পাকিস্তান সফরের বিষয়ে শেষ সিদ্ধান্ত সরকারের
Published: 15th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ টি২০ দল গতকাল দুই ভাগে আরব আমিরাতে গেছে দুই ম্যাচের টি২০ সিরিজ খেলতে। রিশাদ হোসেনরা গেছেন সকালে, সন্ধ্যার বিমান ধরেছেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। দুই ভাগে গেলেও রাতে হোটেলে মিলিত হয়েছেন লিটন কুমার দাসরা। বাংলাদেশ টি২০ দলের দুবাই যাওয়ার কারণ স্বাগতিক আরব আমিরাতের বিপক্ষে ১৭ ও ১৯ মে দুই ম্যাচের টি২০ সিরিজ খেলা।
এই সিরিজটি ছিল পাকিস্তান সফরের প্রস্তুতির অংশ। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান সামরিক হামলার পর এটি হয়ে গেছে মূল সিরিজ। কারণ, বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর নাও হতে পারে। অস্ত্রবিরতির পর পাকিস্তান সফর নিয়ে বিসিবি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। ১৩ মে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চেয়ে চিঠি দিয়েছে। গতকাল পর্যন্ত সফরের ব্যাপারে সরকার থেকে কোনো সিদ্ধান্ত পায়নি বিসিবি।
বিসিবির ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তার একজন বলেন, ‘এ মুহূর্তে পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন। সে কারণে সরকারের ওপর সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কারণ, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান সম্পর্ক ভালো। ক্রিকেটীয় সম্পর্ক আগে থেকেই ভালো। সে কারণে আমরা মানা করতে পারব না। সরকার থেকে সফর করতে বলা হলে ক্রিকেটারদের মতামত জানতে চাওয়া হবে। বিষয়টি সময়সাপেক্ষ।’
সিদ্ধান্ত নিতে হলে ১৮ মের মধ্যে হতে হবে। কারণ, বাংলাদেশ আমিরাতে সিরিজ শেষ করবে ১৯ মে। পাকিস্তানে যেতে হলে দুবাই বা লাহোরে ক্যাম্প করতে হবে লিটনদের।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প ক স ত ন সফর র সফর র ব সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
রায় ঘোষণার পর জুলাই যোদ্ধাদের উচ্ছ্বাস
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সেই সঙ্গে দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন—বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
রায় ঘোষণার পরপরই হাইকোর্টের সামনে অপেক্ষারত জুলাই যোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। বিভিন্ন স্লোগানে তারা রায়কে স্বাগত জানান।
এদিকে, রায় ঘোষণার পরে উল্লাস প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা মিষ্টি বিতরণ করেন।
ঢাকা/রাজীব