কুমিল্লায় গাড়িচাপায় মোটরসাইকেলে থাকা দুই তরুণ নিহত
Published: 16th, May 2025 GMT
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লায় বাসচাপায় মোটরসাইকেলে থাকা দুই তরুণ নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী বাজারসংলগ্ন ইউটার্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরাই জাফরাবাদ এলাকার মো. ছালামের ছেলে শাকিল হোসেন (২২) এবং ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার পূর্ব গোপাল এলাকার পেয়ার আহম্মদের ছেলে সাহেদ শিমুল (২৪)।
পুলিশ জানায়, তাঁরা বন্ধু ছিলেন এবং মোটরসাইকেলে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় পেছন দিক থেকে আসা একটি গাড়ি তাঁদের চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজনের বরাতে পুলিশ জানায়, ওই দুই তরুণকে চাপা দেওয়া গাড়িটি একটি বাস ছিল। এটি চট্টগ্রামমুখী লেনে চলছিল। মহাসড়ক ফাঁকা থাকায় দুর্ঘটনার পর বাসটি দ্রুত পালিয়ে যায়।
ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, নিহত দুই তরুণের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা এলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বাসটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে। চাপা দেওয়া গাড়িটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’