হারুনের সহযোগীসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
Published: 6th, May 2025 GMT
সাবেক ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জাহাঙ্গীর হোসেন, রাজশাহীর তানোর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মো. লুৎফর হায়দার রশিদ ও গোদাগাড়ী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৬ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত পৃথক তিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
জাহাঙ্গীর হোসেনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।
আবেদনে বলা হয়, হারুন অর রশীদ তার পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। অনুসন্ধানকালে মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ এর ঘনিষ্ঠদের মধ্যে অন্যতম জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের একটি নতুন অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য ট্যাগ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট জাহাঙ্গীর হোসেনের বেশ কিছু স্থাবর সম্পদ আদালতের আদেশে ক্রোক করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, জাহাঙ্গীর হোসেন সপরিবারে দেশত্যাগ করে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে জাহাঙ্গীর হোসেন যেন বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারেন সেজন্য তার বিদেশ গমন বন্ধ করা প্রয়োজন।
এদিকে, দুদকের উপসহকারী পরিচালক মিনু আক্তার সুমি সাবেক দুই উপজেলা চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে পৃথক দুটি আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, সাবেক দুই উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিসহ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলা চলমান রয়েছে। জানা যায়, তারা দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।
ঢাকা/এম/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র দ শত য গ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ফেনীতে সাউথইস্ট ব্যাংক থেকে আমানতকারীদের টাকা লোপাটের অভিযোগ
ফেনীতে সাউথইস্ট ব্যাংকের একটি শাখা থেকে এফডিআর ও বিভিন্ন হিসাবে সঞ্চিত অর্থসহ গ্রাহকদের টাকা সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সরিয়ে নেওয়া টাকার পরিমাণ কয়েক কোটি হতে পারে বলে গ্রাহকেরা দাবি করলেও নিশ্চিত করেনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। জেলার দাগনভূঞা উপজেলার সাউথইস্ট ব্যাংক সিলোনিয়া বাজার শাখার এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এই কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। গ্রহকেরা টাকা সরানোর বিষয়টি জানতে পারলে ওই কর্মকর্তা গা ঢাকা দেন। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তার নাম মোহাম্মদ জিয়াউল হক। তিনি জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার পশ্চিম ফতেহনগর এলাকার সালমান হাজী বাড়ির আবদুল হকের ছেলে। জিয়াউল হক সাউথইস্ট ব্যাংকের সিলোনিয়া বাজার শাখায় কর্মরত রয়েছেন।
গ্রাহক ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাউথইস্ট ব্যাংক সিলোনিয়া বাজার শাখার বিভিন্ন গ্রাহকের হিবাস থেকে টাকা উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে আমানতের অর্থের বিষয়ে খোঁজ নিতে ব্যাংকে ভিড় করেন গ্রাহকেরা। গত কয়েক কর্মদিবসে গ্রাহকেরা এসে ব্যাংকের ওই শাখায় নিজেদের টাকা সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তোলেন। এরপর ঘটনার তদন্ত শুরু করে কর্তৃপক্ষ।
ব্যাংকের গ্রাহক দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী ইমরান হোসেন বলেন, ‘গত ৩০ এপ্রিল আমার হিসাব থেকে ৫০ লাখ টাকা তুলে নেওয়া হয়। এ সময় ব্যাংকে যোগাযোগ করলে ওই ব্যাংকের কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিয়াউল হক ঘটনায় জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পারি। বিষয়টি জানতে পেরে গত ১ মে ওই ব্যাংক ব্যবস্থাপক কামরুজ্জামানকে মুঠোফোনে বিস্তারিত জানিয়েছি।’
দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী এ কে আজাদ বলেন, ব্যাংকে তাঁর অ্যাকাউন্টে থেকে ৩২ লাখ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিয়াউল হক কোনো একসময়ে তাঁর স্বাক্ষর জালিয়াতি করে এ টাকা সরিয়েছেন বলে তিনি ধারণা করছেন।
ব্যাংকের আমানতকারীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পেয়ে ৪ মে ওই শাখা ঘুরে গেছেন সাউথইস্ট ব্যাংকের অডিট বিভাগের কর্মকর্তারা। অডিট কর্মকর্তারা আসার পরে অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা জিয়াউল হক গা ঢাকা দেন বলে জানান আমানতকারীরা।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিয়াউল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। তার বর্তমান অবস্থানের বিষয়ে ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তাও তথ্য জানাতে পারেননি।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে সাউথইস্ট ব্যাংক সিলোনিয়া বাজার শাখার ব্যবস্থাপক মো. কামরুজ্জামান বলেন, গ্রাহকদের আমানতের টাকা ব্যাংক হিসাব থেকে লোপাটের বিষয়টি জানার পর ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অডিট বিভাগের কর্মকর্তারা ব্যাংকের এই শাখায় এসে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। কতজন গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে কী পরিমাণ অর্থ সরানো হয়েছে অডিট কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপাতত বিস্তারিত কিছু জানানো সম্ভব হচ্ছে না।