শারজাহতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২৭ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক লিটন দাসের নেতৃত্বে জয় দিয়ে শুরু হলেও, তৃপ্ত নন তিনি। ম্যাচ শেষে লিটন জানালেন, দলের আরও উন্নতি দরকার, বিশেষ করে ম্যাচের শেষাংশে ব্যাটিং নিয়ে রয়েছে তার আফসোস।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ১৬৯ রান। ইনিংসের তখনো বাকি ছিল ৩ ওভার। উইকেটে ছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন ও শামীম হোসেন পাটোয়ারি—দুই টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট। তখন ২০০ রানের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ তিন ওভারে তেমন কিছু করতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা, ১৬৯ রান থেকে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৯১ রানে। ইমন ৫৪ বলে ১০০ রান করে তুলে নেন দেশের হয়ে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি।

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীতে শেষ ৩ ওভার নিয়ে আফসোস করে লিটন বলেন, ‘উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো ছিল। ইমন যেভাবে খেলেছে, দুর্দান্ত ছিল। তবে আমাদের ইনিংসটা আরও ভালোভাবে শেষ করা দরকার ছিল। শেষ তিন ওভারে প্রত্যাশিত রান তুলতে পারিনি।’

রান তাড়ায় আক্রমণাত্মক শুরু করে আমিরাত। অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম ও রাহুল চোপড়ার জুটিতে কিছু সময়ের জন্য বাংলাদেশের চিন্তার ভাঁজ পড়ে। তবে তৃতীয় উইকেট ভাঙতেই ছন্দ হারায় আমিরাত। যদিও আসিফ খান চেষ্টা চালান, কিন্তু মুস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম হাসান সাকিবের আঁটসাঁট বোলিংয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় স্বাগতিকরা। মুস্তাফিজ ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। সাকিব পান ২ উইকেট ২২ রানে। হাসান মাহমুদ দখল করেন ৩ উইকেট, খরচ করেন ৩৩ রান।

বোলারদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট লিটন বলেন, ‘অবশ্যই বোলারদের কৃতিত্ব দিতে হবে। আমি জানি, আমার বোলাররা যে কোনো সময় ম্যাচে ফিরতে পারে। মাঝের ওভারে আমাদের নিয়ন্ত্রণে ফেরানোটা ছিল দারুণ।’

তবে প্রতিপক্ষকেও কৃতিত্ব দিতে ভোলেননি লিটন, ‘আমিরাতের ব্যাটসম্যানরা মাঝের ওভারে বেশ ভালো ব্যাট করেছে। আমাদের নিজেদের বোলিং নিয়েও ভাবতে হবে। এই উইকেটে কী ধরনের বোলিং বেশি কার্যকর, সেটা বুঝতে হবে।’

সোমবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। লিটন জানালেন, প্রথম ম্যাচের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দল আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে নামবে দ্বিতীয় ম্যাচে, ‘আমরা আত্মবিশ্বাস নিয়েই নামব। যেভাবে বোলাররা বোলিং করেছে, সেটি প্রশংসনীয়। মাঝের ওভারগুলোতে খেলা হাড্ডাহাড্ডি ছিল, তবে বোলাররা যেভাবে পরিস্থিতি সামলেছে, সেটা ছিল দুর্দান্ত।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল টন দ স আম র ত উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

দুদকের সাবেক ৩ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে জাল-জালিয়াতি, মিথ্যা অভিযোগ সৃষ্টি করে মামলা দায়ের করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক তিন চেয়ারম্যান এবং এক সচিবের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

রবিবার (১৮ মে) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালতে হারুন অর রশিদ নামে এক ব্যক্তি মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আগামি ২৫ মে আদেশের জন্য রেখেছেন। 

মামলায় যাদের আসামি করার আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন, দুদকের সাবেক তিন চেয়ারম্যান হাসান মশহুদ চৌধুরী, হাবিবুর রহমান ও আবুল হাসান মনজুর এবং সাবেক সচিব মোখলেছ উর রহমান।

আরো পড়ুন:

দুই উপদেষ্টার সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও এনসিপি নেতাকে দুদকে তলব

৪০৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ: সাদ মুসা গ্রুপের মোহসিনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বাদীপক্ষের আইনজীবী হোসেন আলী খান (হাসান) এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করার পর থেকে সাজা হওয়াসহ তৎপরবর্তী ঘটনাগুলো বিচার কার্যক্রমের সংশ্লিষ্ট বিধায় হারুন অর রশীদ বিচার কার্যক্রমের আওতাধীন কোনো বিষয়ে অভিযোগ করেনি। এসব ঘটনাসমূহে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কিনা তা আদালতের এখতিয়ারাধীন। উল্লেখিত আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা  খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পূর্বে এই মিথ্যা অভিযোগ সৃজন করার জন্য পরস্পর যোগসাজসে যে অপরাধমূলক পরিকল্পনা করা, মিটিং করা, ষড়যন্ত্র করাসহ যেসকল অপরাধমূলক কাজ করেছেন তা বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

ঢাকা/এম/

সম্পর্কিত নিবন্ধ