বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন, তাঁর ছেলে বাগেরহাট–২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা হয়েছে। ৬ বছর আগে ভয়ভীতি দেখিয়ে ২ দফায় ২০ কোটি টাকা চাঁদা নিয়েছেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার বাগেরহাট সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন স্থানীয় নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মান্নান তালুকদার। মামলার পর গতকালই পুলিশ মো.

শহীদুল ইসলাম (৩৭) নামের এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন শেখ হেলালের ব্যক্তিগত সহকারী মো. ফিরোজুল ইসলাম ও শেখ তন্ময়ের ব্যক্তিগত সহকারী শাহীন মিয়া।

মামলার বাদী মান্নান তালুকদার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা অর্থ পাচারের মামলার আসামি। ওই মামলায় দীর্ঘ সময় কারাভোগের পর সম্প্রতি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হয়েছেন। ২০১৯ সালের ৩০ মে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় দুদকের খুলনা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক (এডি) মো. শাওন মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন। ওই মামলায় নিউ বসুন্ধরা রিয়েল স্টেট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবদুল মান্নান তালুকদার ও তাঁর প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে ১১০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

আরও পড়ুনবাগেরহাটে হেলাল-তন্ময়, সাবেক পুলিশ সুপারসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চাঁদাবাজির মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহামুদ-উল-হাসান আজ মঙ্গলবার বিকেলে বলেন, ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর রাতে বাগেরহাটের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন, তাঁর ছেলে শেখ সারহান নাসের তন্ময়, তাঁদের দুই ব্যক্তিগত সহকারী ফিরোজ, শাহীনসহ পাঁচজন নিউ বসুন্ধরা রিয়েল স্টেট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মান্নান তালুকদারের শহরের সরুই কার্যালয়ে গিয়ে ২০০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদার টাকা না দিলে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া, মিথ্যা মামলায় জড়ানোসহ জানে মেরে ফেলার হুমকি দেন আসামিরা। আবদুল মান্নান তালুকদার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রক্ষার্থে তাৎক্ষণিক গ্রাহকের রক্ষিত টাকা থেকে ৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা দিয়ে দিলে তাঁরা বাকি টাকা দ্রুত দিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান। এরপর ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি আসামিরা আবার আবদুল মান্নানের অফিসে এসে বাকি টাকা পরিশোধের জন্য হুমকি দিলে তিনি তাঁদের ১২ কোটি ৭০ লাখ টাকা চাঁদা দেন।

দুই দফায় আসামিরা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আবদুল মান্নান তালুকদারের কাছ থেকে মোট ২০ কোটি টাকা আদায় করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। আসামিরা ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় আগে তিনি থানা বা আদালতে মামলা করার সাহস পাননি। এখন পরিবেশ তৈরি হওয়ায় মামলাটি করেছেন।

ওসি মাহামুদ-উল-হাসান বলেন, পুলিশ বাদীর লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়ে ৩৮৬ ও ৩৮৭ পেনাল কোড অনুযায়ী মামলাটি গ্রহণ করেছে। এই মামলার এজাহারভুক্ত ৩ নম্বর আসামি শহীদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

আরও পড়ুনশেখ তন্ময় ও শেখ সালাহউদ্দিনসহ ৪ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা২৪ এপ্রিল ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সহক র ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

একা এক সমুদ্রের তীরে বসে থাকলে কী মনে হয় মিমের

২ / ৯আজ সকালে সমুদ্রসৈকতের বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন মিম। অভিনেত্রীর ফেসবুক থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ