ঘটা করে ভারতীয় ক্রিকেট দলের ফিল্ডিং কোচ টি দিলিপ দলের সেরা ফিল্ডারকে পুরস্কৃত করেন। ড্রেসিংরুমে দলের বৈঠক শেষে আনন্দময় পরিবেশে সব ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণে এই পুরস্কার, মেডেল গলায় পরিয়ে দেওয়া হয়। মাঠের পারফরম্যান্সের ওপর মূল্যায়ন করে দেওয়া হয় এই মেডেল। আইসিসি ইভেন্টে প্রতি ম্যাচ শেষে এবং দ্বিপক্ষীয় সিরিজে সিরিজ শেষে এই পুরস্কার দেয় বিসিসিআই।

বাংলাদেশেও এই রীতি চালু করলো ‘এ’ দল। সোমবার (০৫ মে) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ‘এ’ দল নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দলকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে। আনঅফিসিয়াল ম্যাচটি জিতেছে ৭ উইকেটে। নিউ জিল্যান্ড আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৪৭ রানে গুটিয়ে যায়। পরবর্তীতে অতি সহজেই ম্যাচ জিতে নেয় কাজী নুরুল হাসান সোহানের দল। ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে সেরা ফিল্ডারকে বেছে নেন ফিল্ডিং কোচ আশিকুর রহমান।

একটি স্টাম্পিং ও চারটি ক্যাচ নিয়ে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান হয়েছেন ফিল্ডার অব দ্য ডে। তাকে মেডেল পরিয়ে দেন কোচ আশিকুর রহমান। সেরা ফিল্ডারকে পুরস্কৃত করার ভাবনা জানাতে গিয়ে আশিকুর রহমান ছেলেদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘‘ফিল্ডিংয়ে আজ আমাদের খুব পজিটিভ বডি লেঙ্গুয়েজ ছিল। মাঠে আমাদের ব্যস্ততা, নড়াচড়া অসাধারণ ছিল। বিশেষ করে পুরো দল একসঙ্গে উইকেট পাওয়ার জন্য যেভাবে আপিল করেছে সেটা দারুণ ছিল। সঠিক জায়গায় আমাদের সঠিক ফিল্ডারকে রাখতে পেরেছি সেটাও আমাদের পরিকল্পনার অংশ ছিল। বোলার বল করার পরই ফিল্ডারদের দায়িত্ব পরের লড়াইটা করার। প্রত্যেকের আজকের অংশগ্রহণ ভালো ছিল। যেটা একটা দলের প্রয়োজন হয়।’’

আরো পড়ুন:

গলে-কলম্বোয় দুই টেস্ট বাংলাদেশের, এক মাসের সফরসূচি প্রকাশ

আইসিসির মাস সেরার লড়াইয়ে প্রথমবার মিরাজ

সোহানের গলায় মেডেল পরিয়ে দেওয়ার পর পুরো দল একসঙ্গে চিৎকার করে উল্লাসে ফেটে পড়ে।

কোচ আশিকুর রহমান বলেছেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি একজন ফিল্ডার দলের অন্তঃপ্রাণ। বোলার ভালো বল করলো, ফিল্ডার জন‌্য নিজের কাজটা ঠিকঠাক করতে না পারে তাহলে দলীয় সাফল‌্য আসবে না। ক্রিকেট এজন‌্যই গ্রেট গেম। যেখানে সবার সম্পৃক্ততা থাকতে হয়। একজন এখানে নায়ক নন। ফিল্ডারদের উদ্ধুদ্ধ করতে, মাঠে সম্পৃক্ততা বাড়াতে এই উদ‌্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি সামনেও তা অব‌্যাহত থাকবে।’’

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র প রস ক

এছাড়াও পড়ুন:

গাজার শিশুদের পোপ ফ্রান্সিসের শেষ উপহার ‘পোপমোবাইল’ গাড়ি

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার শিশুদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উপহার দিয়ে গেলেন পোপ ফ্রান্সিস। মৃত্যুর আগে তিনি তাঁর ব্যবহৃত একটি ‘পোপমোবাইল’ গাড়ি গাজার শিশুদের চিকিৎসার জন্য ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালে রূপান্তর করতে দান করেন।

২০১৪ সালে বেথেলহেম সফরে তিনি এই গাড়িটি ব্যবহার করেছিলেন। পরে গাড়িটি তার সফরের স্মৃতি হিসেবে দীর্ঘদিন সংরক্ষিত ছিল। এখন সেটি মেরামত করে চিকিৎসা সরঞ্জামসহ প্রস্তুত করা হয়েছে। গাড়িটিতে ওষুধ রাখার ফ্রিজ ও চিকিৎসক দলের সঙ্গে থাকবেন একজন ড্রাইভার। ইসরায়েল মানবিক করিডোর খুলে দিলে মোবাইল ক্লিনিকটি গাজায় পৌঁছাবে।

মোবাইল ক্লিনিকটিকে পোপের ‘শেষ উপহার’ বলে শ্রদ্ধা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা বলেছে, ‘ফিলিস্তিন একজন বিশ্বস্ত বন্ধু ও মানবাধিকারের এক অনড় সমর্থককে হারিয়েছে। বিশ্ব যখন গাজার শিশুদের রক্ষা করতে ব্যর্থ, তখন পোপ ফ্রান্সিস এই উপহারের মাধ্যমে শান্তি ও মানবতার বার্তা দিয়ে গেছেন’।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজার শিশুদের পোপ ফ্রান্সিসের শেষ উপহার ‘পোপমোবাইল’ গাড়ি
  • মেট গালায় কেন পেঁয়াজ-রসুন নিষিদ্ধ, কেন স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বসতে পারেন না
  • কচি ঘাস খেয়ে ৩ গাভির মৃত্যু, নমুনা সংগ্রহ
  • স্বস্তিকার সঙ্গে প্রেম নিয়ে ১৬ বছর পর মুখ খুললেন পরমব্রত
  • স্বস্তিকার সঙ্গে প্রেম নিয়ে ১৬ বছর মুখ খুললেন পরমব্রত
  • ট্রাম্পকে চোখ নামাতে বাধ্য করার সহজ পথ
  • মেসিকে নিয়ে যে ‘সমস্যা’ ছিল, আছে, থাকবেও
  • প্রথমে ‘ট্যাক্স’ দিয়ে পরে অন্যান্য ব্যয় করার পরামর্শ এনবিআর চেয়ারম্যানের
  • প্রথমবার ভিডিওতে একসঙ্গে বেলাল খান ও কর্নিয়া