আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক চট্টগ্রাম জোনের দুই দিনব্যাপী ‘টাউন হল মিটিং’ বন্দরনগরীর বেস্ট ওয়েস্টার্ন এসকেএস হোটেলে শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (৯ মে) ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. রাফাত উল্লা খান প্রধান অতিথি হিসেবে টাউন হল মিটিংয়ের উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.

আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. ফজলুর রহমান চৌধুরী, মো. আসাদুজ্জামান ভূঁঞা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আক্তার কামাল, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সিএফও (চলতি দায়িত্ব) কামাল হোসেন, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. তরিকুল ইসলাম, শরাফাত উল্লাহ, মো. নাজিম উদ্দিন, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আমির হোসেন এবং প্রধান কার্যালয়ের শীর্ষ নির্বাহীরা।

চট্টগ্রাম জোনের প্রধান ও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জামশেদ আহমেদ চৌধুরী স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সবাইকে সভায় উপস্থিতির জন্য ধন্যবাদ জানান।

দুই দিনব্যাপী টাউন হল মিটিংয়ের প্রথম দিনে ব্যাংকের চট্টগ্রাম জোনের ২০টি শাখার কর্মকর্তারা  অংশ নেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. রাফাত উল্লা খান বলেন, “আমরা যারা এই প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত, তারা সবাই মিলে একটি পরিবার। এই টাউন হল হচ্ছে আমাদের পারস্পরিক সংযোগ, অগ্রগতি পর্যালোচনা ও ভবিষ্যতের করণীয় নির্ধারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। ২০২৫ সালের ট্যাগলাইন হিসাবে আমরা গ্রহণ করেছি ব্যালান্সিং বিজনেস উইথ শরীয়াহ্, এটি শুধু একটি স্লোগান নয়, বরং আমাদের দায়িত্ব ও অঙ্গীকারের প্রতীক।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা চাই, আমাদের প্রতিটি শাখা শারিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং এর মাধ্যমে সেবার মান বৃদ্ধি করুক এবং গ্রাহকের আস্থাকে পুঁজি করে এগিয়ে যাক। সবার মতামত নিয়ে একসাথে কাজ করলেই একটি টেকসই ও আধুনিক ইসলামী ব্যাংক হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় উচ্ছেদ অভিযানে সংঘর্ষ: ২ মামলা দায়ের, আসামি ৫০০

খুলনা মহানগরীর খালিশপুর মুজগুন্নি এলাকার বাস্তুহারা কলোনিতে উচ্ছেদ অভিযানের সময় পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষের ঘটনায় খালিশপুর থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একটি মামলায় ৩৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত দুই শতাধিক ব্যক্তিকে; অপরটিতে ৩২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত দুই শতাধিক লোককে আসামি করা হয়েছে।

খালিশপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর আতাহার আলী মামলা দায়েরের তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘বাস্তুহারা কলোনিতে সরকারি কাজে বাধা ও হামলার ঘটনায় রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলা হয়েছে।’’ 

আরো পড়ুন:

পাবনায় ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষ-গোলাগুলি

খুলনায় উচ্ছেদ অভিযানে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৩০

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে মুজগুন্নি বাস্তুহারা কলোনির বয়রা হাউজিং এস্টেট, সি ব্লক (বাস্তুহারা মুক্তিযোদ্ধা কলোনি) উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও কলোনির বাসিন্দাদের মধ্যে সংর্ঘষ হয়। ওই সংর্ঘষের ঘটনায় গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। 

বিক্ষুব্ধরা সেখানে টায়ার জ্বালিয়ে, গাছের গুড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করে রাখে। পুলিশের লাঠিচার্জ এবং স্থানীয়রা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। 

এ সময় উচ্ছেদ অভিযানে যাওয়া বুলডোজার ভাঙচুর ও চালকের উপর হামলা চালানো হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ, সাংবাদিক ও স্থানীয় বাসিন্দাসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। ঘটনার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ