দেশের ইন্টারনেট সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) ২০২৫-২৭ মেয়াদকালের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন শেষ হয়েছে। রাজধানীর মিন্টো রোডের শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে আজ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে সাধারণ সদস্য শ্রেণি থেকে ৯ জন এবং সহযোগী সদস্য শ্রেণি থেকে ৪ জন করে মোট ১৩ জন নির্বাচিত হয়।

আইএসপিএবি নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আলী ভোট গণনার পর ফলাফল ঘোষণা করে। নির্বাচনে সাধারণ সদস্য শ্রেণিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে মোহাম্মদ আমিনুল হাকিমের নেতৃত্বাধীন ‘আইএসপি ইউনাইটেড’ প্যানেল। এই প্যানেলের ৯ জনের মধ্যে জিতেছেন ৮ জন। বিজয়ীরা হলেন নাজমুল করিম ভূঁঞা (প্রাপ্ত ভোট ২০১), মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম (১৯০), মো.

মিঠু হাওলাদার (১৮৫), মঈন উদ্দিন আহমেদ (১৮০), নেয়ামুল হক খান (১৭৯), রাশেদুর রহমান (১৭৭), সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক (১৬৪ ) ও মাহবুব আলম (১৬০) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাব্বির আহমেদ (১৫৫)।

সহযোগী সদস্য শ্রেণি থেকে ৪টি পদের জন্য ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচিত হয়েছেন রাইসুল ইসলাম (২৯৯), ফুয়াদ মুহাম্মদ শরফুদ্দিন (২৮৯), মো. জুবায়ের ইসলাম (২৫৭) ও এস এম সাইফুল ইসলাম (২৫২)।

আরও পড়ুনআইএসপিএবির নির্বাচনে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন, এখন ফলাফলের অপেক্ষা৫ ঘণ্টা আগে

বিজয়ী হওয়ার পর আজ রাতে মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভোট খুব সুষ্ঠু হয়েছে। এখন যে পরিবর্তিত টেলিযোগাযোগ নীতিমালা হচ্ছে, তাতে আমাদের ন্যায্য দাবিগুলো নিয়ে এখন আমরা কাজ করব।’

আরও পড়ুনআইএসপিএবির নির্বাচন আগামীকাল, প্রশাসক চান না সদস্যরা১৬ মে ২০২৫

সাধারণ শ্রেণিতে ২২৮ ও সহযোগী শ্রেণিতে ৫৫৭ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। আইএসপিএবি নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আলী। সদস্য হিসেবে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল রাকিব হোসেন ও মো. এরশাদ হোসেন। নির্বাচনী আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ কে এম শামছুল ইসলাম। সদস্য হিসেবে রয়েছেন লে. কর্নেল (অব.) আহম্মদ দানিয়া ইসলাম ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. নিহার হোসেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সদস য শ র ণ ম হ ম মদ ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ভাইকে বাঁচাতে বান্ধবীকে ফাঁসানোর অভিযোগ

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ঘুমন্ত অবস্থায় বান্ধবীর ছবি তুলেছিলেন ভাই। বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানালে ভাইকে বাঁচাতে উল্টো বান্ধবীর নামে মিথ্যা চুরির মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে তানিয়া হক নামের এক নারীর বিরুদ্ধে। 

এছাড়াও চুরির ঘটনার কোনো তদন্ত ছাড়াই মামলা নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনা জেলা জজকোর্টের সামনে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন ভুক্তভোগী নারী ইফফাত মোকাররমার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল। 

পাবনা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আখতারুজ্জামানের আদালত ভুক্তভোগী নারী ইফফাত মোকাররমা সানিমুনকে জামিন দিয়েছেন।

অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল বলেন, “আমার মক্কেল ইফফাত মোকাররমা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতায় পেশায় নিয়োজিত। তিনি একজন সম্মানিত লোক। মামলার বাদীর সঙ্গে তার দীর্ঘদিন বন্ধুত্বের সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের কারণে তার বান্ধবীর বাসায় গিয়েছিলেন এবং একসঙ্গে ঘোরাঘুরির পর যখন রাত্রীযাপন করছিলেন সেই সময়ে বাদীর ভাই ইফফাত মোকাররমার ছবি তুলেছিলেন। বিষয়টি টের পেয়ে তিনি তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানান এবং ছবিগুলো দেখানোর জন্য অনুরোধ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরেরদিন সকালে আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলে ইফফাত মোকাররমা ঢাকায় চলে যান এবং সেখানে জিডি করেন। কিন্তু এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে উল্টো ইফফাত মোকাররমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চুরির মামলা দায়ের করেন তার বান্ধবী।”

তিনি আরো বলেন, “বাদী তানিয়া হক উল্লেখ করেছেন ২৬ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়েছে যা তিনি তার শরীরে পড়ে তার বান্ধবীর সঙ্গে ঘুড়ে বেড়িয়েছিলেন। কিন্তু ওইদিনের ঘোরাঘুরির ছবিতে তার শরীরে কোনো স্বর্ণালঙ্কার ছিল না। এছাড়াও ঘটনার দুইদিনের মাথায় যেভাবে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে তাতে বোঝা যায় কোনো তদন্ত ছাড়াই থানা কোনো পক্ষ থেকে প্রভাবিত হয়ে মামলা গ্রহণ করেছেন।”

ভুক্তভোগী নারী ইফফাত মোকাররমা বলেন, “এই মামলার নূন্যতম প্রমাণ নেই। আমি যে একজন শিক্ষক হিসেবে আমার ছাত্রদের সামনে দাঁড়াবো সেই অবস্থাও তারা আমাকে রাখেনি। আমার সন্তানসহ পুরো পরিবার সামাজিকভাবে হেয় পতিপন্ন হচ্ছে। আমি চাই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”

এ বিষয়ে মামলার বাদীর তানিয়া হকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে ফোন রিসিভ না করায় মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, “উনি (আইনজীবী) উনার মক্কেলের জন্য এসব কথা বলতেই পারেন। উনার মক্কেলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য এসব অভিযোগ করেছেন। কিন্তু ঘটনার তদন্ত করে এবং আইনানুগভাবেই মামলা দায়ের হয়েছে, যা এখনও তদন্ত চলছে।”

ঢাকা/শাহীন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঋণ আদায়ে লাগবে ৩৩৩ বছর
  • ভাইকে বাঁচাতে বান্ধবীকে ফাঁসানোর অভিযোগ