যায়বিচার সমুন্নত করতে তাঁর অবদানের কথা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

আজ বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইবনে সিনা হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। তিনি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসামিপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি হিসেবে কাজ করেছিলেন। ২০১৯ সালে আবদুর রাজ্জাক জামায়াত থেকে পদত্যাগ করেন। পরে আত্মপ্রকাশ করা এবি পার্টির প্রধান উপদেষ্টা হয়েছিলেন তিনি। তবে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি এই দল থেকেও পদত্যাগ করেন।

আরও পড়ুনব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক মারা গেছেন৩ ঘণ্টা আগে

শোকবার্তায় এবি পার্টির চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, আবদুর রাজ্জাক আশির দশকের পর থেকে সুপ্রিম কোর্টে সুনামের সঙ্গে আইন পেশায় জড়িত ছিলেন। বাংলাদেশের বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলা পরিচালনা করে তিনি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। ব্যক্তিগত জীবনে মিষ্টভাষী ও সমাজ পরিবর্তনে আকাঙ্ক্ষী আবদুর রাজ্জাক অত‍্যন্ত স্পষ্টবাদী মানসিকতার প্রখর ব‍্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ ছিলেন।

এবি পার্টির দুই শীর্ষ নেতা আবদুর রাজ্জাকের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্য, স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী ও সহকর্মীদের প্রতি তাঁরা গভীর সমবেদনা জানান।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব য র স ট র আবদ র র জ জ ক আবদ র র জ জ ক র ম ত য ত

এছাড়াও পড়ুন:

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশ নিয়ে হাইকোর্টে রিট

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের কিছু সুপারিশ নিয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রওশন আলী রিটটি দায়ের করেছেন। এই আইনজীবী প্রথম আলোকে বলেন, আগামীকাল সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটির ওপর শুনানি হতে পারে।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনটি সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত ও আলোচিত হয়েছে। প্রতিবেদনের বিভিন্ন সুপারিশ ইসলামি শরিয়তের বিধানের পরিপন্থী। দেশের জনগণের ধর্মীয় অনুভূতির পরিপন্থী। বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই এই বিষয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জাতীয়ভাবে স্পর্শকাতর।

রিটে সংশ্লিষ্ট তিনটি মন্ত্রণালয় ও নারী সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে। রিটে রুল জারির আরজি রয়েছে। কমিশনের প্রতিবেদনের ৩, ৪, ৬, ১০, ১১ ও ১২ অধ্যায়ে অন্তর্ভুক্ত সুপারিশগুলো কেন বেআইনিভাবে প্রণীত ও আইনগত কার্যকারিতা–বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না—এই মর্মে রুল রুল চাওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অর্থ লেনদেনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
  • আইনজীবী হত্যাসহ চার মামলায় চিন্ময়কে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন
  • আইনজীবী হত্যাসহ চার মামলায় চিন্ময়কে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন আদালতে
  • বিয়ের প্রলোভনের মাধ্যমে যৌনকর্মে দণ্ডের বিধান প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
  • ‘বিষাক্ত’ কর্মপরিবেশে টিকে থাকার চ্যালেঞ্জ
  • ২১ আগস্ট গ্রেনেড মামলা: হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল শুনানি ৬ মে
  • ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের ডক্টরেট ডিগ্রি ‘ভুয়া’
  • আজ হচ্ছে না চিন্ময় দাসের জামিন শুনানি
  • নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশ নিয়ে হাইকোর্টে রিট