ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় খালে পড়ে আদুরী নামে দুই বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের পূর্ব পাওতা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। মারা যাওয়া আদুরী একই গ্রামের জসিম হাওলাদারের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, খেলার সময় পরিবারের অজান্তে আদুরী বাড়ির পাশের খালে পড়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা খাল থেকে তুলে তাকে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক আদুরীকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
রাজধানীতে শিশু গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গৃহকর্তা গ্রেপ্তার
মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা.
ঢাকা/অলোক/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে পটিয়ার পর নগরেও সড়ক অবরোধ বৈষম্যবিরোধী ও এনসিপির নেতা-কর্মীদের
পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহারসহ দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সংগঠন দুটির নেতা–কর্মীরা এই কর্মসূচি পালন করছেন। আজ বুধবার বেলা তিনটার দিকে নগরের খুলশী এলাকায় অবস্থিত ডিআইজি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ডিআইজি কার্যালয়ের সামনে অবস্থিত জাকির হোসেন সড়ক অবরোধ শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির নেতা–কর্মীরা। বিকেল সোয়া চারটায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত অবরোধ অব্যাহত রয়েছে।
বেলা সোয়া তিনটার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, ডিআইজি কার্যালয়ের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির নেতা–কর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। কার্যালয়ের সামনে পুলিশ সদস্যদের অবস্থান নিতে দেখা যায়। বিক্ষুব্ধ নেতা–কর্মীরা সামনে থাকা পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে ডিআইজিকে তাঁদের সামনে এসে কথা বলার আহ্বান জানান। ডিআইজি কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে বিক্ষুব্ধ নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব সাজ্জাদ হোসাইন ঘটনাস্থলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পটিয়ার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়নি। গত জুলাইয়ে তাঁরা আমাদের ওপর যেভাবে জুলুম চালিয়েছেন, একইভাবে গতকাল মঙ্গলবার পটিয়ায় জুলুম চালানো হয়েছে। আমরা জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে আমরা সরাসরি ডিআইজির সঙ্গে কথা বলতে চাই।’
গতকাল রাত সাড়ে ৯টা ও সাড়ে ১১টায় পটিয়া থানার পুলিশের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা–কর্মীদের দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ১৯ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করে উভয় পক্ষ। প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাত ৯টার দিকে পটিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা–কর্মীরা। পরে তাঁকে পটিয়া থানা চত্বরে নিয়ে আসা হয়। তবে ওই ছাত্রলীগ নেতার নামে কোনো মামলা না থাকায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে চায়নি। এ নিয়ে আন্দোলনকারী নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের উত্তেজনা দেখা দেয়। আন্দোলনকারীরা পুলিশের উদ্দেশে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ ওই ছাত্রলীগ নেতাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ সকাল সাড়ে ৯টায় পটিয়া থানা ঘেরাও করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেখান থেকে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কও অবরোধ করা হয়।