আইএসপিএবির নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যাঁরা
Published: 17th, May 2025 GMT
দেশের ইন্টারনেট সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) ২০২৫-২৭ মেয়াদকালের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন শেষ হয়েছে। রাজধানীর মিন্টো রোডের শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে আজ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে সাধারণ সদস্য শ্রেণি থেকে ৯ জন এবং সহযোগী সদস্য শ্রেণি থেকে ৪ জন করে মোট ১৩ জন নির্বাচিত হয়।
আইএসপিএবি নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আলী ভোট গণনার পর ফলাফল ঘোষণা করে। নির্বাচনে সাধারণ সদস্য শ্রেণিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে মোহাম্মদ আমিনুল হাকিমের নেতৃত্বাধীন ‘আইএসপি ইউনাইটেড’ প্যানেল। এই প্যানেলের ৯ জনের মধ্যে জিতেছেন ৮ জন। বিজয়ীরা হলেন নাজমুল করিম ভূঁঞা (প্রাপ্ত ভোট ২০১), মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম (১৯০), মো.
সহযোগী সদস্য শ্রেণি থেকে ৪টি পদের জন্য ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচিত হয়েছেন রাইসুল ইসলাম (২৯৯), ফুয়াদ মুহাম্মদ শরফুদ্দিন (২৮৯), মো. জুবায়ের ইসলাম (২৫৭) ও এস এম সাইফুল ইসলাম (২৫২)।
আরও পড়ুনআইএসপিএবির নির্বাচনে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন, এখন ফলাফলের অপেক্ষা৫ ঘণ্টা আগেবিজয়ী হওয়ার পর আজ রাতে মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভোট খুব সুষ্ঠু হয়েছে। এখন যে পরিবর্তিত টেলিযোগাযোগ নীতিমালা হচ্ছে, তাতে আমাদের ন্যায্য দাবিগুলো নিয়ে এখন আমরা কাজ করব।’
আরও পড়ুনআইএসপিএবির নির্বাচন আগামীকাল, প্রশাসক চান না সদস্যরা১৬ মে ২০২৫সাধারণ শ্রেণিতে ২২৮ ও সহযোগী শ্রেণিতে ৫৫৭ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। আইএসপিএবি নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আলী। সদস্য হিসেবে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল রাকিব হোসেন ও মো. এরশাদ হোসেন। নির্বাচনী আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ কে এম শামছুল ইসলাম। সদস্য হিসেবে রয়েছেন লে. কর্নেল (অব.) আহম্মদ দানিয়া ইসলাম ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. নিহার হোসেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সদস য শ র ণ ম হ ম মদ ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
রিয়া মনির মামলায় জামিন পেলেন হিরো আলম
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির করা মামলায় আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান আজ শনিবার এই আদেশ দেন।
বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে হাতিরঝিল থানা থেকে হিরো আলমকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাঁকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। কিছুক্ষণ পর পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় তাঁকে সিএমএম আদালতের ৯তলার এজলাসে নেওয়া হয়।
হিরো আলমের পক্ষের আইনজীবীরা তাঁর জামিন চেয়ে শুনানি করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে বিচারক ২০০ টাকা মুচলেকায় তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিকে হিরো আলমের মামলার শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন এই মামলার বাদী রিয়া মনি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘হিরো আলমের একটা শিক্ষা হওয়া দরকার। আমাকে যেমন বিনা কারণে জেল খাটিয়েছে, তারও জেলে থাকা উচিত।’
এর আগে শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর হাতিরঝিল থানাধীন এলাকা থেকে সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির দায়ের করা মামলায় হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত হিরো আলম ও তাঁর সহযোগী আহসান হাবিব সেলিমের বিরুদ্ধে ১২ নভেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই পরোয়ানা অনুসারেই হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২৩ জুন হাতিরঝিল থানায় রিয়া মনি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি হিরো আলম ও বাদী রিয়া মনির মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এরপর হিরো আলম বাদীকে তালাক দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন। গত ২১ জুন বাদীর পরিবারের সঙ্গে মীমাংসার কথা বলে হাতিরঝিল থানাধীন এলাকায় একটি বাসায় ডাকা হয়। ওই সময়ে হিরো আলমসহ ১০ থেকে ১২ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পরে তাঁরা বাদীর বর্তমান বাসায় বেআইনিভাবে প্রবেশ করে কাঠের লাঠি দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন। এতে বাদীর শরীরে জখম হয়। এ সময় তাঁর গলায় থাকা দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের হার চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুনরিয়া মনির মামলায় হিরো আলম গ্রেপ্তার২ ঘণ্টা আগে