লিভারপুল ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রেন্ট অ্যালেক্সজান্ডার আর্নল্ড। ২০ বছর পর ক্লাবটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি বলেন, ‘এটা জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত। লিভারপুলের কাছে আমি চিরঋণী থাকব।’

অ্যালেক্সজান্ডার আর্নল্ড ফ্রি এজেন্টে লিভারপুল ছাড়ছেন। একাধিক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেবেন তিনি। জুনের ক্লাব বিশ্বকাপেই লস ব্লাঙ্কোসদের জার্সিতে দেখা যেতে পারে তাকে। প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলের এখনো তিন ম্যাচ বাকি থাকায় নতুন চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারছে না কোন পক্ষ।

আর্নল্ড লিভারপুলের একাডেমিতে বড় হয়েছেন। ২০১৬ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে তার অল রেডসদের জার্সিতে অভিষেক হয়। সব মিলিয়ে লিভারপুলের জার্সিতে ২৫৭ ম্যাচ খেলা ২৬ বছর বয়সীয় আর্নল্ড ক্লাব ছাড়ার ঘোষণায় বলেন, ‘২০ বছর লিভারপুলে খেলার পর ঘোষণা করতে হচ্ছে যে, এটাই আমার অ্যানফিল্ডে শেষ মৌসুম। জীবনে এখন পর্যন্ত নেওয়া সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত এটাই। এই ক্লাব ২০ বছর ধরে আমার সবকিছু ছিল, আমার পৃথিবী ছিল। একাডেমি থেকে এখন পর্যন্ত যে ভালোবাসা ও সমর্থন এখান থেকে পেয়েছি তা সারাজীবন সঙ্গী হয়ে থাকবে। এই ক্লাবের কাছে আমি চিরঋণী।

আমার ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত পরিচিত বলয় থেকে বেরিয়ে পেশাদার ও ব্যক্তিগত জীবনে নতুন চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য। প্রতিটা মুহূর্ত আমি এই ক্লাবের জন্য নিজেকে উজাড় করে খেলেছি। কোচ, সতীর্থ, স্টাফ ও সমর্থনদের হৃদয়ের অন্তস্তল থেকে ধন্যবাদ দিতে চাই। স্বপ্নের মতো ২০টা বছর এখানে পার করতে পারায় আমি অবশ্যই ভাগ্যবান। এই ভালোবাসা আমি কখনই অগ্রাহ্য করবো না। এই ক্লাবের সকলের সঙ্গে এতোটা বছর কাটাতে পারা সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। এই ভালোবাসা কখনো মরবে না।’

২৫ মে লিভারপুল লিগের শেষ ম্যাচ খেলবে। ক্লাব বিশ্বকাপের জন্য ১ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত দলবদলের ছোট্ট একটা দরজা খোলা হবে। আর্নল্ড ওই সময়ে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সারতে পারেন। এরপর চুক্তির ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। লিভারপুলের সঙ্গে আর্নল্ডের জুন পর্যন্ত চুক্তি আছে। সমঝোতা করে এক মাস আগে ওই চুক্তি বাতিল করে রিয়ালে আসতে পারেন তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল এই ক ল ব

এছাড়াও পড়ুন:

সেই খাদিজাতুলকে জিএস প্রার্থী করে জকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের সমন্বিত প্যানেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে সমন্বিত প্যানেল ঘোষণা করেছে ছাত্রদল। এতে জিএস পদে মনোয়ন দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সাইবার নিরাপত্তা মামলায় কারাগারে থাকা খাদিজাতুল কুবরাকে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ এবং ক্যাম্পাসে পরিচিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত এই প্যানেলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’। প্যানেল থেকে ভিপি পদে লড়বেন ছাত্র অধিকার পরিষদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি এ কে এম রাকিব। এজিএস পদে লড়বেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য আতিকুর রহমান তানজীল।

আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্যানেল ঘোষণা করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মুনতাসির মুকুল।

ঘোষিত প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী এ কে এম রাকিব বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এ ছাড়া জিএস পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। সম্প্রতি তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়কের পদ দেওয়া হয়েছে। এজিএস পদপ্রার্থী আতিকুর রহমান তানজীল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

সমন্বিত প্যানেলে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র সম্পাদক পদে অনিক কুমার দাস, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে নুসরাত চৌধুরী জাফরিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে মাশফিকুল ইসলাম রাইন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে আল শাহরিয়ার শাওন, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে অর্ঘ্য শ্রেষ্ঠ দাস, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে অপু মুন্সী, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে তাকরিম আহমেদ ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে কামরুল হাসান নাফিজ মনোনয়ন পেয়েছেন। এ ছাড়া পরিবহন সম্পাদক পদে মাহিদ হাসান, সমাজসেবা ও শিক্ষার্থীকল্যাণ সম্পাদক পদে আনন বিন রহমান এবং পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদে রিয়াসাল রাকিব মনোনয়ন পেয়েছেন।

এ ছাড়া সাতটি সদস্য পদের মধ্যে ছয়টিতে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। আরেকটি সদস্যপদের প্রার্থী পরবর্তী সময়ে ঘোষণা করা হবে। সদস্য পদে লড়বেন ইমরান হাসান ইমন, সাদমান সাম্য, সুলতান মাহমুদ শুভ, মনিরুজ্জামান মনির, তৌহিদুল ইসলাম তানিম ও আরিফুল ইসলাম আরিফ।

প্যানেল ঘোষণার পর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সব অধিকার বাস্তবায়নে আমাদের এই প্যানেলে যে নাম ঘোষণা করলাম, সেই মনোনীত সদস্যরা জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে প্রচেষ্টা চালাবে। আমরা যাদের প্যানেলে রেখেছি, বিগত সময়ে তারা শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ, আন্দোলনসহ সকল কর্মকাণ্ডে মেধা-মনন দিয়ে অংশগ্রহণ করেছে। আমরা বিশ্বাস করি শিক্ষার্থীরা তাদের মূল্যায়ন করবে।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ২২ ডিসেম্বর। কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের পাশাপাশি একই দিন একটি ছাত্রী হল সংসদের নির্বাচনও হবে। ফলাফল ঘোষণা হবে ২২-২৩ ডিসেম্বর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ