ভূমি ও কৃষি অফিসে নতুন সুপারিশওয়ালা তৈরি হয়েছে: সাকি
Published: 18th, May 2025 GMT
ভূমি ও কৃষি অফিসে নতুন সুপারিশওয়ালা তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ভূমি অফিসে, কৃষি অফিসে আগে সরকারি দলের কারও সুপারিশ ছাড়া, ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হতো না। সবাই পরিবর্তন আশা করেছিলেন, সুপারিশ ছাড়া ন্যায্য দাবি পূরণ হবে। কিন্তু নতুন সুপারিশওয়ালা তৈরি হয়েছে, নতুন লেনদেনের ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে, যেটা গণ–অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে যায় না।
আজ রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন ও রাষ্ট্রসংস্কার কৃষক আন্দোলন আয়োজিত ‘ভূমিহীন কৃষক সমাবেশে’ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
সমাবেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, ২৪–এর গণ-অভ্যুত্থানে সবাই একসঙ্গে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। ছেলে–মেয়ে, সন্তানেরা অকাতরে জীবন দিয়েছে। সব শ্রেণির মানুষ রক্ত দিয়েছেন, জীবন দিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট পালিয়েছে, ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থাকে বিদায় করে দিতে হবে। নতুন বাংলাদেশ, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, নতুন যাত্রা। কিন্তু সেই যাত্রায় কি ভূমিহীনেরা আছেন? ভূমিহীন, কৃষক, শ্রমজীবী মানুষেরা যদি না থাকেন, তাহলে এই বাংলাদেশ কার?
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ভূমি সংস্কার ছাড়া কোনো সত্যিকার পরিবর্তন হয় না। অনেক কমিশন হয়েছে, আবার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কমিশন হয়নি। ভূমি কমিশন, শিক্ষা কমিশন হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর তো (পরিচালনার দায়িত্ব) যে কেউ দিতে পারে, ওইটা জরুরি নয়। জরুরি হলো ভূমিহীনদের অধিকার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া, এটা সবাই করতে পারে না।
নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার বিভিন্ন বাধা নিয়ে ক্ষমতায় আসে, তারা ভূমি সংস্কার করার মতো অবস্থায় থাকে না উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, এটি করতে হয় অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আসা সরকারকে। এ সরকারের এই জায়গায় হাত দেওয়া দরকার ছিল। তাহলে গরিব, প্রান্তিক মানুষ, মেহনতি মানুষের জীবনে একটা পরিবর্তন আসত। তবে এ বিষয়ে সরকারের আন্তরিকতা দেখা যাচ্ছে না। বরং একটা বিশেষ দলের সরকারে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। না হলে কেন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ছাত্রদের সই, সুপারিশ আনতে বলবেন? বিচার, সংস্কার, নির্বাচন একসঙ্গে চলতে হবে। এটাই প্রধান কাজ। সবাইকে সঙ্গে নিয়েই এটা করতে হবে।
সমাবেশে বক্তব্য দেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ প্রমুখ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের ঢাকা জেলা কমিটির সভাপতি লিটন কবিরাজ, সঞ্চালক ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছামিউল আলম।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সাতক্ষীরায় হিমসাগর আমে বাজার সয়লাব, দাম পড়ে যাওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি নেই
সাতক্ষীরার সুস্বাদু হিমসাগর আম পাড়ার সময়সূচি পাঁচ দিন এগিয়ে আনার পর বাজারে একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ আম উঠেছে। তবে প্রত্যাশিত দাম না পেয়ে হতাশার কথা জানিয়েছেন চাষিরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার জেলার বড়বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, এক কিলোমিটারজুড়ে শুধু হিমসাগর আমবোঝাই ভ্যান ও পিকআপের সারি। প্রচণ্ড গরমে আম দ্রুত পেকে যাওয়ায় ও হঠাৎ আমার পাড়ার সময়সূচিতে বদল আনায় একসঙ্গে প্রচুর আম পেড়েছেন চাষিরা। ফলে বাজারে সরবরাহ বেড়ে গেছে। বাজারে মণপ্রতি হিমসাগর আম বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ২২০০ টাকায়।
চাষিরা জানিয়েছেন, উৎপাদন খরচের তুলনায় দাম না পাওয়ায় তাঁরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। হিমসাগর আম পাড়ার পর দুই-চার দিন সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় না, দ্রুত পচে যায়। সাতক্ষীরায় হিমাগার না থাকায় আম সংরক্ষণের সুযোগও নেই। ফলে লোকসানের শঙ্কা আরও বেড়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চাষিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক ও কৃষি বিভাগের উদ্যোগে একটি বৈঠক হয়। এতে হিমসাগর আম পাড়ার নির্ধারিত সময়সূচি পাঁচ দিন এগিয়ে ২০ মে থেকে ১৫ মে করা হয়। এরপর রাতেই অনেকে আম পেড়ে বৃহস্পতিবার সকালে বাজারে তোলেন।
সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর এলাকার আমচাষি হোসেন আলী বলেন, ‘মহাজনের কাছ থেকে দাদন নিয়ে অনেক পরিশ্রম করে আম চাষ করি। কিন্তু এবার দাম পাচ্ছি না। গরমে দ্রুত পেকে যাওয়ায় একসঙ্গে বাজারে আম চলে এসেছে। ফলে দাম পড়ে গেছে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার সাতক্ষীরার বড়বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, এক কিলোমিটারজুড়ে শুধু হিমসাগর আমবোঝাই ভ্যান ও পিকআপের সারি