হর্ন বাজানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি বসাবে ডিএনসিসি
Published: 7th, May 2025 GMT
অযথা ও উচ্চশব্দে হর্ন বাজানো যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে, এগুলো শনাক্ত করতে পারে, এমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি বসাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। আজ বুধবার দুপুরে যানবাহনে হর্ন বাজানো নিরুৎসাহিতকরণের একটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এমন প্রযুক্তি ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
রাজধানীর গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় ট্রাফিক সিগন্যালে শব্দদূষণ রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ‘ঘোষিত নীরব এলাকায় হর্ন বাজাতে নিরুৎসাহিতকরণ’ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রশাসক এজাজ এ ঘোষণা দেন।
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ঢাকা উত্তরের গুরুত্বপূর্ণ করিডরের ট্রাফিক সিগন্যালগুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি স্থাপন করা হবে। এ প্রযুক্তি অযথা হর্ন বাজানো গাড়ির চালককে শনাক্ত করবে এবং প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাঁদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। জনগণের সচেতনতাই ঢাকা শহরকে শব্দদূষণের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে পারবে। এ জন্য জনসচেতনতার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলার সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে শব্দদূষণ প্রতিরোধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি।
প্রশাসক এ সময় বলেন, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মাইক ব্যবহারে সৃষ্ট শব্দদূষণ কমাতে এগুলো ব্যবহারের সময়সীমা ও পরিধি সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। কারণ, বৃদ্ধ ও অসুস্থ, সর্বোপরি সব মানুষের জন্য শব্দদূষণ অত্যন্ত ক্ষতিকর। শব্দদূষণ কমাতে যত্রতত্র অপ্রয়োজনীয় মাইক ব্যবহার বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ঢাকা উত্তর সিটির আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কর্মসূচি উদ্বোধন করার পরে একটি শোভাযাত্রা হয়। এ সময় বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গ্রিন ভয়েসের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবকেরা শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
দৈনিক ভিত্তিতে শ্রমিক নিয়োগের নীতিমালা বাতিলের দাবি
দৈনিক ভিত্তিতে সাময়িক শ্রমিক নিয়োজিতকরণ নীতিমালা-২০২৫ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ।
বুধবার (৭ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি সরকারি দপ্তর, অধিদপ্তর ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কর্মরতদের বয়সসীমা শিথিল করে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে চাকরি স্থায়ী করার দাবি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের নেতারা বলেন, দেশে করোনাকালে দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীদের সেবা দিয়েছেন। লকডাউন চলাকালীন জীবন বাজি রেখে বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাসসহ সরবরাহসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সচল রাখার লক্ষ্যে আমরা দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োজিত কর্মচারীরা দায়িত্ব পালন করেছি। অথচ, করোনা-পরবর্তী সময়ে সরকারি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে প্রণোদনা দেওয়া হলেও আমাদেরকে তা থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছিল।
তারা আরো বলেন, বিগত সরকারের আমলে দীর্ঘ ১৫ বছর আমরা দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োজিত কর্মচারীরা বিভিন্নভাবে লাঞ্ছনা, বঞ্চনা ও নিপীড়ন, বৈষম্যের শিকার হয়েছিলাম। ৫ আগস্টের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তবর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনার ভার নিয়ে শ্রম সংস্কার কমিশন গঠন করে। গত ২১ এপ্রিল কমিশন প্রধান উপদেষ্টা বরাবর সংস্কার প্রস্তাব জমা দেয়। কিন্তু, এর আগেই ১৫ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি শাখা-৩ থেকে একটি নীতিমালা প্রকাশ করা হয়—দৈনিক ভিত্তিতে সাময়িক শ্রমিক নিয়োজিতকরণ নীতিমালা। এ নীতিমালায় আগের দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োজিত কর্মচারীদের অধিকার হরণ করা হয়েছে। আগের নীতিমালা থেকে প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা থেকে আমাদেরকে বঞ্চিত করা হয়েছে, যা নীতিমালার সাথে সাংঘর্ষিক।
বাংলাদেশ দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের দাবিগুলো হলো:
১. দৈনিক ভিত্তিতে সাময়িক শ্রমিক নিয়োজিতকরণ নীতিমালা-২০২৫ বাতিল করে সরকারি দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও স্বায়িতশাসিত প্রতিষ্ঠানে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কর্মরতদের বয়স শিথিল করে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে স্থায়ীকরণ/আত্তীয়করণ।
২.আউটসোর্সিং নীতিমালা ২০২৫ ও ঠিকাদার প্রথা বাতিল।
৩. মাসিক বেতন প্রদান ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ন্যূনতম মাসিক মজুরি ৩০ হাজার নির্ধারণ এবং বাৎসরিক ৫ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি।
৪. উৎসব ভাতা, বৈশাখী ভাতা, অধিকাল ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ও ঝুঁকি ভাতা প্রদান।
৫. মাতৃত্বকালীন ছুটি ও বাৎসরিক ২০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি প্রদান।
৬. চাকরিচ্যুতদের চাকরি পুনর্বহাল ও বকেয়া বেতন প্রদান।
ঢাকা/রায়হান/রফিক