জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফেরদৌসী খাতুনের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, হুমকি ও হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার (২৯ জুন) দুপুরে বাংলা বিভাগের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করে অনিয়মের বিষয়ে বক্তব্য নিতে গেলে ফেরদৌসী খাতুন ‘খবরের কাগজ’ এর জবি প্রতিনিধি মুজাহিদ বিল্লাহর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

অভিযোগ রয়েছে, তিনি উত্তেজিত হয়ে একাধিক সাংবাদিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন, মামলা করার হুমকি দেন এবং গায়ে হাত তোলারও চেষ্টা করেন।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ‘ডেইলি ক্যাম্পাস’ এর প্রতিনিধি জুনায়েদ মাসুদ এবং ‘রাইজিংবিডি ডটকম’ এর প্রতিনিধি লিমন ইসলামকেও তিরস্কার ও অসৌজন্যমূলক আচরণে লিপ্ত হন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক মুজাহিদ বিল্লাহ বলেন, “আমি প্রায় ৬-৭ মাস ধরে এ বিষয়ে অনুসন্ধান করছি। তথ্য অধিকার আইনে প্রাপ্ত নথিপত্রে দেখা গেছে, তিনি টানা ৬ বছর ক্লাসে অনুপস্থিত। এসব বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চাইতেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ধাক্কা দিতে আসেন এবং মামলা করার হুমকি দেন। এরপর অশালীন ভাষা ব্যবহার করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।”

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সহযোগী অধ্যাপক ফেরদৌসী খাতুনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার মোবাইল নম্বরটি খোলা পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মো. রেজাউল করিমের মন্তব্য জানতে ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কাঁঠালগাছে ঝুলছিল যুবকের মরদেহ, দুই পা ছিল বাঁধা

গাজীপুরের শ্রীপুরে কাঁঠালগাছের মগডালে গলায় গামছা ও প্লাস্টিকের রশি পেঁচানো অবস্থায় মোহন (১৮) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের সময় তার দুই পা বাঁধা অবস্থায় দেখা গেছে, যা এলাকাজুড়ে নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ওই যুবকের মৃত্যুকে রহস্যজনক মনে করছেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

শনিবার (২৮ জুন) ভোরে শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের উত্তরপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ির পাশে ডেকো গার্মেন্টসের পাশে ওই মরদেহ পাওয়া যায়। মোহন ওই এলাকার মোস্তফা মিয়ার ছেলে।

মোহনের পরিবার জানিয়েছে, মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে মোহন কিছুদিন ধরে অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন। শুক্রবার (২৭ জুন) রাত ৯টার দিকে রাতের খাবার শেষে তিনি বাইরে বের হয়ে যান। এরপর আর ঘরে ফেরেননি। সারা রাত খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ভোরে এক প্রতিবেশী নারী বাড়ির পাশে কাঁঠাল গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পান। 

মোহনের বড় ভাই কাজল বলেছেন, “ঈদের আগে জেল থেকে ফেরার পর থেকেই ওর আচরণ অস্বাভাবিক ছিল। মাঝে-মধ্যেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঝগড়া করত। গত রাতে বের হয়েছিল, আর আসেনি। সকালে ভাবি এসে খবর দেয়, মোহন গাছে ঝুলছে।”

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মোহন আগে মির সিরামিক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। চলতি বছরের রোজার ঈদের পর একবার মাদক মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। কোরবানির ঈদের এক সপ্তাহ আগে তিনি জামিনে ছাড়া পান। এর পর থেকে মানসিক চাপ ও পারিবারিক দ্বন্দ্ব বেড়ে যায়।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল বারিক জানিয়েছেন, মোহনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

ঢাকা/রফিক সরকার/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কাঁঠালগাছে ঝুলছিল যুবকের মরদেহ, দুই পা ছিল বাঁধা