সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটানকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল দল। পা রেখেছে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে।
রোববার ভারতের উপিয়াতে অনুষ্ঠিত ম্যাচের প্রথমার্ধে ২-০ গোলের লিড নেয় বাংলাদেশ যুবারা। গোল করেন মুরশেদ ও শোরেন। ম্যাচের যোগ করা সময়ে দলের অধিনায়ক গোল করে বড় জয় এনে দেন দলকে।
এ নিয়ে গ্রুপ ‘এ’র দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার আগে সেমিফাইনালে গেল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। এর আগে মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচে ২-২ গোলের সমতা করে বাংলাদেশ বয়সভিত্তিক ফুটবল দল। ওই ম্যাচে প্রথমার্ধে ২-০ গোলের লিড নেওয়া বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল খেয়ে হতাশার সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের ‘বি’ গ্রুপে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল আছে। এর মধ্যে ভারত নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৮-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ সাফের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলেও গ্রুপ সেরা হতে পারেনি এখনো। মালদ্বীপ পরের ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে খেলবে। ওই ম্যাচে মালদ্বীপ ৩-০ গোলের চেয়ে বড় ব্যবধানে জয় পেলে গ্রুপের সেরা দল হবে। সেক্ষেত্রে গ্রুপ ‘বি’ থেকে ভারত সেরা দল হলে স্বাগতিকদের এড়ানোর সুযোগ পাবে মালদ্বীপ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ফ চ য ম প য়নশ প
এছাড়াও পড়ুন:
বাঁধের গেট খুলে দিল ভারত, পাকিস্তানের দিকে যাচ্ছে পানি
অস্ত্রবিরতির পরদিনই চেনাব নদীতে দেওয়া বাঁধের একাধিক গেট খুলে দিয়েছে ভারত। এর ফলে আবারও পাকিস্তানের দিকে পানি প্রবাহিত হতে শুরু করেছে।
পহেলগাঁওয়ের হামলায় নিহতের পর ভারত একাধিক কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর মধ্যে অন্যতম ছিল পাকিস্তানের দিকে পানি প্রবাহ বন্ধ করা এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ।
ভারত সরকার সাময়িকভাবে সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করে এবং চেনাব নদীর বাগলিহার ও সালাল বাঁধের গেট লাগিয়ে প্রবাহ আটকে দেয়। ফলে পাকিস্তানের দিকে চেনাব নদীর জলস্তর আশঙ্কাজনকভাবে কমে যায়।
দেশটির প্রশাসনের বরাতে ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরে টানা বৃষ্টির কারণে বাগলিহার ও সালাল বাঁধে পানিরস্তর বেড়ে গিয়েছিল। বাঁধে অতিরিক্ত জল জমে থাকায় তা ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজন হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পানি না ছাড়লে বাঁধের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারত।
যদিও সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত বাঁধের গেট খোলার প্রকৃত কারণ জানানো হয়নি। গেট খোলার ফলে পাকিস্তানে চেনাব নদীর শুকিয়ে যাওয়া এলাকাগুলোতে আবারও জল প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদীর নিচু অঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পাকিস্তানি প্রশাসন ইতিমধ্যেই কিছু এলাকায় বন্যার সতর্কতা জারি করেছে।