Samakal:
2025-06-20@10:20:56 GMT

রংতুলিতে আঁকা এক সকাল

Published: 4th, May 2025 GMT

রংতুলিতে আঁকা এক সকাল

সবুজ সমারোহে সজ্জিত প্রকৃতিকন্যা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা পরিবার থেকে দূরে থাকায় জীবনটা কখনও কখনও নিঃসঙ্গ আর নিরস মনে হতে শুরু করে। সপ্তাহজুড়ে সারাদিন ক্লাস প্র‍্যাক্টিক্যাল করে সবাই যেন ক্লান্ত! তবে এই বাকৃবিরই কিছু মনোমুগ্ধকর রীতিনীতি যেন সে জীবনে মায়াবী রং মিশিয়ে দিতে প্রস্তুত।   প্রতিটি ফ্যাকাল্টিতেই  ক্লাস করার সুবিধার্থে কয়েকটি প্র্যাকটিক্যাল গ্রুপে ভাগ করা হয়। তেমনি কৃষি অনুষদের সেকশন ‘সি’-তে রয়েছে ৩টি গ্রুপ- ৭, ৮ এবং ৯। প্রতিবছরই প্র্যাকটিক্যাল গ্রুপ ৭ থেকে নবাগত শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজন করা হয় এক গ্রুপ মিটআপ। গত বছর ৬১ ব্যাচের পক্ষ থেকে এমনই এক উষ্ণ স্বাগতম পেয়েছিল বর্তমান ৬২ ব্যাচ, যার কথা ভুলবার নয়। তখন ৬১ ব্যাচের গ্রুপ রিপ্রেজেন্টেটিভ সৌরভ  ভাই বলেছিলেন,  ‘আমরা যেমন তোমাদের জন্য আয়োজন করেছি সামনের বছর তোমরাও করবে। আয়োজনে কোনো কমতি করবে না।’ সিনিয়রদের সঙ্গে করা সেই অঙ্গীকার আর নিজেদের ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ থেকে ৬২ ব্যাচ এই বছর ১৯ এপ্রিল আয়োজন করে ৬৩ ব্যাচের সঙ্গে গ্রুপ মিটআপ। এটি একটি একবেলার আয়োজন হলেও এর পেছনে অবদান ছিল অনেকের। একবেলার ওই আয়োজনই আল্পনা এঁকে রেখেছে সাদা পায়রার মতো শুভ্র স্মৃতির। 
মিটআপ শুরুর আগেই ৬২ ব্যাচের গ্রুপ ৭-এর রিপ্রেজেন্টেটিভ সবাইকে অবহিত করেন। এরপর আয়োজনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন আবদুল্লাহ আল মুকিত। এবার শুরু হলো দায়িত্ব বণ্টনের পালা। মুকিত নিজে কাগজ এনে সবার কাছ থেকে জুনিয়রদের জন্য উপদেশ ও শুভেচ্ছাবার্তা লেখার ব্যবস্থা করে। সমন্বিত প্রচেষ্টায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়। অবশেষে এলো সেই কাঙ্ক্ষিত দিন ১৯ এপ্রিল। সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যেই ৬২ ব্যাচের সবাই পৌঁছে যায় টিএসসি লেকভিউ ভেন্যুতে। শুরু হয় বেলুন ফোলানো, ফটোফ্রেম টানানো ও খেলাধুলার প্রস্তুতি। জুনিয়ররাও সকাল ১০টার কিছু আগেই পৌঁছায়। জুনিয়ররা সবাই অবাক কণ্ঠে বলে ওঠে, ‘আমাদের জন্য এতকিছু?’ গ্রুপ ৬২’র উষ্ণ অভ্যর্থনায় জড়তা কেটে সাবলীল হতে থাকে সিনিয়র-জুনিয়রের সম্পর্ক। এক এক করে সবাই বসে টিএসসির ছাতার নিচে। শুরু হয় পরিচিতি পর্ব। পরিচয় পর্বে বোঝা যায় পৃথিবী আসলেই অনেক ছোট। কাকতালীয়ভাবে একেকজনের এলাকা, কলেজ আরও কতভাবে যে মিল পাওয়া যায়! আর গড়ে উঠতে থাকে সিনিয়র-জুনিয়র বন্ধন।
পরিচিতি শেষে জুনিয়রদের গোলাপ, চকলেট এবং একটি উপদেশবাণী দিয়ে বরণ করে নেয় সিনিয়ররা। এরপর শুরু হয় ৬৩ ব্যাচদের নিয়ে খেলাধুলার আয়োজন।  
খেলা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।  এরপর শুরু হয় আলোচনা ও আড্ডা। জুনিয়রদের একাডেমিক প্রশ্নের উত্তর দেয় সিনিয়ররা। ভাইভা সংক্রান্ত বিষয়, পড়াশোনার পদ্ধতি, হলে বা ক্যাম্পাসে সমস্যা হলে কী করতে হবে সব নিয়েই খোলামেলা কথা হয়।
৬২ ব্যাচের  মুকিত বলেন, অনেক কষ্ট করে আয়োজনটা করেছি, আলহামদুলিল্লাহ সব কিছু ঠিকঠাক ছিল। ’৬৩ ব্যাচের তানভীর বলেন, ক্যাম্পাসে এসে সিনিয়ররা এত সুন্দর করে স্বাগত জানাবে, এটা ভাবতেও পারিনি। আমরা কৃতজ্ঞ আপনাদের প্রতি। তানভীরের এই কথায় যেন 
এক বছর আগের নিজেকেই দেখতে পায় ৬২ ব্যাচ। ঠিক যেভাবে ৬১ ব্যাচ এক বছর আগে বলেছিল, ঠিক সেভাবেই ৬২ ব্যাচের সিনিয়ররা বলে, ‘পরের বছর যখন তোমাদের জুনিয়র 
আসবে তোমরাও এভাবে একটা মিটআপ 
করবে, কেমন?’ v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ৬২ ব য চ র ন য়রদ র ম টআপ

এছাড়াও পড়ুন:

কারাগারে  বিয়ে, ধর্ষণ মামলার বাদী ইডেন ছাত্রীকে স্ত্রীর স্বীকৃতি দিলেন নোবেল

চলচ্চিত্রের গান দিয়ে পরিচিতি পাওয়া গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল এবার আলোচনায় এলেন এক ব্যতিক্রমী ঘটনায়। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা ইডেন মহিলা কলেজের এক সাবেক ছাত্রীকে তিনি বিয়ে করেছেন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে বসেই।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে এই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) মো. জাহাঙ্গীর কবির।

এর আগে বুধবার (১৮ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার আসামিপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে কারাগারে কাবিননামা অনুযায়ী বিয়ের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী উভয়ের সম্মতিতে বিয়ে সম্পাদন করে আদালতকে অবহিত করতে বলা হয়। বিয়ের সময় ভুক্তভোগী ছাত্রী নিজেও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২3 সালের নভেম্বর মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে গায়ক নোবেল ও ইডেন কলেজের ওই ছাত্রীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর গত ১২ নভেম্বর স্টুডিও দেখানোর কথা বলে তাকে ডেমরার নিজ বাসায় ডেকে নেন নোবেল। অভিযোগে বলা হয়, সেদিন নোবেল ও তার কয়েকজন সহযোগী ওই ছাত্রীকে সেখানে আটকে রাখেন এবং পরে ধর্ষণ করেন। এমনকি ওই ঘটনার ভিডিওও গোপনে ধারণ করা হয় বলে দাবি করেছেন বাদী।

অভিযোগ আরও রয়েছে, মেয়েটির মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তা ভেঙে ফেলা হয় এবং ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন সময় মারধর এবং শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।

পরে ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ভুক্তভোগীর পরিবার তাকে চিনতে পারে এবং জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে সহায়তা চায়। সেখান থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৯ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নোবেলকে গ্রেপ্তার করে এবং ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। পরদিন ডেমরা থানায় নোবেলের বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ এবং পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করা হয়।

বর্তমানে নোবেল কারাবন্দি অবস্থায় আছেন। আর তাঁর সঙ্গে কাবিন করে বৈবাহিক সম্পর্কে জড়ালেন যিনি, তিনি তাঁর বিরুদ্ধে মামলার বাদী। ফলে এই ঘটনা আইনি ও সামাজিক পর্যায়ে নানা প্রশ্ন এবং আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কারাগারে বিয়ে, ধর্ষণ মামলার বাদী ইডেন ছাত্রীকে স্ত্রীর স্বীকৃতি দিলেন নোবেল
  • কারাগারে  বিয়ে, ধর্ষণ মামলার বাদী ইডেন ছাত্রীকে স্ত্রীর স্বীকৃতি দিলেন নোবেল
  • জয়েন্টের ব্যথা হতে পারে কঠিন রোগের লক্ষণ
  • রকি ফ্রম তেজকুনিপাড়া
  • ব্যান্ড অ্যাবা’র গল্প নিয়ে বই
  • প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা তানিয়া বৃষ্টির
  • পেট খারাপের ঝুঁকি কমাতে বর্ষায় এড়াবেন যেসব খাবার
  • এক চিলতে রোদ্দুরে...
  • বর্ষায় যেমন পোশাক
  • রঙ বাংলাদেশের বর্ষার সংগ্রহ