বাংলাদেশ জুট গুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেজিইএ) ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠিত হয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে সদস্যরা ভোট দিয়ে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত করেন। এতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল (সাগরিকা ইন্টারন্যাশনাল)। তিনি বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক। বাবুল এর আগে তিনবার বিজেজিইএ’র চেয়ারম্যান ছিলেন। এবার চতুর্থবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। 

এছাড়া সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ রেজাউল করিম পিন্টু (বিকো জুট), ভাইস চেয়ারম্যান যথাক্রমে হাসানুল ইসলাম (লিপ্টন জুট ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল) ও ড.

মোহাম্মদ কামরুজ্জামান (ইকো বাংলা জুট লিমিটেড)। 

বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ৩ মে ৫৪তম এজিএমের মাধ্যমে নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটি দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন।

বিজেজিইএ’র নির্বাচিত পরিচালকরা হলেন- সাজেদুর রহমান (জুট ওয়ার্ল্ড এক্সপোর্ট), মুরিদুল আলম চৌধুরী (ইউনিভার্স জুট ফাইবার অ্যান্ড ব্যাগ কর্পোরেশন), মো. রুহল আমিন (আমিন জুট প্রোডাক্টস), মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান খান (জিল্লুর অ্যান্ড ডটার্স), সুফিয়ান আহমেদ ওসমানী (মায়ামি ট্রেডিং), মো. সোহরাব হোসেন (এসএনএল ইন্টারন্যাশনাল), মো. গোলাম মোর্তজা (জুট মার্ট ইন্টারন্যাশনাল), কাজী মো. মনির হোসেন (অপরাজেয় লিমিটেড) ও জিয়াউদ্দিন আহমেদ (এবি জুট ট্রেডিং)। 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজেজিইএ’র নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ দেশের ঐতিহ্যবাহী পাট শিল্পকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আরও দৃঢ়ভাবে উপস্থাপন ও রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

 

 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত হয় ছ

এছাড়াও পড়ুন:

নেত্রকোনায় কথা-কাটাকাটির জেরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখম

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন ভূঞাকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ডাউকি গ্রামের মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহত রোকন উদ্দিন ভূঞা ওই গ্রামের আলাল উদ্দিনের ছেলে। এলাকাবাসী, পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় রোকন উদ্দিন বাড়ি থেকে বের হয়ে একটি ইজিবাইকে সান্দিকোনা বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। ডাউকি গ্রামের মসজিদের সামনে পৌঁছালে প্রতিপক্ষের আলা বক্সের ছেলে তাইজ্জত আলীর নেতৃত্বে মাসুদ মিয়া, রাকিব উদ্দিনসহ কয়েকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে রোকন উদ্দিনের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। তাঁরা রোকন উদ্দিনের শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে হামলাকারী ব্যক্তিরা পালিয়ে যান। পরে রোকন উদ্দিনকে উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

রোকন উদ্দিনের এক স্বজন বলেন, কিছুদিন আগে রোকনের ভাতিজা সজীব মিয়ার সঙ্গে রাকিব উদ্দিনের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি মীমাংসা করেন। তিনি ধারণা করছেন, এর জেরে এ হামলা হয়েছে।

ডাউকি গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, রোকন উদ্দিনের ওপর হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে তাঁর স্বজন ও স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তাঁরা তাইজ্জত আলীর বাড়িতে হামলার প্রস্তুতি নেন। এ সময় জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম ও কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে শান্ত করেন এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
তাইজ্জত আলী ও রাকিব উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে এ হামলা হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ