২০১৫ সালে নাশকতা পরিকল্পনার একটি মামলা থেকে বিএনপি ও জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় ৬৭ নেতাকর্মীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সোমবার বিকেলে মামলার চার্জ শুনানি শেষে আসমিদের বিরুদ্ধে সুনিদিষ্ট অভিযোগ না থাকায় অতিরিক্তি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লস্কর সোহেল রানা এ আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের এপিপি কামরুল হাসান সোহেল।  

মামলার উল্লেখযোগ্য খালাস প্রাপ্তরা হলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, জেলা জামায়াতের তৎকালীন আমির অধ্যাপক আব্দুর রশিদ, বর্তমান আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল, সাবেক পৌর মেয়র মারুফুল ইসলাম মারুফ, গোলাম রেজা দুলু, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, যুবদলের তৎকালীন সভাপতি এহসানুল হক মুন্না, রিপন চৌধুরী, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন বাবুল, জামায়াত নেতা নূর ই আলী আল মামুন, বিএনপি নেতা আব্দুল সালাম আজাদসহ ৬৭ জন জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মী।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারি রাতে সদর পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন টিএসআই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে জামায়াত-বিএনপির ৫১ নেতাকর্মীকে আসামি করে নাশকতার পরিকল্পনা ও বিস্ফোরক আইনে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে জামায়াত-বিএনপির ৬৭ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। রোববার জুডিশিয়াল আদালতে বিচারাধীন এ মামলার চার্জ গঠনের দিন ধার্য ছিল। আসামিরা আইনজীবীর মাধ্যমে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। চার্জ শুনানিতে উভয়পক্ষের বক্তব্য শেষে বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে সুনিদিষ্ট অভিযোগ না থাকায় অব্যাহতির এ আদেশ দেন।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, এই মামলার অব্যাহতি থেকে বোঝা যায়; বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে বিচারব্যবস্থা। এখন বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন বলেই বিচারক মামলার সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ না থাকায় সকল আসামিকে অব্যাহতি দিয়েছেন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন ত কর ম ব এনপ র ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নারী নিহত

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুরের রাজৈরে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজৈর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। 

নিহত নিলুফা ইয়াসমিন নিলা (৩০) বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রুনসী গ্রামের আবুল বাসারের স্ত্রী।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে ডাম্পট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, মা-মেয়ে নিহত

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুয়াকাটা থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল চন্দ্রা পরিবহনের বাসটি। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর বাসস্ট্যান্ড পার হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়।  পরে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিলার মরদেহ উদ্ধার করে। আহত হন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

মাদারীপুরের মস্তফাপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বাস খাদে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। নিহত নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ