মৃত্যুর গুজব ঘিরে তোলপাড়: বর্ষাকে সতর্ক করলেন পরীমণি
Published: 7th, May 2025 GMT
বুধবার (৭ মে) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে গায়িকা ও ইনফ্লুয়েন্সার বর্ষা চৌধুরীর মৃত্যুর খবর। বর্ষার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে প্রথমে এই খবর জানানো হয়। এরপর নারী উদ্যোক্তা ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার বারিশা হকও তার একটি পোস্টে বর্ষার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন। মুহূর্তের মধ্যেই খবরটি ভাইরাল হয়ে যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছেয়ে যায় শোক বার্তা।
এরপর ঘটনা নাটকীয় মোড় নেয়। আরেকটি পোস্টে বারিশা হক পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, বর্ষা চৌধুরী সুস্থ আছেন এবং মৃত্যুর খবরটি একটি ভুল বোঝাবুঝি। বর্ষার ফেসবুক পেজ থেকে কে এই গুজব ছড়াল, সেটিও তিনি জানেন না বলে দাবি করেছেন।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমণি। ফেসবুক স্ট্যাটাসে বর্ষাকে উদ্দেশ্য করে পরীমণি লেখেন, “রাখাল আর বাঘের গল্পের মতো না হোক কোনোদিন। মৃত্যু নিয়ে এমন মজা আর নিয়েন না বা কাউকে নেওয়ার সুযোগও দিয়েন না, ডিয়ার বর্ষা চৌধুরী। যেদিন সত্যি আপনি চলে যাবেন, সেদিন আপনার জন্য শোক প্রকাশের জায়গাটা রাখেন অন্তত। জীবন সুন্দর হোক।”
আরো পড়ুন:
সংবাদ সম্মেলনে যা বললেন পরীমণির গৃহকর্মী
গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে পরীমণির মামলা
উল্লেখ্য, ব্যক্তিজীবনে নিয়ে প্রায় আলোচনায় থাকেন বর্ষা চৌধুরী। বছর দুয়েক আগে দ্বিতীয় স্বামী, ব্যান্ডশিল্পী রুমি রহমানের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েন তিনি। তখন তাদের সন্তান ছিল মাত্র দেড় মাস বয়সি। এরপর সামাজিক মাধ্যমে রুমিকে নিয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকায় ভাঙনের হুমকিতে দুই কিলোমিটার বাঁধ
শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা রক্ষা বাঁধের পুরো দুই কিলোমিটার অংশ ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে। বাঁধের কাছে বিভিন্ন স্থানে নদীর গভীরতা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি ভাঙন দেখা দেওয়ায় তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভাঙনের আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, নদী ভেঙে বাঁধের কাছে চলে আসায় স্থানীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে পদ্মা সেতুর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, নাওডোবা-পালেরচর সড়ক, মঙ্গল মাঝি-সাত্তার মাদবর বাজার ও চারটি গ্রামের অন্তত ৫৫০ বসতবাড়ি।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, গত বছর নভেম্বরে ওই বাঁধের জাজিরা প্রান্তের নাওডোবার জিরো পয়েন্ট এলাকায় ১০০ মিটার অংশ নদীতে ভেঙে পড়েছে। এরপর ওই বাঁধটিতে সমীক্ষা চালায় পাউবো ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ)। সমীক্ষায় দেখা যায়, এক কিলোমিটার অংশে বাঁধের কাছে নদী গভীর। সেখানে তলদেশ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। আর বাকি ১ কিলোমিটার অংশের বাঁধের কাছে নদী চলে এসেছে। সেখানেও মাটি ভেঙে নদীতে পড়ছে।
পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী সুমন কুমার বণিক প্রথম আলোকে বলেন, গত বছর ওই বাঁধের যে ১০০ মিটার অংশ বিলীন হয়েছিল, তা সংস্কার করা হচ্ছে। ২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই স্থানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ও সিসি ব্লক ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। এর বাইরেও বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকি রয়েছে।
পাউবো সূত্র জানায়, শরীয়তপুরের পদ্মা নদীর অংশ জাজিরার নাওডোবা এলাকা থেকে শুরু হয়েছে। সেতুর জাজিরা প্রান্তে পদ্মা নদী থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে সার্ভিস এরিয়া–২, সেনানিবাস, পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানাসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। ওই সব অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ২০১২ সালের দিকে জমি অধিগ্রহণের সময় নাওডোবা এলাকায় পদ্মার ভাঙন শুরু হয়। পদ্মা সেতুর প্রকল্প এলাকা নদীভাঙনের কবল হতে রক্ষা করার জন্য তখন সেতু থেকে ভাটির দিকে (পূর্ব দিকে) ২ কিলোমিটার এলাকায় ১১০ কোটি টাকা ব্যায়ে নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। ওই বাঁধের সঙ্গেই পরবর্তী সময়ে নদী শাসনের বাঁধ সংযুক্ত করে দেওয়া হয়।
গত বছর নভেম্বর মাসে নাওডোবার জিরো পয়েন্ট এলাকায় ওই বাঁধের ১০০ মিটার অংশ নদীতে ধসে যায়। এরপর মাঝিরঘাট এলাকায় আরও ১০০ মিটার অংশর বাঁধের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে। এ ছাড়া বাঁধের বাকি অংশের কাছে নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা রক্ষা বাঁধের কাছে মাটি ভেঙে নদীতে পড়ছে