নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটে চাকরি, নারীদের আবেদনের জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে
Published: 14th, May 2025 GMT
নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটে রাজস্ব খাতভুক্ত স্থায়ী পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকৃত বাংলাদেশি নাগরিকেরা নির্ধারিত ফরমে অনলাইনে (http://rri.teletalk.com.bd) আবেদন করতে পারবেন। অনলাইন ছাড়া কোনো আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে না। অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ ও পরীক্ষার ফি জমাদান শুরুর ১৫ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০২৪ সালের ২৩ জুলাইয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কোটা নির্ধারিত হবে। নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট এ নিয়োগে নারী প্রার্থীদের আবেদন করার জন্য উৎসাহিত করেছে।
নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইটের নোটিশ বোর্ডে আবেদনের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। প্রবেশপত্র প্রাপ্তির বিষয়টি http://rri.
১. বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা
পদসংখ্যা: ১৫
গ্রেড: নবম
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা
আরও পড়ুনবিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সিলেবাস প্রকাশ১৩ মে ২০২৫আবেদনের বয়স: ৩২ বছরআবেদনে শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে (ক) পুরকৌশল, তড়িৎকৌশল, যন্ত্রকৌশল, পানিসম্পদ কৌশল, কৃষি ইঞ্জিনিয়ারিং, রিভার ইঞ্জিনিয়ারিং, হাইড্রলিকস, হাইড্রলজি, এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি; অথবা (খ) পদার্থবিদ্যা, ফলিত পদার্থবিদ্যা, গণিত, ফলিত গণিত, মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিষয়ে প্রথম শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতকোত্তর বা সমমানের ডিগ্রি বা অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রিসহ অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতকোত্তর বা সমমানের ডিগ্রি।
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে আইটি প্রশিক্ষণে করুন আবেদন, ২ লাখ টাকার কোর্স শেষে কর্মসংস্থানের সুযোগ১১ ঘণ্টা আগেআবেদন ফিপরীক্ষার ফি বাবদ ২২৩ টাকা আবেদনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জমা দিতে হবে আবেদনকারীদের।
অনলাইনে আবেদনের শেষ সময়অনলাইনে আবেদনপত্র জমার শেষ তারিখ ১৫ মে ২০২৫, বিকেল ৫টা।
*আবেদনের বিস্তারিত জানতে ও দেখতে এখানে ক্লিক করুন
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সমম ন র ড গ র
এছাড়াও পড়ুন:
যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি চান ইবি শিক্ষার্থীরা
শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি ও হেনস্তার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার দাবিতে উপাচার্য বরাবর আবেদন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
অভিযুক্ত শিক্ষক ড. আজিজুল ইসলামে ইবির বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।
বুধবার (২ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর কাছে এ আবেদন করেন বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
সংবাদমাধ্যমে যোগ্যতার ভিত্তিতে সবার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে: জবি উপাচার্য
জবিতে রাত ১০টার পর অবস্থান নিষেধ
আবেদনপত্রে তারা বলেন, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের শিক্ষক ড. আজিজুল ইসলাম তার পেশাগত দায়িত্ব ও নৈতিকতার সীমা অতিক্রম করে ধারাবাহিকভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভাগের অসংখ্য শিক্ষার্থীর সঙ্গে অনাকাঙ্খিত, অশ্লীল আচরণ করেছেন। এছাড়া নানারকম প্রলোভন দেখিয়ে কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিত দিয়েছেন। প্রলোভনে রাজি না হওয়ায় ছাত্রীদের মানসিকভাবে হেনস্তা ও হুমকি দিয়েছেন।
আরো পড়ুন: তুমি কি জাদু জানো, ছাত্রীকে ইবি শিক্ষক
ক্লাস চলাকালে ও ক্লাসের বাইরে ব্যক্তিগত চেম্বারে ডেকে যেসব হেনস্তা করেছে তা আবেদনপত্রে উল্লেখ করে তারা বলেন, আজিজুল ইসলাম ক্লাসরুমে মেয়েদের দাঁড় করিয়ে তাদের পোশাক, চেহারা, শারীরিক গঠন নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল মন্তব্য করেন। ক্লাসে বিভিন্ন কোর্স পড়ানোর সময় মেয়েদের শারীরিক গঠন ও মেয়েদের শরীরের সংবেদনশীল অঙ্গগুলোকে ইঙ্গিত করে অশালীন ও বিব্রতকর কথা বলতেন। বিবাহিত ও অবিবাহিত ছেলেমেয়েদের ব্যক্তিগত ও বিবাহিত জীবন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বোঝাপড়া নিয়ে বিব্রতকর প্রশ্ন করতেন।
এছাড়া শিক্ষার্থীরা লেখেন, হোয়াটসঅ্যাপ/ম্যাসেঞ্জার/ইমোর মাধ্যমে ভিডিও কলে আসার জন্য ছাত্রীদের জোর করতেন। পাশাপাশি তিনি ছাত্রীদেরকে প্রেমের প্রস্তাব ও প্রেমমূলক বার্তা পাঠান। এভাবে বারবার দিনে ও রাতে ফোনকলের মাধ্যমে ছাত্রীদেব বিরক্ত করতেন এবং রিসিভ না করলে ক্লাসে এসে অপমানজনক কথা বলতেন। কার্যদিবসে (বেশিরভাগ লাঞ্চের পরবর্তী সময়ে) এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সান্ধ্যকালীন ক্লাস চলাকালে নিজের চেম্বারে ছাত্রীদের ফোন দিয়ে ডেকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিত ও কুপ্রস্তাব দিতেন।
এমনকি, ছুটির দিনে বিভিন্ন ছাত্রীকে ক্যাম্পাসের বাইরে দেখা করে সময় কাটানোর কুপ্রস্তাব দিতেন। এই কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ছাত্রীদের কম নাম্বার দিতেন।
আরো পড়ুন: ইবিতে ফের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী হেনস্তাসহ নানা অভিযোগ
এছাড়া ছাত্রীদেরকে অর্থের প্রলোভন, পরীক্ষার রেজাল্ট ভালো করার প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য জোর করা, মিটিং এর নামে মিথ্যা বলে চেম্বারে ডেকে নেওয়াসহ কুকর্মগুলো যেন ফাঁস না করে সেজন্য রেজাল্ট খারাপ করানোর হুমকি দিতেন বলে আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আমলে নিয়েছি। পদ্ধতিগতভাবে আমরা তদন্ত কমিটি করবো। তদন্তের প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী