চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে প্যারিস সেন্ট জার্মেইনের (পিএসজি) কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে আর্সেনালকে। তবে এই পরাজয়ের পর প্রতিপক্ষ পিএসজির প্রতি শুভকামনা জানাতে ভোলেননি আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতা। তিনি চান, এবার যেন বহু কাঙ্ক্ষিত ইউরোপ সেরার মুকুটটা অবশেষে ঘরে তোলে ফরাসি জায়ান্টরা।

বুধবার (০৭ মে) রাতে পার্ক দেস প্রিন্সে দ্বিতীয় লেগে ২-১ গোলে জেতে পিএসজি। প্রথম লেগে এমিরেটস স্টেডিয়ামে তারা ১-০ গোলে জয় পেয়েছিল। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ ব্যবধানে আর্সেনালকে হারিয়ে ৩১ মে তারিখে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে লিগ ওয়ানের চ্যাম্পিয়নরা। ওদিকে প্রথম সেমিফাইনালে বার্সেলোনাকে দুই লেগ মিলিয়ে ৭-৬ গোলে হারিয়ে ফাইনালের অপর দল হয়েছে ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলান।

ম্যাচ শেষে ফ্রেঞ্চ টিভি চ্যানেল ‘ক্যানাল প্লাস’-এর সঙ্গে কথা বলার সময় আর্তেতা বলেন, “আমি সত্যি মন থেকে চাই পিএসজি এবার চ্যাম্পিয়ন হোক। এখানকার (ফ্রান্স) সঙ্গে আমার অতীত সম্পর্ক আছে বলেই এমনটা বলছি।”

আরো পড়ুন:

এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ী দল পাবে রেকর্ড পরিমাণ প্রাইজমানি

২০২৬ বিশ্বকাপে কি খেলতে পারবে রাশিয়া, যা জানালেন ট্রাম্প

তিনি আরও যোগ করেন, “এখনই হয়তো ‘গো প্যারিস’ বলার সময় নয়, কিন্তু ফাইনালে যখন ওরা খেলবে, তখন আমি ওদের পক্ষেই থাকবো।”

নিজ দলের প্রশংসা করতেও ভুল করেননি আর্সেনাল কোচ। একের পর এক ইনজুরির ধাক্কা সামলেও যেভাবে লড়াই করেছে তার দল, তাতে সন্তুষ্ট আর্তেতা।

“আমি ছেলেদের ওপর দারুণ গর্বিত। এত ইনজুরি সমস্যার মধ্যেও তারা যেভাবে লড়েছে, সেটা প্রশংসার যোগ্য,” বলেন তিনি।

“আমরা এখানে এসেছি একেবারে বাজে অবস্থায়। এমন ম্যাচে সফল হতে হলে পুরো স্কোয়াড ফিট থাকা দরকার। ওদের হাতে ছিল পুরো এক সপ্তাহের প্রস্তুতি, আর আমরা এসেছি ইনজুরি আর ক্লান্তি নিয়ে। তবু এই পরিস্থিতিতে দল যেভাবে লড়েছে, সেটা ভবিষ্যতের জন্য আশাব্যঞ্জক।”

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল চ য ম প য়নস ল গ চ য ম প য়নস ল গ আর স ন ল আর ত ত ফ ইন ল প এসজ

এছাড়াও পড়ুন:

আত্মগোপনে থাকা আ.লীগ নেতা বেন্টু ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আত্মগোপনে থাকা আজিজুল আলম বেন্টু (৫৩), তার স্ত্রী গৃহবধূ নাসিমা আলম (৪৮) ও ছেলে রুহিত আমিনের (২৯) বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই আজিজুল আলম বেন্টু আত্মগোপনে রয়েছেন।

রোববার সকালে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন।

মামলার বাদী আমির হোসাইন জানান, আজিজুল আলম বেন্টু আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একচেটিয়া বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন। অল্প টাকায় বালুমহাল ইজারা নেওয়ার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। বালুমহাল থেকেই তিনি বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। বৈধ আয়ের উৎস না থাকলেও বিপুল সম্পদের মালিক তার স্ত্রী গৃহবধূ নাসিমা আলম (৪৮) ও ছেলে রুহিত আমিন (২৯)।

দুদক জানায়, তার পরিবারের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান শুরু হয় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই। আজিজুল আলম বেন্টু, তার স্ত্রী নাসিমা আলম ও ছেলে রুহিত আমিনের নামে দুদক ৩৬টি দলিলে ৯ দশমিক ৪০০৮১৮৯ একর জমির সন্ধান পেয়েছে। অনুসন্ধানে তাদের ১৮ কোটি ৪৩ লাখ ১৭ হাজার ৪৫৮ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।

সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপন করে দুদককে ৭ কোটি ৬৪ লাখ ২৬ হাজার ৯৪৫ টাকার সম্পদের বিবরণ দেওয়া হয়। ফলে আয়বর্হিভূত ১০ কোটি ৪৬ লাখ ৪৪ হাজার ৬৮১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ দেখা যায়।

অনুসন্ধানকালে দুদক দেখেছে, বেন্টুর স্ত্রী নাসিমা আলম একজন গৃহিনী হলেও তার নামে আয়কর নথি খোলা হয়েছে। ২০২৩-২৪ করবর্ষে নাসিমা আলমের দাখিলকৃত আয়কর নথি অনুযায়ী, তার নামে মোট সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৫৭ লাখ ৮৪ হাজার ৯৬৭ টাকার। অনুসন্ধানকালে নাসিমা আলমের আয়ের বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। স্বামী বেন্টুর অর্জিত সম্পদ তার নিজের আয়কর ফাইলে দেখিয়ে আয়কর নথি খোলা হয়েছে। ছেলে রুহিত আমিনের পেশা ছাত্র হলেও তার নামেও আয়কর নথি খোলা হয়েছে। 

২০২৩-২৪ করবর্ষে দাখিলকৃত আয়কর নথি অনুযায়ী, তার নামে মোট সম্পদ ৭৮ লাখ ৫২ হাজার ৭৫৯ টাকার। তারও আয়ের বৈধ কোনো উৎস পাওয়া যায়নি। বাবা বেন্টুর অর্জিত সম্পদ তার আয়কর ফাইলে দেখিয়ে নিজ নামে আয়কর নথি খোলা হয়েছে। আয়কর নথিতে দেখা যায়, বেন্টু তার স্ত্রী এবং ছেলেকে গাড়ি কেনার জন্য ৬৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকাও দিয়েছেন।

দুদক বলছে, নাসিমা আলম তার স্বামী আজিজুল আলম বেন্টুর অর্জিত জ্ঞাত আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ বৈধ করার অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ নামে আয়কর নথি খুলে সম্পদ অর্জন দেখিয়েছেন। একইভাবে ছেলে রুহিত আমিনও তার বাবা আজিজুল আলম বেন্টুর অর্জিত অবৈধ সম্পদ বৈধ করার অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ নামে আয়কর নথি খুলে সম্পদ অর্জন দেখিয়েছেন। এসব অবৈধ সম্পদ নিজেদের নামে রেখে ও ভোগদখল করে তারাও অপরাধ করেছেন। তাই মামলায় বেন্টুর স্ত্রী-ছেলেকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন বলেন, ‘মামলটি দায়ের করার পর রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে নথি পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ