চট্টগ্রামে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ‘টাউন হল মিটিং’
Published: 9th, May 2025 GMT
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক চট্টগ্রাম জোনের দুই দিনব্যাপী ‘টাউন হল মিটিং’ বন্দরনগরীর বেস্ট ওয়েস্টার্ন এসকেএস হোটেলে শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (৯ মে) ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. রাফাত উল্লা খান প্রধান অতিথি হিসেবে টাউন হল মিটিংয়ের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আক্তার কামাল, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সিএফও (চলতি দায়িত্ব) কামাল হোসেন, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. তরিকুল ইসলাম, শরাফাত উল্লাহ, মো. নাজিম উদ্দিন, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আমির হোসেন এবং প্রধান কার্যালয়ের শীর্ষ নির্বাহীরা।
চট্টগ্রাম জোনের প্রধান ও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জামশেদ আহমেদ চৌধুরী স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সবাইকে সভায় উপস্থিতির জন্য ধন্যবাদ জানান।
দুই দিনব্যাপী টাউন হল মিটিংয়ের প্রথম দিনে ব্যাংকের চট্টগ্রাম জোনের ২০টি শাখার কর্মকর্তারা অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. রাফাত উল্লা খান বলেন, “আমরা যারা এই প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত, তারা সবাই মিলে একটি পরিবার। এই টাউন হল হচ্ছে আমাদের পারস্পরিক সংযোগ, অগ্রগতি পর্যালোচনা ও ভবিষ্যতের করণীয় নির্ধারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। ২০২৫ সালের ট্যাগলাইন হিসাবে আমরা গ্রহণ করেছি ব্যালান্সিং বিজনেস উইথ শরীয়াহ্, এটি শুধু একটি স্লোগান নয়, বরং আমাদের দায়িত্ব ও অঙ্গীকারের প্রতীক।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা চাই, আমাদের প্রতিটি শাখা শারিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং এর মাধ্যমে সেবার মান বৃদ্ধি করুক এবং গ্রাহকের আস্থাকে পুঁজি করে এগিয়ে যাক। সবার মতামত নিয়ে একসাথে কাজ করলেই একটি টেকসই ও আধুনিক ইসলামী ব্যাংক হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/সাইফ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মোংলা বন্দরের সঙ্গে নেপালের রেল যোগাযোগ না থাকায় ব্যবসায়ীরা আগ্রহী হয় না
বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী বলেছেন, মোংলা বন্দরের সঙ্গে নেপালের সরাসরি রেল যোগাযোগ নেই। সে কারণে মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে হলে নেপালের ব্যবসায়ীদের ব্যয় বেশি হয়। সে কারণে তারা আগ্রহী হয় না। তিনি বলেন, মোংলা বন্দর ও আন্তঃদেশীয় রেলপথের মাধ্যমে নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা গেলে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক করিডোর গড়ে উঠবে। এতে খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চললের অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে।
তিনি শুক্রবার রাতে খুলনার একটি অভিজাত হোটেলে ‘নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট অন নেপাল-বাংলাদেশ কো-অপারেশন : ডায়নামিকস অব ট্রেড ট্যুরিজম অ্যান্ড কানেক্টিভিটি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। ঢাকাস্থ নেপাল দূতাবাস এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
নেপালের রাষ্ট্রদূত বলেন, নেপাল ও বাংলাদেশ উভয় দেশেই রয়েছে চমৎকার প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এই দুই দেশের মধ্যে পর্যটন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার বড় সুযোগ রয়েছে।
তিনি জানান, গত বছর প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি নেপাল ভ্রমণ করেছেন। এ বছর প্রায় প্রায় ৬০ হাজার বাংলাদেশি নেপাল ভ্রমণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। নেপালের অনেক শিক্ষার্থী বাংলাদেশে মেডিকেল পড়ে।
অনুষ্ঠানে খুলনার ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, মোংলা বন্দর ও রেলপথ ব্যবহার করে নেপালের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি সম্ভব। তারা সুন্দরবনকে ঘিরে আন্তর্জাতিক পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দুই দেশের মধ্যে যৌথ উদ্যোগের ওপর জোর দেন।
আয়োজকরা জানান, এ ধরনের আয়োজন দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ ও অংশীদারিত্ব বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) দেবপ্রসাদ পাল, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার, খুলনা চেম্বার অব কমার্সের প্রশাসক নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম, ট্যুর অপারেটর আবির ইমতিয়াজ, খুলনা ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী সৈয়দ জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের মোংলা বন্দরের কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, আমদানি-রপ্তানিকারক, ট্যুর ও ট্রাভেল অপারেটররা উপস্থিত ছিলেন।